ঢাকা ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo তানোর-গোদাগাড়ীতে প্রার্থী ঘোষণায় সরগরম বিএনপির তৃণমূল Logo বিএনপিতে ফেরায় সংবর্ধিত হলেন কমেট চৌধুরী Logo ঈশ্বরদীতে ক্ষুধায় বাবা মায়ের কবরের কাছে গিয়ে খাবার চাওয়া সাগরের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান Logo জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ১৮ প্রকল্প অনুমোদন Logo দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প  গ্যাস পাওয়ার অপেক্ষা ফুরাচ্ছে না দুই বছরেও Logo আটঘরিয়া জ্যামীর আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ মিছিল, প্রশাসনে স্মারকলিপি প্রদান Logo দৈনিক বার্তার অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার প্রকাশনার সফলতা কামনা করলেন রোকেয়া রাজ্জাক জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার Logo পাবনা-৩ আসনে বিএনপির জনসমুদ্রে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবী Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি
সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা

আইন শক্তিশালী হলেই শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে

বাংলাদেশে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইনকে আরও শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করা অপরিহার্য। জাতিসংঘের আঞ্চলিক সংস্থা ইউএনএসকাপ ঘোষিত সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস (সিআরভিএস) দশকের আওতায় বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসডিজি’র ১৬.৯ লক্ষ্যমাত্রায় জন্ম নিবন্ধনসহ সকলের জন্য বৈধ পরিচয়পত্র প্রদানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। দেশের সকল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আইনগত ভবে নিবন্ধনের দায়িত্ব প্রদান করা হলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। রাজধানীর বিআইপি কনফারেন্স রুমে ২৩-২৪ আগস্ট ২০২৫ এ অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন: অগ্রগতি, প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়” শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সাংবাদিক কর্মশালায় এসব বিষয় তুলে ধরেন আলোচকবৃন্দ। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ৩০জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধনের হার ৫০ শতাংশ, যা বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অগ্রগতির তুলনায় অনেক কম। ইউনিসেফ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বে জন্ম নিবন্ধনের গড় হার ৭৭ শতাংশ এবং দক্ষিণ এশিয়াতে এটি ৭৬ শতাংশ। মৃত্যু নিবন্ধনেও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ, যা বর্তমানে হার ৪৭ শতাংশ। অথচ বৈশ্বিক গড় হার ৭৪ শতাংশ। উল্লেখ্য, ব্যক্তিগত পর্যায়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নাগরিকত্ব, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার ও ভোটাধিকারের মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে। অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সঠিক জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য তথ্য পরিকল্পনা, বাজেট, জনস্বাস্থ্য ও সুশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

কর্মশালায় আরও জানানো হয়, দেশের প্রায় ৬৭% শিশু স্বাস্থ্য সেবার আওতায় জন্মগ্রহণ করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষমতা অর্পন করা হয়নি। এছাড়াও বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নিবন্ধকের নিকট জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য প্রদানের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পরিবারকে দিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বকে ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে। বৈশ্বিক অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ব্যক্তির বদলে প্রতিষ্ঠানের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করলে নিবন্ধনের হার বৃদ্ধি পায়। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহ হাসপাতালে সংঘটিত সকল জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রদান করায় অনেক দেশ শতভাগ বা তার কাছাকাছি জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন হার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

বাংলাদেশে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে জনসচেতনতার ঘাটতি, নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জটিলতা, প্রযুক্তিগত সমস্যাসহ স্বাস্থ্যখাতের সাথে দুর্বল সমন্বয় আইন বাস্তবায়নে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলে কর্মশালায় জানান বক্তারা। বিদ্যমান আইনের কার্যকর বাস্তবায়নের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেন তারা। আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতাও জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের অগ্রগতিকে ব্যাহত করছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। এক্ষেত্রে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ সংশোধনের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক অথবা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহে সংঘটিত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্ব আইনগতভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রদান করা হলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রার পাশাপাশি এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ত্বরান্বিত হবে কর্মশালায় জানানো হয়।

জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস বলেন, “আইন সংশোধন করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্ব আইনগতভাবে সাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের নিকট প্রদান করা হলে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যেই শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে।”

