ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা Logo দুর্গাপুরে ‎রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  Logo শীতের গন্ধ, তাপমাত্রা কমছে প্রতিদিন দুই ডিগ্রি ঈশ্বরদীতে দোকানে উঠছে শীতের সোয়েটার-জ্যাকেট, কম্বল Logo পদ্মার চরজুড়ে চলছে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ Logo নীলফামারীতে চার দফা দাবী বাস্তবায়নে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানবন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

ভোলার ইলিশার সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগনেতা হাসানকে গনগণের ধাওয়া

ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ফেরিঘাট বাজার সংলগ্ন এলাকায় গতকাল সন্ধ্যায় ইলিশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসান মিয়ার নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বহিরাগতরা জরো করে। স্থানীয় সাধারণ মানুষ টের পেয়ে তাদের ধাওয়া দেয়।
স্থানীয়রা জানান, সাবেক এই চেয়ারম্যান দ্বায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে সরকারি চাল আত্মসাৎ, টিআর-কাবিখা, কাবিটাসহ নামে বেনামে বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়ম দুর্নীতি কর্মকাণ্ডে জরিত ছিলেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় কুখ্যাত আওয়ামী লীগ এই নেতা, ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২ নং ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসান মিয়া বিএনপি-জামাতসহ সাধারণত মানুষের উপর বিভিন্ন ভাবে মামলা-হামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে। তাই স্থানীয় সাধারণ মানুষ তাদের দুই ভাইর উপর আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিল। ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে ধাওয়া দিলে পালিয়ে প্রাণ বাঁচালেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, হঠাৎ করেই হাসান মিয়া ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ বহিরাগত কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে এলাকায় বিশৃংখলা করার পরিকল্পনা করে। তাৎখনিক ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ টেরপেয়ে তাদের ধাওয়া করে। আতঙ্কে হাসান মিয়া দৌড়ে গিয়ে এক মোটরসাইকেলের পেছনে উঠে পালিয়ে যান।
চাল আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষোভ এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, গরীব জেলেদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত চাল বছরের পর বছর ধরে আত্মসাৎ করেছেন হাসান মিয়া ও তার ভাই হোসেন মিয়া। ফলে এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ সৃস্টি হয়।

স্থানীয়রা জানান,“এই চালচোর হাসান-হোসেনকে যদি দ্রুত গ্রেফতার না করা হয়, শান্ত ইলিশা আবার রক্তাক্ত হবে।” “ফ্যাসিবাদের দোসর এই দুই ভাই বিভিন্ন অফিস নিয়ন্ত্রণ করে এখনো ঠিকাদারি চালিয়ে যাচ্ছে তাদের হাত থেকে সাধারণ ঠিকাদাররা মুক্তি চায়।”এঘটনায় হাসান মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা

ভোলার ইলিশার সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগনেতা হাসানকে গনগণের ধাওয়া

Update Time : ০৯:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ফেরিঘাট বাজার সংলগ্ন এলাকায় গতকাল সন্ধ্যায় ইলিশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসান মিয়ার নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বহিরাগতরা জরো করে। স্থানীয় সাধারণ মানুষ টের পেয়ে তাদের ধাওয়া দেয়।
স্থানীয়রা জানান, সাবেক এই চেয়ারম্যান দ্বায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে সরকারি চাল আত্মসাৎ, টিআর-কাবিখা, কাবিটাসহ নামে বেনামে বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়ম দুর্নীতি কর্মকাণ্ডে জরিত ছিলেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় কুখ্যাত আওয়ামী লীগ এই নেতা, ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২ নং ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসান মিয়া বিএনপি-জামাতসহ সাধারণত মানুষের উপর বিভিন্ন ভাবে মামলা-হামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে। তাই স্থানীয় সাধারণ মানুষ তাদের দুই ভাইর উপর আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিল। ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে ধাওয়া দিলে পালিয়ে প্রাণ বাঁচালেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, হঠাৎ করেই হাসান মিয়া ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ বহিরাগত কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে এলাকায় বিশৃংখলা করার পরিকল্পনা করে। তাৎখনিক ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ টেরপেয়ে তাদের ধাওয়া করে। আতঙ্কে হাসান মিয়া দৌড়ে গিয়ে এক মোটরসাইকেলের পেছনে উঠে পালিয়ে যান।
চাল আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষোভ এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, গরীব জেলেদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত চাল বছরের পর বছর ধরে আত্মসাৎ করেছেন হাসান মিয়া ও তার ভাই হোসেন মিয়া। ফলে এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ সৃস্টি হয়।

স্থানীয়রা জানান,“এই চালচোর হাসান-হোসেনকে যদি দ্রুত গ্রেফতার না করা হয়, শান্ত ইলিশা আবার রক্তাক্ত হবে।” “ফ্যাসিবাদের দোসর এই দুই ভাই বিভিন্ন অফিস নিয়ন্ত্রণ করে এখনো ঠিকাদারি চালিয়ে যাচ্ছে তাদের হাত থেকে সাধারণ ঠিকাদাররা মুক্তি চায়।”এঘটনায় হাসান মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।