জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মেহেদি হাসান (৩০) নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।
আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মেহেদি হাসানের বাড়ি আক্কেলপুর পৌরসভার সরদারপাড়া মহল্লায়। তিনি ওই মহল্লার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। অভিযুক্ত শিক্ষক ও ইমাম কেশবপুর তা’লীমুল কোরআন নূরানী হাফেজিয়া ও ক্বওমী মাদ্রাসার শিক্ষক এবং কেশবপুর মন্ডলপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত মেহেদি হাসান মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি প্রতিদিন সকাল বেলা মসজিদের পাশের মাদ্রাসায় দুই ব্যাচে ভাগ করে শিশুদেরকে কোরআন ও নূরানী শিক্ষা দেন।
আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে ক্লাস শেষে মাদ্রাসার সব শিক্ষার্থীদেরকে বাড়ি যেতে বলেন মেহেদি হাসান। শুধু ওই শিশুকে থাকতে বলেন। এরপর শিক্ষক মেহেদী হাসান শিশুটিকে তার রুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
শিশুটি বলেন, আমি আর নুসরাত সকালে মাদ্রাসায় গিয়েছিলাম। তখন হুজুরের (গোপনাঙ্গ) আমার ইয়েতে লেগে দিয়েছে,তারপর আমাকে ১০ টাকা দিয়েছে, ঘটনাটি কাউকে না বলতে। আমি বাড়ি এসে মাকে ১০ টাকা দিয়েছি এবং ঘটনাটি বলে দিয়েছি।
শিশুটির বাবা বলেন, আমার মেয়ে সকাল বেলা আরবি পড়তে আসে। বাসায় গিয়ে আম্মুকে বললো আমার প্যান্ট খুলে নিচে, এবং হুজুরের লঙ্গি আলোক করি লজ্জা স্থান.....। আবার দশটা টাকাও আমাক দিচে, তুমি কাউকে বলো না। এই ঘটনাটি শোনার পরে গ্রামের লোকজনসহ আমরা এখানে এসেছি।
অভিযুক্ত ইমাম মেহেদি হাসান বলেন, সকাল ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত দুই ঘন্টা নূরানী ক্লাস আছে, এভাবেই চলছে, হঠাৎ বাচ্চার মা আর বাবা এসে আমাকে জুতা তোলে, আমি তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন আমি নাকি বাচ্চার প্যান্ট খুলেছি।
আক্কেলপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল আটটার দিকে আট বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে একটি মসজিদের ইমামকে স্থানীয় লোকজন আটক করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে ওই ইমামকে থানায় নিয়ে আসে। এবিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।