প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১০, ২০২৫, ৯:০৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ২৭, ২০২৫, ৪:২১ পি.এম
ভোলায় র্যাব পরিচয়ে যুবককে অপহরণ

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় কাচিয়া ইউনিয়নের আল আমিন নামে এক যুবককে র্যাব পরিচয়ে অস্ত্র দেখিয়ে অপহরন করে বেদড়ক মারধর করে চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে গভীর রাতে ছেড়ে দেয়। অবশ্য নৌ বাহিনীর হস্তক্ষেপে চেক ও ষ্টাম্প ফেরত পেলেও অপহরনকারীদের এখন গ্রেফতার করতে না পারায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
অপহৃত আলআমিন জানায় - কাচিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চকডোষ গ্রামের ছেলে আল আমিন গত ১৭ আগষ্ট সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে একটি দোকানে বসে চা পান করছিলো। ঠিক তখনই অপরিচিত ২ জন লোক আলআমিনকে জাপটে ধরে নিজের র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে আল আমিনের হাতে হাত কড়া লাগায়। তখন একটু দূরে আরো ২ জন সেখানে উপস্হিত হলে মটর সাইকেলে উঠিয়ে পাশ্ববর্তী টবগী ইউনিয়ন পরিষদে আল আমিনকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আল আমিন এর নিকট ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে। আল আমিন দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে তাকে বেদরক মারধর করে। সেখান থেকে নেওয়া হয় মানিকার হাট নামক স্হানে। সেখানেও নির্যাতন করা হয় আলআমিনকে। এক পর্যায়ে সংবাদ দেওয়া হয় পরিবারকে।
সেখানে উপস্হিত হয় ঐ ওয়ার্ডের যুবদল সভাপতি রাসেল সাজি। ঐ যুবদল নেতা র্যাব পরিচয় দান কারীদের সাথে রফাদফা করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার। আল আমিন সে টাকা দিতেও অপরগতা করে। আবারও তাকে মারধর করে। বাড়ি থেকে চেক এনে জোরপূর্বক চেকে ও একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাত ২ টায় উদয়পুর রাস্তার মাথায় এনে তাকে ছেড়ে দেয়। পরদিন ঐ টাকার জন্য রাসেল সাজিকে আল আমিন কে একাধিকবার ফোনে তাগাদা দিতে থাকে।
আল আমিন বিষয়টি স্হানীয় নৌ কন্টিনজেন্ট ও বোরহানউদ্দিন থানায় আলাদা ভাবে ২ টি অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নৌ কন্টিনজেন্টের একটি টিম গত ২২ আগষ্ট রাতে কাচিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ সাদীর কুন্জেরহাটস্হ কার্যালয়ে যায়। সেখানে অবস্হান করে শেখ সাদীর মাধ্যমে রাসেল সাজিকে ডেকে আনে। রাসেলের কথামতে ঐ এলাকার ফকিরহাটের মুরগী খামারী রিয়াজকে ও ডেকে আনে। তাদের চাপে রিয়াজ চেক ও ষ্টাম্প ফেরত দেয়। নৌ বাহিনীর সদস্যরা আল আমিন কে ডেকে এনে চেক ও ষ্ট্যাম্প বুঝিয়ে দিলেও র্যাব পরিচয়দানকরী অপহরন কারীদের এখন গ্রেফতার করতে না পারায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
অপর দিক কাচিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ সাদি হাওলাদার ঘটনার সত্ব্যতা করে বলেন- তিনি কিছুই জানেন না। তবে নৌ বাহিনীর সদস্যরা তার অফিসে এসে অবগত করে। চেক ও ষ্ট্যাম্প উদ্ধার করা হলেও র্যাব পরিচয় দান কারীদের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে।
তবে থানায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান- অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের পাশাপাশি যারা র্যাব পরিচয় দিয়েছে তাদের গ্রেফতারের চেস্টা চলছে।
Copyright © 2025 দৈনিক বার্তা. All rights reserved.