
চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও কৃষি এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাৎ করেই আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে রাজশাহী ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীদের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
হঠাৎ করেই কী কারণে উত্তাল হয়ে উঠলো দেশের ৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়?
এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয়দের সাথে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। রাজশাহীতে চলছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকারের দাবিতে আন্দোলন এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
এরমধ্যে চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত সুবিধা এবং কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ক স্নাতক ছাড়া নামের সাথে ‘কৃষিবিদ’ পদবী ব্যবহার করা যাবে না বলেও একটি দাবি রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হওয়ার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্থার জের ধরে শনিবার (৩০ আগস্ট) মধ্যরাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের বেশিরভাগই হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের নবীণ শিক্ষার্থী এবং ফ্যাসিবাদের সময়ে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের ভোটধিকার দাবিতে রাকসু কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনোনয়নপত্র তুলতে গেলে তারা বাধা দেন। এতে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে ওই শিক্ষার্থীদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাকসু নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনের জন্য প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে তিন দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় দেড় ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ডিএই, বিএডিসি ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দশম গ্রেডের পদ কেবল কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।
নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ছাড়া নবম গ্রেডে (বিএডিসির কোটা বাতিল) পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না। এছাড়া কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ক স্নাতক ছাড়া নামের সাথে ‘কৃষিবিদ’ পদবী ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
বার্তা ডেস্ক 



















