ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত

নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দী হাজারো মানুষ

জেলায় উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি আরও বেড়েছে। পানিবন্দী হাজারো মানুষ। আজ  বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কথা জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র।

তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখাড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুল্লা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে এসব ইউনিয়নের অন্তত ২৫ গ্রামের ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। এসব পরিবারের অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাঁড়সিংহেশ্বর গ্রামের আব্দুল মতিন (৫৫) বলেন, ‘গত রাত থেকে পানিবন্দী রয়েছি। এখন ক্রমেই পানি বাড়ছে, শেষে ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে’।

তিনি জানান, তার মত অবস্থা গ্রামের অন্তত ৫০০ পরিবারের। নদীর পানি আরও বাড়লে এসব পরিবারকে ছাড়তে হবে বাড়ি-ঘর।

খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর গ্রামের বিপুল রায় (৪০) বলেন,‘নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে তলিয়ে গেছে এলাকার আমন ক্ষেত। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করছেন’।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন,‘ তিস্তা অববাহিকার বড় গ্রাম ঝাড়সিংশ্বর ও পূর্ব ছাতনাই। নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে ওই দুই গ্রামের এক হাজার ২০০ প্রস্তুতি নিচ্ছে।

টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দী মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটতে শুরু করেছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র মতে, উজানের ঢলে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর সকাল নয়টায় চার সেন্টিমিটার বেড়ে ১৫ সেন্টিমিটার এবং বেলা ১২টায় আরও তিন সেন্টিমিটার বেড়ে ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। গতকাল বুধবার  সেখানে সকাল ছয়টায় সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সকাল নয়টায় পাঁচ সেন্টিমিটার এবং সন্ধ্যা ছয়টায় বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন,‘উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখে সতর্কাবস্থায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড’।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার

নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দী হাজারো মানুষ

Update Time : ০২:৫৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

জেলায় উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি আরও বেড়েছে। পানিবন্দী হাজারো মানুষ। আজ  বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কথা জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র।

তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখাড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুল্লা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে এসব ইউনিয়নের অন্তত ২৫ গ্রামের ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। এসব পরিবারের অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাঁড়সিংহেশ্বর গ্রামের আব্দুল মতিন (৫৫) বলেন, ‘গত রাত থেকে পানিবন্দী রয়েছি। এখন ক্রমেই পানি বাড়ছে, শেষে ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে’।

তিনি জানান, তার মত অবস্থা গ্রামের অন্তত ৫০০ পরিবারের। নদীর পানি আরও বাড়লে এসব পরিবারকে ছাড়তে হবে বাড়ি-ঘর।

খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর গ্রামের বিপুল রায় (৪০) বলেন,‘নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে তলিয়ে গেছে এলাকার আমন ক্ষেত। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করছেন’।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন,‘ তিস্তা অববাহিকার বড় গ্রাম ঝাড়সিংশ্বর ও পূর্ব ছাতনাই। নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে ওই দুই গ্রামের এক হাজার ২০০ প্রস্তুতি নিচ্ছে।

টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দী মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটতে শুরু করেছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র মতে, উজানের ঢলে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর সকাল নয়টায় চার সেন্টিমিটার বেড়ে ১৫ সেন্টিমিটার এবং বেলা ১২টায় আরও তিন সেন্টিমিটার বেড়ে ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। গতকাল বুধবার  সেখানে সকাল ছয়টায় সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সকাল নয়টায় পাঁচ সেন্টিমিটার এবং সন্ধ্যা ছয়টায় বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন,‘উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখে সতর্কাবস্থায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড’।