ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত

হাসিনাকে মারণাস্ত্র ব্যবহারের উসকানি দেন ইনু

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, হাসানুল হক ইনুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীর দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সোমবার হাসানুল হক ইনুকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানির জন্য এক সপ্তাহ সময় চায় প্রসিকিউশন। তবে আসামির পক্ষে আরও দুদিন বাড়িয়ে সময়ের আবেদন করেন নাজনীন নাহার। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আগামী ১৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

জুলাই আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যাসহ সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় হাসানুল হক ইনুকে একমাত্র আসামি করে গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। এতে তার বিরুদ্ধে মোট আটটি অভিযোগ আনা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ ৩৯ পৃষ্ঠার এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। এতে ২০ জনকে সাক্ষী রাখা হয়। বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম। অভিযোগগুলো হলো—হাসানুল হক ইনু তৎকালীন ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জাসদের প্রধান হিসাবে ঊর্ধ্বতন অবস্থানে থেকে গত বছরের ১৮ জুলাই ‘মিরর নাউ’ নামে ভারতের মুম্বাইভিত্তিক একটি গণমাধ্যমে আন্দোলন দমনে এবং আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আন্দোলনকারীদের বিএনপি, জামায়াত, সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক ট্যাগ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের উসকানি দেন। তার মাথা থেকেই হাসিনার মারণাস্ত্র ব্যবহারের উসকানিটা আসে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার

হাসিনাকে মারণাস্ত্র ব্যবহারের উসকানি দেন ইনু

Update Time : ০৬:৩১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, হাসানুল হক ইনুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীর দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সোমবার হাসানুল হক ইনুকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানির জন্য এক সপ্তাহ সময় চায় প্রসিকিউশন। তবে আসামির পক্ষে আরও দুদিন বাড়িয়ে সময়ের আবেদন করেন নাজনীন নাহার। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আগামী ১৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

জুলাই আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যাসহ সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় হাসানুল হক ইনুকে একমাত্র আসামি করে গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। এতে তার বিরুদ্ধে মোট আটটি অভিযোগ আনা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ ৩৯ পৃষ্ঠার এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। এতে ২০ জনকে সাক্ষী রাখা হয়। বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম। অভিযোগগুলো হলো—হাসানুল হক ইনু তৎকালীন ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জাসদের প্রধান হিসাবে ঊর্ধ্বতন অবস্থানে থেকে গত বছরের ১৮ জুলাই ‘মিরর নাউ’ নামে ভারতের মুম্বাইভিত্তিক একটি গণমাধ্যমে আন্দোলন দমনে এবং আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আন্দোলনকারীদের বিএনপি, জামায়াত, সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক ট্যাগ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের উসকানি দেন। তার মাথা থেকেই হাসিনার মারণাস্ত্র ব্যবহারের উসকানিটা আসে।