ঢাকা ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত
রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের দুর্নীতি

“বালিশ কাণ্ডে” চাকরি গেল আরো এক প্রকৌশলীর, অন্যজনের বেতন কমেছে

পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর গ্রিনসিটি প্রকল্পের কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের আরো এক উপসহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) খন্দকার মো. আহসানুল হককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ নিয়ে মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

খন্দকার মো. আহসানুল হক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম), রাজশাহী গণপূর্ত সার্কেলে কর্মরত থাকা অবস্থায় রূপপুর গ্রিনসিটি প্রকল্পের (২০১৯ সালে নির্মাণাধীন) ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি ওই সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই বিষয়ে ২০১৯ সালের ৫ মে গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত পৃথক তদন্ত কমিটি কর্তৃক দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকল্পের কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। পরে বিভাগীয় তদন্তেও ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন প্রস্তুতের সাথে সরাসরি জড়িত থেকে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩ উপবিধি (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য খন্দকার মো. আহসানুল হককে ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ মোতাবেক সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৪ এর উপবিধি ৩ এর (খ)অনুযায়ী তাকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান গুরুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
উপসহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) খন্দকার মো. আহসানুল হকের বিরু

দ্ধে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলার বিষয়ে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ গ্রহণপূর্বক এবং রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সোমবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সই করা পৃথক আদেশের মাধ্যমে গুরুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানায় পাবনার ঈশ্বরদী রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের (২০১৯ সালে নির্মাণাধীন) ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে ওঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহীন উদ্দিনকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং অন্য আর একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেনকে নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ওই প্রকল্পের আবাসিক ভবনের জন্য ১৬৯ কোটি টাকার কেনাকাটায় পদে পদে দুর্নীতির খবর উঠে আসে বিভিন্ন গনমাধ্যমে।

এতে বলা হয়, গণপূর্ত অধিদপ্তরে কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জোন ভিত্তিক যে কেনাকাটা হয়ে থাকে, তার বার্ষিক একটি পরিকল্পনা থাকে। সে ক্ষেত্রে ৩০ কোটি টাকার নিচে কেনাকাটা হলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অনুমোদন লাগে না, স্থানীয় পর্যায়েই করা যায়। এর সুযোগ নিয়ে ১৬৯ কোটি টাকার কাজ ৬টি প্যাকেজে ভাগ করা হয়। ফলে প্রতিটি কাজের মূল্য ৩০ কোটি টাকার নিচে হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন পড়েনি।

সেখানে প্রতিটি বালিশ কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা। আর প্রতিটি বালিশ আবাসিক ভবনের খাটে তোলার মজুরি দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। কভারসহ কমফোর্টারের (লেপ বা কম্বলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত) দাম ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৮০০ টাকা। যদিও এর বাজারমূল্য সাড়ে ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ১৩ হাজার টাকা। একইভাবে বিদেশি বিছানার চাদর কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৯৩৬ টাকায়। এর বাজারমূল্য অবশ্য ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।

পাঁচটি ২০ তলা ভবনের জন্য এসব কেনাকাটা হয়েছে। প্রতিটি তলায় রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট। প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য কমফোর্টার শুধু বেশি দামে কেনাই হয়নি, কেনার পর দোকান থেকে প্রকল্প এলাকায় পৌঁছাতে আলাদা ট্রাক ব্যবহার করা হয়েছে। মাত্র ৩০টি কমফোর্টারের জন্য ৩০ হাজার টাকা ট্রাক ভাড়া দেখানো হয়েছে। আর একেকটি কমফোর্টার খাট পর্যন্ত তুলতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ২ হাজার ১৪৭ টাকা। কমফোর্টার ঠিকঠাক মতো খাট পর্যন্ত তোলা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য তত্ত্বাবধানকারীর পারিশ্রমিক দেখানো হয়েছে প্রতিটির ক্ষেত্রে ১৪৩ টাকা। ঠিকাদারকে ১০ শতাংশ লাভ ধরে সম্পূরক শুল্কসহ সব মিলিয়ে প্রতিটি কমফোর্টারের জন্য খরচ দেখানো হয়েছে ২২ হাজার ৫৮৭ টাকা।

শুধু কমফোর্টার নয়, চাদরের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছে। ৩০টি চাদর আনতে ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ট্রাক ভাড়া করা হয়েছে। আর ভবনের নিচ থেকে খাট পর্যন্ত তুলতে প্রতিটি চাদরের জন্য মজুরি দেখানো হয়েছে ৯৩১ টাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার

রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের দুর্নীতি

“বালিশ কাণ্ডে” চাকরি গেল আরো এক প্রকৌশলীর, অন্যজনের বেতন কমেছে

Update Time : ১০:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর গ্রিনসিটি প্রকল্পের কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের আরো এক উপসহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) খন্দকার মো. আহসানুল হককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ নিয়ে মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

খন্দকার মো. আহসানুল হক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম), রাজশাহী গণপূর্ত সার্কেলে কর্মরত থাকা অবস্থায় রূপপুর গ্রিনসিটি প্রকল্পের (২০১৯ সালে নির্মাণাধীন) ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি ওই সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই বিষয়ে ২০১৯ সালের ৫ মে গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত পৃথক তদন্ত কমিটি কর্তৃক দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকল্পের কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। পরে বিভাগীয় তদন্তেও ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন প্রস্তুতের সাথে সরাসরি জড়িত থেকে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩ উপবিধি (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য খন্দকার মো. আহসানুল হককে ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ মোতাবেক সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৪ এর উপবিধি ৩ এর (খ)অনুযায়ী তাকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান গুরুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
উপসহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) খন্দকার মো. আহসানুল হকের বিরু

দ্ধে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলার বিষয়ে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ গ্রহণপূর্বক এবং রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সোমবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সই করা পৃথক আদেশের মাধ্যমে গুরুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানায় পাবনার ঈশ্বরদী রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের (২০১৯ সালে নির্মাণাধীন) ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে ওঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহীন উদ্দিনকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং অন্য আর একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেনকে নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ওই প্রকল্পের আবাসিক ভবনের জন্য ১৬৯ কোটি টাকার কেনাকাটায় পদে পদে দুর্নীতির খবর উঠে আসে বিভিন্ন গনমাধ্যমে।

এতে বলা হয়, গণপূর্ত অধিদপ্তরে কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জোন ভিত্তিক যে কেনাকাটা হয়ে থাকে, তার বার্ষিক একটি পরিকল্পনা থাকে। সে ক্ষেত্রে ৩০ কোটি টাকার নিচে কেনাকাটা হলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অনুমোদন লাগে না, স্থানীয় পর্যায়েই করা যায়। এর সুযোগ নিয়ে ১৬৯ কোটি টাকার কাজ ৬টি প্যাকেজে ভাগ করা হয়। ফলে প্রতিটি কাজের মূল্য ৩০ কোটি টাকার নিচে হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন পড়েনি।

সেখানে প্রতিটি বালিশ কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা। আর প্রতিটি বালিশ আবাসিক ভবনের খাটে তোলার মজুরি দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। কভারসহ কমফোর্টারের (লেপ বা কম্বলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত) দাম ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৮০০ টাকা। যদিও এর বাজারমূল্য সাড়ে ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ১৩ হাজার টাকা। একইভাবে বিদেশি বিছানার চাদর কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৯৩৬ টাকায়। এর বাজারমূল্য অবশ্য ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।

পাঁচটি ২০ তলা ভবনের জন্য এসব কেনাকাটা হয়েছে। প্রতিটি তলায় রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট। প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য কমফোর্টার শুধু বেশি দামে কেনাই হয়নি, কেনার পর দোকান থেকে প্রকল্প এলাকায় পৌঁছাতে আলাদা ট্রাক ব্যবহার করা হয়েছে। মাত্র ৩০টি কমফোর্টারের জন্য ৩০ হাজার টাকা ট্রাক ভাড়া দেখানো হয়েছে। আর একেকটি কমফোর্টার খাট পর্যন্ত তুলতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ২ হাজার ১৪৭ টাকা। কমফোর্টার ঠিকঠাক মতো খাট পর্যন্ত তোলা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য তত্ত্বাবধানকারীর পারিশ্রমিক দেখানো হয়েছে প্রতিটির ক্ষেত্রে ১৪৩ টাকা। ঠিকাদারকে ১০ শতাংশ লাভ ধরে সম্পূরক শুল্কসহ সব মিলিয়ে প্রতিটি কমফোর্টারের জন্য খরচ দেখানো হয়েছে ২২ হাজার ৫৮৭ টাকা।

শুধু কমফোর্টার নয়, চাদরের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছে। ৩০টি চাদর আনতে ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ট্রাক ভাড়া করা হয়েছে। আর ভবনের নিচ থেকে খাট পর্যন্ত তুলতে প্রতিটি চাদরের জন্য মজুরি দেখানো হয়েছে ৯৩১ টাকা।