
ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. সাইফুল্লাহ আরিফ (৩০)কে পিটিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা। ভোলা শহরের নিজ বাড়ির সামনেই ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা করছে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় জন্য ২জনকে জিঞ্জাসাবাদ করছে পুলিশ।
শনিবার সকালে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কালিবাড়ী রোড এলাকার নববী মসজিদ সংলগ্ন নিজ বাড়ির সামনে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজন। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহত আরিফ ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং স্থানীয় প্রাক্তন শিক্ষক মো. বশির উদ্দিনের ছেলে।
আরিফের বাবা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ৫ আগস্ট থেকে প্রায় ছয় মাস আত্মগোপনে ছিলেন তার ছেলে। তবে সম্প্রতি অসুস্থ বাবাকে দেখতে বাড়ি ফিরে আসেন। শুক্রবার রাতের খাবার শেষে পরিবারের সবার সাথে ঘুমাতে যান তিনি। রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ঘর থেকে ডেকে নিয়ে জবাই করে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
শনিবার ফজরের নামাজের সময় দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে এসে বাড়ির সামনের রাস্তায় আরিফের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তার বাবা। পরে তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে। খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে নিহতের পরিবার সদস্যরা জানিয়েছে, কারা বা কী কারণে আরিফকে হত্যা করেছে তা তাদের জানা নেই। পুলিশের একটি সুত্রজানায়,মাদক ও পারিবারিক বিষয় ঝামেলা থেকে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। সব বিষয় মাথায় নিয়েই তারা তদন্ত করছে। ২জনকে জিঝ্হাসাবাদ করা হচ্ছে।
ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরিফুল হক জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। বিষয়টি উদ্ঘাটনে পুলিশ মাঠে কাজ করছে এবং তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ভোলা প্রতিবেদক 



















