ঢাকা ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুর্গাপুরে ‎রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  Logo শীতের গন্ধ, তাপমাত্রা কমছে প্রতিদিন দুই ডিগ্রি ঈশ্বরদীতে দোকানে উঠছে শীতের সোয়েটার-জ্যাকেট, কম্বল Logo পদ্মার চরজুড়ে চলছে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ Logo নীলফামারীতে চার দফা দাবী বাস্তবায়নে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানবন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন Logo বিএনপি অফিস ভাংচুর মামলায়  ছাত্রলীগ নেতা আটক   Logo দেশের চলমান সব সংকট নাটকের অংশ, মানুষ ভোট দিতে চায়: মির্জা ফখরুল Logo ধেয়ে আসছে মৌসুমের প্রথম কুয়াশা বেল্ট Logo ১৩ নভেম্বর রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ শুরু Logo যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘতম শাটডাউন অবসানের পথ খুঁজছেন সিনেটররা Logo যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউনে ১ হাজার ৪০০-এর বেশি ফ্লাইট বাতিল

রোদ,বৃষ্টি ও শব্দ দুষনের শিকার  সৈয়দপুরের ট্রাফিক পুলিশ 

জনবল সংকটের পরওনরোদ, বৃদ্ধি আর শব্দ দুষনের শিকার হয়েও নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে চলেছেন সৈয়দপুর ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, ট্রাফিক সার্জেন্ট ও ট্রাফিক সদস্যরা। সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ভাদ্রের চড়া রোদ ও শব্দ দুষনে তাদের অনেকেরই মুখ আর হাতের চামরা পুড়ে গেছে। শরীর দিয়ে অনবরত ঝরছে ঘাম। তবুও দায়িত্ব পালনে পিছপা হয়নি তারা।
দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কি কি সমস্যা হচ্ছে জানতে চাইলে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহফুজ ও সার্জেন্ট নাহিদ ও জাহাঙ্গীর জানান, দেশের অষ্টম বানিজ্যিক শহর হলো নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর। একারণে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার মানুষ আসেন এই শহরে। বানিজ্যিক শহরে খ্যাতি অর্জন করলেও আয়তনে অনেক ছোট্ট এ শহর। গিন্জি এ শহরে মানুষের যাতায়াত, আর যানবাহনের হর্ণ বাজানোটাই বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে। এ শহরের মানুষ ট্রাফিক আইন সমন্ধে তেমন একটা জানেন না,আর যানবাহন গুলো অযথাই হর্ণ দেয়। ফলে মাঝে মধ্যে বিরক্তি বোধ করি। তারা বলেন, মানুষের ভীর আর হর্ণ বাজানোর ফলে আমাদের অনেকেরই কানের সমস্যা হয়েছে। ডিউটি চলাকালীন তেমন একটা অনুভব না হলেও ডিউটি শেষে বাসায় গেলে বুঝা যায় আমাদের কানের কতটা সমস্যা হয়েছে। বাসায় আমরা যে ভলিয়ামে টেলিভিশন দেখি ও শুনি, তাতে পরিবারের সদস্যদের কান ঝালাপালা হয়ে যায়। ওই সময় আমরা বুঝতে পারি শব্দ দুষনের কারনে আমাদের প্রায় সকলেরই কান নষ্টের পথে। আর প্রখর রোদে মুখ ও হাতের চামরা পুড়ে কালো হয়ে গেছে। তারা বলেন, আমাদের ট্রাফিক বিভাগে জনবল সংকট রয়েছে। জনবল সংকটের কারনে হিমসিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সারাদিন ডিউটি করতে গিয়ে মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে। শুধু মাত্র প্রচন্ড রোদ আর শব্দ দুষনের কারনে ইচ্ছে না থাকা সত্বেও রিক্সা ও ভ্যান চালকদের দুর্ব্যবহার করতে হচ্ছে। তারা বলেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন পৌর প্রশাসক। পৌরসভার দায়িত্ব পালনে অনিহার কারনে ব্যবসায়িরা তাদের দোকানকে বানিয়েছেন গোডাউন আর রাস্তা ও ফুটপাতকে বানিয়েছেন মালামাল রাখার স্হান। আয়তনে ছোট এ শহরে এমনিতেই রাস্তা সরু।এরপরেও ফুটপাত ও রাস্তার কিছু অংশ দখল করে ব্যবসায়িরা তাদের ব্যবসা জমজমাট ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন।ফলে যানযট নিরসন হচ্ছে না। রোদ বৃষ্টিতে দায়িত্ব পালন করতে এবং বিরতি হীন ভাবে হর্ণের শব্দে শরীর ও কানের অবস্থা ভালো না। তারা বলেন, প্রায় ১৫/১৬ ঘন্টা ডিউটি শেষে বাড়ি গেলেও মনে হয় ডিউটির মধ্যেই আছি। সারাক্ষণ কানে কিসের যেন আওয়াজ করে। বাড়িতে ও মেজাজ থাকে খিটখিটে।
স্হানীয়রা বলেন,ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহফুজ, সার্জেন্ট নাহিদ ও জাহাঙ্গীর এর জন্যই সৈয়দপুরের মানুষ কিছুটা হলেও যানযট মুক্ত হয়েছেন।তাদের হাড় ভাংগা পরিশ্রমের ফলে সৈয়দপুর শহরের কোথাও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে না বলে জানান অনেকেই।
শহরের নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাহাবুব আলম বলেন, মানুষের শ্রবন শক্তির ক্ষমতা থাকে ২৫ ডেসিবল পর্যন্ত। এর বেশি হলেই কানের সমস্যা হবেই।তিনি বলেন প্রায় প্রতিটি যানবাহনের হর্ণের শব্দ হলো ৪০ থেকে ২০০ ভেসিবল। প্রতিদিনই যদি ওই মাত্রার শব্দ শ্রবন করতে হয়,তাহলে ধীরে ধীরে শ্রবন শক্তি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ বলে জানান তিনি।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্গাপুরে ‎রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন 

