
জমিতে গরুর পরিবর্তে নিজে হালচাষে বাবাকে গরুর মতো সাহায্য করতো মারুফা। বিগত দিনের অভাব অনটন ও বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে সে। একসময় পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরাতো তার। কিন্তু এরপর ও ক্রিকেট খেলতে ভালবাসতো মারুফা। ওই সময় পাড়াগাঁয়ের মেয়ের ক্রিকেট খেলা খুব সহজে মেনে নিতে পারেনি এলাকার মানুষ। তবুও থেমে থাকেনি মারুফা।
পড়ালেখার পাশাপাশি বাবাকে কৃষিকাজে সহায়তা আর ত্রিকেট খেলা দুটোই চালিয়েছে সমান তালে। পরিত্যক্ত রেললাইনের পাশে অনুশীলন করে বেড়ে উঠেছে মারুফা। একারনেই সাফল্য আটকাতে পারেনি কেউই।
২০২৫ আইসিসি নারী বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করে সে। পাকিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের নারী টাইগার পরিচয় করিয়ে দিলো। জিতে নিলো দাপুটে জয়। গত ২ অক্টোবর কলম্বোতে ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ দল। তারা এর আগে মাত্র একবারই (২০২২ সালে) ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছিল মারুফা। তবে সেবার ম্যাচ জিতেছিল, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।
দুর্দান্ত জয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন ম্যাচসেরার পুরস্কার জয়ী পেসার মারুফা আক্তার। দুর্দান্ত ইন সুইং ডেলিভারিতে প্রথম ওভারেই দুটি উইকেট নেন তিনি। পাকিস্তানের ওমাইমা সোহেল ও সিদরা আমিনকে বোল্ড করে মারুফা। নীলফামারীর এক্সপ্রেসের দুর্দান্ত পারফমেন্সে গোটা দেশবাসী আনন্দিত। ফেসবুকেও বইছে আনন্দের বন্যা।
৪ অক্টোবর বিকালে মারুফা আক্তারের বাড়ি নীলফামারী জেলা সদরের সংগলশী ইউনিয়নের কাদিখোলে গেলে দেখা যায় তাঁর বিজয়ে পরিবার ও প্রতিবেশী বেজায় খুশি।
পড়ালেখার পাশাপাশি বাবাকে কৃষিকাজে সহায়তা আর ত্রিকেট খেলা দুটোই চালিয়েছে সমান তালে। পরিত্যক্ত রেললাইনের পাশে অনুশীলন করে বেড়ে উঠেছে মারুফা। একারনেই সাফল্য আটকাতে পারেনি কেউই।
২০২৫ আইসিসি নারী বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করে সে। পাকিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের নারী টাইগার পরিচয় করিয়ে দিলো। জিতে নিলো দাপুটে জয়। গত ২ অক্টোবর কলম্বোতে ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ দল। তারা এর আগে মাত্র একবারই (২০২২ সালে) ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছিল মারুফা। তবে সেবার ম্যাচ জিতেছিল, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।
দুর্দান্ত জয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন ম্যাচসেরার পুরস্কার জয়ী পেসার মারুফা আক্তার। দুর্দান্ত ইন সুইং ডেলিভারিতে প্রথম ওভারেই দুটি উইকেট নেন তিনি। পাকিস্তানের ওমাইমা সোহেল ও সিদরা আমিনকে বোল্ড করে মারুফা। নীলফামারীর এক্সপ্রেসের দুর্দান্ত পারফমেন্সে গোটা দেশবাসী আনন্দিত। ফেসবুকেও বইছে আনন্দের বন্যা।
৪ অক্টোবর বিকালে মারুফা আক্তারের বাড়ি নীলফামারী জেলা সদরের সংগলশী ইউনিয়নের কাদিখোলে গেলে দেখা যায় তাঁর বিজয়ে পরিবার ও প্রতিবেশী বেজায় খুশি।
বাবা আইমুল্যার ২ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট মারুফা আক্তার। ক্ষেতে কাজ করার সময় কথা হয় বাবা আইমুল্লার সাথে। তিনি বলেন, প্রথম প্রথম আমরা মারুফার ক্রিকেট খেলাকে তেমন একটা গুরুত্ব দেইনি। মেয়ে মানুষ ক্রিকেট খেললে লোকে কি বলবে। মেয়েটির শক্ত মনোবল ও ভাইদের সহযোগিতায় এতটা পথ পাড়ি দিয়েছে সে নিজেই। আমি মারুফার সাফল্যের জন্য সকলের দোয়া চান বলে জানান তিনি।
মারুফার মা মর্জিনা বেগম বলেন, খেলার দিন আমি জায়নামাযে বসে দোয়া করেছি। এরই মধ্যে তাঁর সাথে কথা হয়েছে আমাদের। বাবার টাচ ফোন না থাকায় তাকে দেখে কথা বলতে পারেনি তাঁর বাবা। মারুফার ভাই আহসান হাবিব বলেন, খুব কষ্ট করে তাকে সাইকেলে চড়িয়ে সৈয়দপুর শহরে নিয়ে ক্রিকেট খেলা শিখিয়েছি। প্রথম দিকে খুবই কষ্ট করেছে মারুফা।
মারুফার মা মর্জিনা বেগম বলেন, খেলার দিন আমি জায়নামাযে বসে দোয়া করেছি। এরই মধ্যে তাঁর সাথে কথা হয়েছে আমাদের। বাবার টাচ ফোন না থাকায় তাকে দেখে কথা বলতে পারেনি তাঁর বাবা। মারুফার ভাই আহসান হাবিব বলেন, খুব কষ্ট করে তাকে সাইকেলে চড়িয়ে সৈয়দপুর শহরে নিয়ে ক্রিকেট খেলা শিখিয়েছি। প্রথম দিকে খুবই কষ্ট করেছে মারুফা।
প্রতিবেশীরা জানান, মারুফা আক্তার তাঁর বাবার বর্গা নেয়া জমিতে মই টেনেছে, হালচাষ করে বাবাকে সহযোগিতা করেছে। শুরুর দিকে আমরা মারুফার ক্রিকেট খেলাকে মেনে নিতে পারেনি। কিন্ত মারুফাই যে শুধু নীলফামারী জেলা নয়, দেশের মুখ ও উজ্জ্বল করবে ভাবায় যায় না । আমরা এলাকাবাসী দোয়া করি সে যেন আরও বড় হয়। সে যেন তার হাত দিয়েই দেশের জন্য ওয়াল্ডকাপ নিয়ে আসতে পারে।
সৈয়দপুর ( নীলফামারী ) প্রতিবেদক 


















