স্থানীয়রা জানায়, প্রায় এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে জুথি খাতুনের বিয়ে হয় গাজীপুরের বাসিন্দা তানভীরের সাথে। তবে বিয়ের কিছু দিন পর তিনি জানতে পারেন তানভীরের আরও একটি স্ত্রী রয়েছে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। একপর্যায়ে জুথি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে নওগাঁয় বাবার বাড়িতে চলে আসেন এবং আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার আজ নির্ধারিত তারিখ থাকায় তিনি তার মাকে সাথে নিয়ে আদালতে যাচ্ছিলের। এরমধ্যে সকাল পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলার কাঁঠালতলী মোড়ে একটি মাইক্রো রেখে মোড় সংলগ্ন ভবানীপুর গ্রামে যাওয়ার গলির ভেতরে পূর্বে থেকেই ওৎ পেতে থাকা অবস্থায় জুথি খাতুনকে ছুরির আঘাত করে পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী তানভীর ইসলাম। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা জুথি খাতুনকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত জুথির বাবা ঝন্টু বলেন, এক বছর আগে আমার মেয়ের বিয়ে দিই। তার স্বামী পরিবারের লোকজনের অত্যাচার সে চলে আসে। এরপর আদালতে মামলা দায়ের করে। সে মামলার হাজিরা দিতে সে আজ আদালতে যাচ্ছিল। পথে তাকে তানভীর ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা পালিয়ে যায়।

এবিষয়ে জানতে তানভীর ইসলামের মুঠোফোনে কল দিলে সেটা বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নওগাঁ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  নুরে আলম সিদ্দিকী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।