রোদ,বৃষ্টি ও শব্দ দুষনের শিকার  সৈয়দপুরের ট্রাফিক পুলিশ 

Update Time : ০২:৩৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জনবল সংকটের পরওনরোদ, বৃদ্ধি আর শব্দ দুষনের শিকার হয়েও নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে চলেছেন সৈয়দপুর ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, ট্রাফিক সার্জেন্ট ও ট্রাফিক সদস্যরা। সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ভাদ্রের চড়া রোদ ও শব্দ দুষনে তাদের অনেকেরই মুখ আর হাতের চামরা পুড়ে গেছে। শরীর দিয়ে অনবরত ঝরছে ঘাম। তবুও দায়িত্ব পালনে পিছপা হয়নি তারা।
দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কি কি সমস্যা হচ্ছে জানতে চাইলে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহফুজ ও সার্জেন্ট নাহিদ ও জাহাঙ্গীর জানান, দেশের অষ্টম বানিজ্যিক শহর হলো নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর। একারণে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার মানুষ আসেন এই শহরে। বানিজ্যিক শহরে খ্যাতি অর্জন করলেও আয়তনে অনেক ছোট্ট এ শহর। গিন্জি এ শহরে মানুষের যাতায়াত, আর যানবাহনের হর্ণ বাজানোটাই বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে। এ শহরের মানুষ ট্রাফিক আইন সমন্ধে তেমন একটা জানেন না,আর যানবাহন গুলো অযথাই হর্ণ দেয়। ফলে মাঝে মধ্যে বিরক্তি বোধ করি। তারা বলেন, মানুষের ভীর আর হর্ণ বাজানোর ফলে আমাদের অনেকেরই কানের সমস্যা হয়েছে। ডিউটি চলাকালীন তেমন একটা অনুভব না হলেও ডিউটি শেষে বাসায় গেলে বুঝা যায় আমাদের কানের কতটা সমস্যা হয়েছে। বাসায় আমরা যে ভলিয়ামে টেলিভিশন দেখি ও শুনি, তাতে পরিবারের সদস্যদের কান ঝালাপালা হয়ে যায়। ওই সময় আমরা বুঝতে পারি শব্দ দুষনের কারনে আমাদের প্রায় সকলেরই কান নষ্টের পথে। আর প্রখর রোদে মুখ ও হাতের চামরা পুড়ে কালো হয়ে গেছে। তারা বলেন, আমাদের ট্রাফিক বিভাগে জনবল সংকট রয়েছে। জনবল সংকটের কারনে হিমসিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সারাদিন ডিউটি করতে গিয়ে মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে। শুধু মাত্র প্রচন্ড রোদ আর শব্দ দুষনের কারনে ইচ্ছে না থাকা সত্বেও রিক্সা ও ভ্যান চালকদের দুর্ব্যবহার করতে হচ্ছে। তারা বলেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন পৌর প্রশাসক। পৌরসভার দায়িত্ব পালনে অনিহার কারনে ব্যবসায়িরা তাদের দোকানকে বানিয়েছেন গোডাউন আর রাস্তা ও ফুটপাতকে বানিয়েছেন মালামাল রাখার স্হান। আয়তনে ছোট এ শহরে এমনিতেই রাস্তা সরু।এরপরেও ফুটপাত ও রাস্তার কিছু অংশ দখল করে ব্যবসায়িরা তাদের ব্যবসা জমজমাট ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন।ফলে যানযট নিরসন হচ্ছে না। রোদ বৃষ্টিতে দায়িত্ব পালন করতে এবং বিরতি হীন ভাবে হর্ণের শব্দে শরীর ও কানের অবস্থা ভালো না। তারা বলেন, প্রায় ১৫/১৬ ঘন্টা ডিউটি শেষে বাড়ি গেলেও মনে হয় ডিউটির মধ্যেই আছি। সারাক্ষণ কানে কিসের যেন আওয়াজ করে। বাড়িতে ও মেজাজ থাকে খিটখিটে।
স্হানীয়রা বলেন,ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহফুজ, সার্জেন্ট নাহিদ ও জাহাঙ্গীর এর জন্যই সৈয়দপুরের মানুষ কিছুটা হলেও যানযট মুক্ত হয়েছেন।তাদের হাড় ভাংগা পরিশ্রমের ফলে সৈয়দপুর শহরের কোথাও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে না বলে জানান অনেকেই।
শহরের নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাহাবুব আলম বলেন, মানুষের শ্রবন শক্তির ক্ষমতা থাকে ২৫ ডেসিবল পর্যন্ত। এর বেশি হলেই কানের সমস্যা হবেই।তিনি বলেন প্রায় প্রতিটি যানবাহনের হর্ণের শব্দ হলো ৪০ থেকে ২০০ ভেসিবল। প্রতিদিনই যদি ওই মাত্রার শব্দ শ্রবন করতে হয়,তাহলে ধীরে ধীরে শ্রবন শক্তি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ বলে জানান তিনি।