
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার ৫ সাংবাদিককে হত্যার মধ্যে দিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ দখলের অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গাজা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের মিডিয়া বিভাগ সোমবার এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকদের হামালার লক্ষ্যবস্তু করার মাধ্যমে দখলদার শক্তির বিমানবাহিনী আরও একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধাপরাধ করল। কারণ এই হামলার একমাত্র উদ্দেশ্য গাজায় যে গণহত্যা চলছে, তার তথ্য ও প্রমাণ বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছানোর পথ বন্ধ করা।”
“এবং শুধু তাই নয়, গাজা সম্পূর্ণ দখল করার যে দুরভিসন্ধীমূলক পরিকল্পনা দখলদার শক্তি নিয়েছে— সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে এই সাংবাদিকদের হত্যার মাধ্যমে।”
গাজা সম্পূর্ণ দখলের পরিকল্পনাটি মূলত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর। গত ৫ আগস্ট মঙ্গলবার ইসরায়েলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়ায়েল জামিরকে প্রথম তিনি এই পরিকল্পনা জানান। সেনাপ্রধানকে তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য পুরো গাজা দখলে আনা। এজন্য গাজার সর্বত্র আমাদের অভিযান চালাতে হবে। এমনকি হামাস যেসব অঞ্চলে ইসরায়েলি জিম্মিদের লুকিয়ে রেখেছে বলে আমরা সন্দেহ করছি, সেসব অঞ্চলেও চালাতে হবে অভিযান।”
প্রথম পর্যায়ে নেতানিয়াহুর এই নির্দেশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও পরে মেনে নেন। এদিকে নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনা প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক বিশ্বে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। জার্মানি ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং ইউরোপের ২৭টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি নেতানিয়াহুকে এই পরিকল্পনা স্থগিতের আহ্বান জানায়।
কিন্তু এসব সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে গত শুক্রবার গাজা সম্পূর্ণ দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন দেয় ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা।
রোববার গাজার প্রধান শহর গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালের কাছে সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনের সময় নিহত হন আলজাজরার সাংবাদিক দুই প্রতিবেদক আনাস আল শরীফ, মোহাম্মদ কুরাইকে এবং তিন ক্যামেরা পারসন ইব্রাহিম জাহের, মোহাম্মদ নুফাল ও মোয়ামেন আলিওয়া।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 























