
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে তিনি ওই কারখানা পরিদর্শন করেন। এতে কারখানার সংকট নিরসনে নতুন আশার আলো সঞ্চারিত হয়েছে।
জানা যায়, ১৮৭০ সালে আসাম-বেঙ্গল রেলপথের অংশ হিসেবে স্থাপিত হয় দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা। ১১০ দশমিক ২৯ একর বিস্তীর্ণ এলাকায় গড়ে ওঠা এই শিল্প প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ২৭টি উপকারখানা। এখানে প্রস্তত ও মেরামত হয় যাত্রীবাহী কোচ, মালবাহী ওয়াগন, স্টিম রিলিফ ক্রেন, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ বগি, পাশাপাশি তৈরি হয় হাজারো ধরনের ৬ শত ৪৩ ধরনের খুচরা যন্ত্রাংশ। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নানা কারণে কারখানার উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। আধুনিকায়ন, শূন্য পদ, কাঁচামালের অভাব সব মিলিয়ে ইতিহাসের এই প্রতিষ্ঠান সংকটের মুখোমুখি।
পাকিস্তান আমল ও স্বাধীনতার পরও এটি দেশের রেল খাতের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে কাজ করত। একসময় এখানে প্রায় ১২-১৫ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। কিন্তু আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন উদ্যোগের অভাব, বাজেট সংকট, এবং নতুন প্রযুক্তি সংযোগের অভাবে ক্রমে এটি ধীরে ধীরে হারিয়েছে তার প্রাচীন গৌরব। বর্তমানে অনুমোদিত কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীর পদ ২৮৫৯, যার মধ্যে কমর্রত আছেন মাত্র ৭১৬ জন। অর্থাৎ দুই হাজারের বেশি পদ শূন্য। ফলে প্রতিদিন তিনটি কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও কার্যত দুইটিই মেরামত সম্ভব হয়। ২০১২ সালে ১৫৩ কোটি টাকার বাজেটে এই কারখানার আধুনিকায়ন করা হয়। ১৭টি ওয়ার্কশপ সংস্কার, ৪৩ ধরনের মেকানিক্যাল ও ১৩ ধরনের ইলেকট্রিক্যাল মেশিন প্রতিস্থাপন, ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন এবং একটি ওভারহেড পানির ট্যাংক নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু দক্ষ জনবল না থাকায় আধুনিকায়নের সুফল আসতে পারেনি। আধুনিক যন্ত্রপাতি পড়ে আছে অচল অবস্থায়, কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। একই সঙ্গে কাঁচামালের অভাব এবং বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে উৎপাদন মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে।
ক্যারেজ শপের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম বলেন, “৩৯৫টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র ৮৫ জন। জনবল সংকটে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন ও সার্বিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ ট্রেনের রেক মেরামত এবং বিদেশ থেকে আনা নতুন ট্রেনের অ্যাসেম্বলিংয়েও বিঘ্ন ঘটছে।”
রেলওয়ে শ্রমিক এপ্লয়ীজ লীগ কারখানা শাখার সম্পাদক মো: খায়রুল বাশার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী চার বছর পরপর সাময়িক সংস্কার (পিওএইচ) এবং ১২ বছর পর সাধারণ সংস্কার (জিওএইচ) করা উচিত। কিন্তু জনবল ও কাঁচামালের অভাবে বহু কোচ বছরের পর বছর মেরামত ছাড়াই পড়ে আছে শ্রমিকরা মনে করছেন, শূন্যপদ পূরণ এবং সময়মতো কাঁচামালের সরবরাহ ছাড়া কারখানার উৎপাদন আগের অবস্থায় ফেরানো সম্ভব নয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু সন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইন উদ্দিন বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ফাউন্ডি সোপ, ক্যারেজ সোপ, ওয়াগন সোপ, সিএনডাব্ল সোপ, ব্রিটিশ রানীর সেলুন চেয়ার কোচ ও রেলওয়ে জাদুঘর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাকে আধুনিকায়ন ও সংকট নিরসনের জন্য সরকার আননন্তরিকভাবে কাজ করছে। শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ, কাঁচামালের সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং নষ্ট মেশিন সচল করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগিরই কারখানাটি পুনরায় কর্মমুখর হবে।”
তিনি আরও বলেন, এটি শুধু রেলওয়ের জন্য নয়, জাতীয় অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিশেষ তহবিল বরাদ্দ এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ সময় বাংলাদেশ রেলেওয়ের মহাপরিচালক মো আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, রাজবাড়িতে যে কারখানা নির্মাণের কথা বলা হয়েছিল, তা স্থগিত রয়েছে। আপাতত সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাকে কেন্দ্র করে উন্নয়নের পরিকল্পনা চলছে। সাথে শ্রমিকদের পদোন্নতী নিয়ে বৈষম্য বিষয়ে বলেন, বিষয়টিতে আইনি জটিলতা রয়েছে। তাই এখনি কোন সমাধান দেওয়া সম্ভব নয়।
পরে কারখানাটির সম্মেলন কক্ষে এডিজি আহমেদ মাহবুব চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক-পূর্ব, চট্টগ্রাম মোঃ সুবক্তগীন, সিএমই-পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহীর মো: সাদেকুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক-পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহীর মোঃ ফরিদ আহমেদ, বিভাগীয় তত্বাবধায়ক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ, বিভাগীয় তত্বাবধায়ক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদসহ কারখানার সকল সোপের ইনচার্জ ও বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দদের সাথে আলোচনা করেন। কারখানার উৎপাদন, আধুনিকায়ন ও কর্মপরিবেশ সম্পর্কে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করেন। এর আগে তিনি বেলা ১১ টায় পার্বতিপুর লোকোমোটিভ কারখানা পরিদর্শস করেন। সেখান থেকে বিকাল ৩ টায় পাওয়ার হাউস সংলগ্ন এলাকায় প্রকল্পের মাধ্যমে কোচ সংস্কারের কাজ পরিদর্শন করেন।
