
পাবনার ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়ে অজ্ঞাত এক (কিশোরীর) মরদেহ ৬ ঘণ্টা পড়ে রয়েছে হাসপাতালের বারান্দায়। এদিকে সদ্য উদ্বোধিত থানার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লাশঘরটি পড়ে রয়েছে ফাঁকা। থানায় প্রথম শ্রেণির একটি লাশঘর থাকা সত্ত্বেও মরদেহ পড়ে রয়েছে হাসপাতালের বারান্দায় এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তবে, এ ব্যাপারে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেবল অজুহাত দিয়েছেন ‘ছাড়পত্রের’।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে পাবনা-পাকশী বগা মিয়া মহাসড়কের বাঁশেরবাদা এলাকায় এক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন অজ্ঞাত ওই কিশোরী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার আওতাপাড়া থেকে রূপপুরগামী একটি সিএনজিতে করে রূপপুর যাওয়ার পথে সিএনজি উল্টে গুরুতর আহত হন ওই কিশোরী পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ এসে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে চলে যান। তবে ঘটনার ৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হয়। পরে ওই কিশোরীর নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। উপজেলার লক্ষীকুন্ডার মনিরুল ইসলামের কন্যা মনিরা খাতুন। মরদেহটিও পড়ে রয়েছে হাসপাতালের বারান্দায়।
এদিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর সাবেক ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ থানায় প্রথম শ্রেণির একটি শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত লাশঘর সদ্য উদ্বোধন করে গেছেন। থানায় লাশঘর রয়েছে তবুও অজ্ঞাত কিশোরীর মরদেহ হাসপাতালের বারান্দায় ৬ ঘণ্টা পড়ে আছে। সদ্য উদ্বোধন হওয়া সেই লাশঘরের কাজ কি? এমন প্রশ্নে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা।
সরেজমিন থানায় গিয়ে দেখা যায়, লাশঘরের দরজাটি বন্ধ, তেমন কার্যক্রমও নেই। লাশঘরটির দায়িত্বেও কাউকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে থাকা অজ্ঞাত কিশোরীর মরদেহ দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। ৬ ঘণ্টা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানার লাশঘর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কয়েকজন। তারা বলেন, শুনেছি নতুন একটি শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত লাশঘর তৈরি হয়েছে থানায়। তারপরও এই মরদেহটি এভাবে হাসপাতালের বারান্দায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে রয়েছে। পুলিশ কেন মরদেহটি লাশঘরে নেয়নি? এমন অনেক প্রশ্ন ও ক্ষোভ তাদের মনে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার দাশ বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহটি কেন বারান্দায় রেখেছে এটা তারাই বলতে পারবে। কোনো মরদেহ উদ্ধার করে যখন থানায় আনা হবে তখন সেটা লাশঘরেই রাখা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেহেতু মরদেহটির কোনো ছাড়পত্র দেয়নি সেহেতু মরদেহটি আমরা নিয়ে আসতে পারি না।
আলমাস আলী, ঈশ্বরদী (পাবনা ) প্রতিবেদক 


















