
রাজনীতিতে কিছু নেতা শুধু পদ ও ক্ষমতার জন্য নয়, তারা ভবিষ্যতের পরিকল্পনা ও মানুষের কল্যাণকে কেন্দ্র করে কাজ করেন। এমনই একজন তরুণ নেতা হলেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান ওমর। ছোটবেলা থেকেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে তিনি নিজেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করেছেন। শুভাঢ্যা ইউনিয়নের এই সন্তান আজ দলের মধ্যে উদ্দীপনা, নতুন শক্তি এবং তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃত্বের এক প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
ইমরান ওমর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে কেবল পার্টির ক্ষমতা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে দেখেন না। তিনি বিশ্বাস করেন, রাজনীতি মানে মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং জনগণের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এই বিশ্বাস থেকেই তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় এবং দলের মধ্যে প্রভাবশালী ভূমিকা রাখছেন।
তিনি মনে করেন, সারা দেশের অনেক জায়গায় বিএনপির ভেতরে পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে সুকৌশলে প্রবেশ করছে। এটি অন্তত দলের জন্য দু:খজনক এবং একই সঙ্গে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করছে। তিনি বলেন, “আমরা তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক কর্মী। বিএনপি যেন সবসময় ক্লিন ইমেজ নিয়ে এগোতে পারে, সেটাই আমাদের মনেপ্রাণে সবসময় কাম্য।” এই রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সতর্ক মনোভাব তাঁকে দলের ভেতরে সতর্ক ও দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে প্রমাণ করছে।
যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরানের স্পষ্ট পরিকল্পনা যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, তখন তিনি স্থানীয় দরিদ্র, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কার্যকরভাবে সহায়তা করবেন। এই দৃঢ় সংকল্প এবং রাজনৈতিক নীতি তাঁকে এলাকার যুবক ও তরুণ নেতাদের মধ্যে ভিন্নভাবে স্থাপন করেছে।
সক্রিয়ভাবে রাজপথে থাকা তরুণ এই নেতার নেতৃত্বে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা যুবদল ক্রমেই শক্তিশালী ও সংগঠিত হচ্ছে। তরুণরা তাঁকে অনুসরণ করে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হচ্ছে এবং দলের প্রগতিশীল চেতনায় উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। স্থানীয় নেতারা মনে করেন, ইমরান ওমরের মতো উদ্দীপিত যুবকরা দলের জন্য ভবিষ্যতের শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
ইমরান ওমর তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে মনে করেন রাজনীতি মানুষের সেবার মাধ্যম। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, স্থানীয় মানুষের সমস্যা সমাধান, শিক্ষার প্রসার, সামাজিক কল্যাণ এবং যুবকদের সম্ভাবনা বৃদ্ধিই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ক্ষমতায় গেলে তিনি দলের কর্মী হয়ে এসব কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে সরাসরি নেতৃত্ব দেবেন এবং এলাকার জনগণ তাঁর কাছ থেকে বাস্তব পরিবর্তন আশা করছেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রাজনীতিতে ইমরান ওমরের উপস্থিতি প্রমাণ করে, তাঁর মতো নিবেদিতপ্রাণ ও দায়িত্বশীল নেতারা কেবল রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। স্থানীয়রা আশা করছেন, ভবিষ্যতে বিএনপির ক্ষমতায় আসার পর তিনি এলাকার মানুষের কল্যাণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন। ইমরান ওমরের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, সতর্ক মনোভাব ও পরিকল্পনা একবার বাস্তবায়িত হলে, তা কেবল দলের জন্য নয়, পুরো দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের জনগণের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 





