পাকিস্তান আমল ও স্বাধীনতার পরও এটি দেশের রেল খাতের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে কাজ করত। একসময় এখানে প্রায় ১২-১৫ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। কিন্তু আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন উদ্যোগের অভাব, বাজেট সংকট, এবং নতুন প্রযুক্তি সংযোগের অভাবে ক্রমে এটি ধীরে ধীরে হারিয়েছে তার প্রাচীন গৌরব। বর্তমানে অনুমোদিত কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীর পদ ২৮৫৯, যার মধ্যে কমর্রত আছেন মাত্র ৭১৬ জন। অর্থাৎ দুই হাজারের বেশি পদ শূন্য। ফলে প্রতিদিন তিনটি কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও কার্যত দুইটিই মেরামত সম্ভব হয়। ২০১২ সালে ১৫৩ কোটি টাকার বাজেটে এই কারখানার আধুনিকায়ন করা হয়। ১৭টি ওয়ার্কশপ সংস্কার, ৪৩ ধরনের মেকানিক্যাল ও ১৩ ধরনের ইলেকট্রিক্যাল মেশিন প্রতিস্থাপন, ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন এবং একটি ওভারহেড পানির ট্যাংক নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু দক্ষ জনবল না থাকায় আধুনিকায়নের সুফল আসতে পারেনি। আধুনিক যন্ত্রপাতি পড়ে আছে অচল অবস্থায়, কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। একই সঙ্গে কাঁচামালের অভাব এবং বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে উৎপাদন মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে।
ক্যারেজ শপের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম বলেন, “৩৯৫টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র ৮৫ জন। জনবল সংকটে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন ও সার্বিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ ট্রেনের রেক মেরামত এবং বিদেশ থেকে আনা নতুন ট্রেনের অ্যাসেম্বলিংয়েও বিঘ্ন ঘটছে।”
রেলওয়ে শ্রমিক এপ্লয়ীজ লীগ কারখানা শাখার সম্পাদক মো: খায়রুল বাশার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী চার বছর পরপর সাময়িক সংস্কার (পিওএইচ) এবং ১২ বছর পর সাধারণ সংস্কার (জিওএইচ) করা উচিত। কিন্তু জনবল ও কাঁচামালের অভাবে বহু কোচ বছরের পর বছর মেরামত ছাড়াই পড়ে আছে শ্রমিকরা মনে করছেন, শূন্যপদ পূরণ এবং সময়মতো কাঁচামালের সরবরাহ ছাড়া কারখানার উৎপাদন আগের অবস্থায় ফেরানো সম্ভব নয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু সন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইন উদ্দিন বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ফাউন্ডি সোপ, ক্যারেজ সোপ, ওয়াগন সোপ, সিএনডাব্ল সোপ, ব্রিটিশ রানীর সেলুন চেয়ার কোচ ও রেলওয়ে জাদুঘর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাকে আধুনিকায়ন ও সংকট নিরসনের জন্য সরকার আননন্তরিকভাবে কাজ করছে। শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ, কাঁচামালের সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং নষ্ট মেশিন সচল করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগিরই কারখানাটি পুনরায় কর্মমুখর হবে।”
তিনি আরও বলেন, এটি শুধু রেলওয়ের জন্য নয়, জাতীয় অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিশেষ তহবিল বরাদ্দ এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ সময় বাংলাদেশ রেলেওয়ের মহাপরিচালক মো আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, রাজবাড়িতে যে কারখানা নির্মাণের কথা বলা হয়েছিল, তা স্থগিত রয়েছে। আপাতত সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাকে কেন্দ্র করে উন্নয়নের পরিকল্পনা চলছে। সাথে শ্রমিকদের পদোন্নতী নিয়ে বৈষম্য বিষয়ে বলেন, বিষয়টিতে আইনি জটিলতা রয়েছে। তাই এখনি কোন সমাধান দেওয়া সম্ভব নয়।
পরে কারখানাটির সম্মেলন কক্ষে এডিজি আহমেদ মাহবুব চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক-পূর্ব, চট্টগ্রাম মোঃ সুবক্তগীন, সিএমই-পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহীর মো: সাদেকুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক-পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহীর মোঃ ফরিদ আহমেদ, বিভাগীয় তত্বাবধায়ক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ, বিভাগীয় তত্বাবধায়ক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদসহ কারখানার সকল সোপের ইনচার্জ ও বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দদের সাথে আলোচনা করেন। কারখানার উৎপাদন, আধুনিকায়ন ও কর্মপরিবেশ সম্পর্কে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করেন। এর আগে তিনি বেলা ১১ টায় পার্বতিপুর লোকোমোটিভ কারখানা পরিদর্শস করেন। সেখান থেকে বিকাল ৩ টায় পাওয়ার হাউস সংলগ্ন এলাকায় প্রকল্পের মাধ্যমে কোচ সংস্কারের কাজ পরিদর্শন করেন।
Reporter Name 


