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস-এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. নজরুল ইসলাম ও মো. মঈন উদ্দিন, চ্যানেল আই-এর সিনিয়র নিউজ এডিটর মীর মাসরুর জামান, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা’র কনভেনর লিটন হায়দার, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ ও মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র কর্মসূচি প্রধান হাসান শাহরিয়ার এবং কোঅর্ডিনেটর মাশিয়াত আবেদিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোর-গোদাগাড়ীতে প্রার্থী ঘোষণায় সরগরম বিএনপির তৃণমূল

সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা

আইন শক্তিশালী হলেই শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে

Update Time : ১০:৪৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইনকে আরও শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করা অপরিহার্য। জাতিসংঘের আঞ্চলিক সংস্থা ইউএনএসকাপ ঘোষিত সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস (সিআরভিএস) দশকের আওতায় বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসডিজি’র ১৬.৯ লক্ষ্যমাত্রায় জন্ম নিবন্ধনসহ সকলের জন্য বৈধ পরিচয়পত্র প্রদানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। দেশের সকল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আইনগত ভবে নিবন্ধনের দায়িত্ব প্রদান করা হলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। রাজধানীর বিআইপি কনফারেন্স রুমে ২৩-২৪ আগস্ট ২০২৫ এ অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন: অগ্রগতি, প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়” শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সাংবাদিক কর্মশালায় এসব বিষয় তুলে ধরেন আলোচকবৃন্দ। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ৩০জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধনের হার ৫০ শতাংশ, যা বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অগ্রগতির তুলনায় অনেক কম। ইউনিসেফ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বে জন্ম নিবন্ধনের গড় হার ৭৭ শতাংশ এবং দক্ষিণ এশিয়াতে এটি ৭৬ শতাংশ। মৃত্যু নিবন্ধনেও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ, যা বর্তমানে হার ৪৭ শতাংশ। অথচ বৈশ্বিক গড় হার ৭৪ শতাংশ। উল্লেখ্য, ব্যক্তিগত পর্যায়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নাগরিকত্ব, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার ও ভোটাধিকারের মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে। অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সঠিক জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য তথ্য পরিকল্পনা, বাজেট, জনস্বাস্থ্য ও সুশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

কর্মশালায় আরও জানানো হয়, দেশের প্রায় ৬৭% শিশু স্বাস্থ্য সেবার আওতায় জন্মগ্রহণ করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষমতা অর্পন করা হয়নি। এছাড়াও বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নিবন্ধকের নিকট জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য প্রদানের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পরিবারকে দিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বকে ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে। বৈশ্বিক অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ব্যক্তির বদলে প্রতিষ্ঠানের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করলে নিবন্ধনের হার বৃদ্ধি পায়। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহ হাসপাতালে সংঘটিত সকল জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রদান করায় অনেক দেশ শতভাগ বা তার কাছাকাছি জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন হার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

বাংলাদেশে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে জনসচেতনতার ঘাটতি, নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জটিলতা, প্রযুক্তিগত সমস্যাসহ স্বাস্থ্যখাতের সাথে দুর্বল সমন্বয় আইন বাস্তবায়নে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলে কর্মশালায় জানান বক্তারা। বিদ্যমান আইনের কার্যকর বাস্তবায়নের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেন তারা। আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতাও জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের অগ্রগতিকে ব্যাহত করছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। এক্ষেত্রে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ সংশোধনের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক অথবা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহে সংঘটিত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্ব আইনগতভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রদান করা হলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রার পাশাপাশি এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ত্বরান্বিত হবে কর্মশালায় জানানো হয়।

জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস বলেন, “আইন সংশোধন করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্ব আইনগতভাবে সাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের নিকট প্রদান করা হলে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যেই শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে।”

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস-এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. নজরুল ইসলাম ও মো. মঈন উদ্দিন, চ্যানেল আই-এর সিনিয়র নিউজ এডিটর মীর মাসরুর জামান, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা’র কনভেনর লিটন হায়দার, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ ও মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র কর্মসূচি প্রধান হাসান শাহরিয়ার এবং কোঅর্ডিনেটর মাশিয়াত আবেদিন।