ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা Logo দুর্গাপুরে ‎রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  Logo শীতের গন্ধ, তাপমাত্রা কমছে প্রতিদিন দুই ডিগ্রি ঈশ্বরদীতে দোকানে উঠছে শীতের সোয়েটার-জ্যাকেট, কম্বল Logo পদ্মার চরজুড়ে চলছে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ Logo নীলফামারীতে চার দফা দাবী বাস্তবায়নে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানবন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

পাবিপ্রবিতে হলের ১০% কোটা এবং ফলাফল বাতিলের দাবিতে ৫ ছাত্রের আমরণ অনশন ,২জন হাসপাতালে‎

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) হলের সিট ১০% কোটা এবং জুলাই ৬ হলের ফলাফল বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছে ৫ ছাত্র। শনিবার (০৯ আগষ্ট) দুপুর থেকে আমরণ অনশন বসেছেন শিক্ষার্থীরা। এদের মধ্যে গণিত বিভাগের তাওফিক হায়াত ওয়াসিন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই পাঁচ ছাত্র হলেন, বাংলা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মিকাইল হোসেন, গণিত বিভাগের তৌফিক হায়াত ওয়াসিন, ঐ বিভাগের সাখাওয়াত হোসাইন, সমাজকর্ম বিভাগের সোহেল রানা, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আবু জিহাদ।
ছাত্রদের দাবি, গত ৬ আগস্ট জুলাই ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রদের হলে ওঠার জন্য ফলাফল দেওয়া হয়। সেই ফলাফলে অনিয়ম এবং অস্বচ্ছতা ধরা পড়ে। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্ররা সমালোচনা শুরু করলেও দুইদিনের মধ্যে হল প্রশাসন এর কোন সঠিক ব্যাখা দিতে পারেননি।
তাদের আরো দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীতিমালা তৈরি করে তাদের হাতে ১০% সিট রেখেছেন। ফলাফল প্রকাশের সময় সেই ১০% সিট তারা রাজনৈতিক দলগুলো এবং এক সমন্বয়কের মধ্যে বন্টন করেন। যার যারা সিট পাওয়ার যোগ্য ছিল তারা সিট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এই অবস্থায় তারা হল প্রশাসনের হাতে থাকা ১০% সিট এবং বিতর্কিত ফলাফল বাতিল করে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে সিট বন্টনের দাবিতে অনশনে বসেছেন।
‎অনশনে বসা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মিকাইল হোসেন বলেন, ‘আমরা এখানে অনশনে বসেছি মূলত আমাদের ন্যায্য দাবির জন্য। দ্বিতীয় মেধা তালিকাটি প্রকাশের পর সেখানে কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আমরা হলের ফলাফল প্রকাশের পর দেখতে পেয়েছি অনেক ভাইয়ের সিজিপিএ ভালো এবং আর্থিক অবস্থা খারাপ হলেও তারা সিট পায়নি। আবার দেখা গেছে অনেকের সিজিপিএ কম ও আর্থিক অবস্থা ভালো হলেও তারা হলে সিট পেয়েছে। এছাড়া ৫ই আগস্টের পর থেকে কোটা মুক্ত বাংলাদেশ হলেও প্রশাসনের জন্য সংরক্ষিত আসন ১০% রাখা হয়েছে। এই আসনগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিয়ে দিক, যাদের বাসা দূরে, আর্থিকভাবে অসচ্ছল, বিশেষ করে যাদের বাবা নেই এবং যারা নিজেরাই টিউশনি করে পড়াশোনা করছে, তাদের মাঝে বণ্টন করা হোক এবং দ্বিতীয় মেধা তালিকাটি বাতিল করা হোক এবং নতুন করে মেধা তালিকা দিতে হবে।’
‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াসিম বলেন,  ‘‎আমি জুলাই ৬ হলে আবেদন  করেছিলাম। আমার ব্যাচের ১১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলো।   এর মধ্যে ৮ জনকে সিট দেওয়া হয়। আমি আশাবাদী ছিলাম যে আমি হলে সিট পাবো। কারণ  দূরত্বের দিক দিয়ে এবং আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আমি আসলেই সিট পাওয়ার যোগ্য । কিন্তু যখন রেজাল্ট দেখলাম তখন ৮ জনের মধ্যে আমি আমার নাম খুঁজে পেলাম না। আমি দেখতে পেলাম এই ৮ জনের মধ্যে দলীয়করণের ভিত্তিতে চার থেকে পাঁচ জন সিট পেয়েছে । অনেকের বাবা সরকারি চাকরিতে আছে, কারও বাবা এসআই আবার কারও বাবা শিক্ষক। সিট যাদেরই দিক ন্যায্যতার ভিত্তিতে দিক এটাই আমার দাবি। আমি অনশনে বসেছি যাতে সিটগুলো ন্যায্যতার ভিত্তিতে দেওয়া হয় । তাতে আমি সিট পাই বা না পাই আমার কোনো আপসোস নেই । আমার ৬ ভাই বোন । বাবা স্বল্প আয়ে আমাদের পরিবার চালান । এজন্য আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুলাই ৬ হলের প্রভোস্ট ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা। ভিসি স্যার ঢাকায় আছেন, উনি আসলে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’
এ বিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল-আওয়ালকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা

পাবিপ্রবিতে হলের ১০% কোটা এবং ফলাফল বাতিলের দাবিতে ৫ ছাত্রের আমরণ অনশন ,২জন হাসপাতালে‎

Update Time : ০৫:৪১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) হলের সিট ১০% কোটা এবং জুলাই ৬ হলের ফলাফল বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছে ৫ ছাত্র। শনিবার (০৯ আগষ্ট) দুপুর থেকে আমরণ অনশন বসেছেন শিক্ষার্থীরা। এদের মধ্যে গণিত বিভাগের তাওফিক হায়াত ওয়াসিন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই পাঁচ ছাত্র হলেন, বাংলা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মিকাইল হোসেন, গণিত বিভাগের তৌফিক হায়াত ওয়াসিন, ঐ বিভাগের সাখাওয়াত হোসাইন, সমাজকর্ম বিভাগের সোহেল রানা, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আবু জিহাদ।
ছাত্রদের দাবি, গত ৬ আগস্ট জুলাই ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রদের হলে ওঠার জন্য ফলাফল দেওয়া হয়। সেই ফলাফলে অনিয়ম এবং অস্বচ্ছতা ধরা পড়ে। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্ররা সমালোচনা শুরু করলেও দুইদিনের মধ্যে হল প্রশাসন এর কোন সঠিক ব্যাখা দিতে পারেননি।
তাদের আরো দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীতিমালা তৈরি করে তাদের হাতে ১০% সিট রেখেছেন। ফলাফল প্রকাশের সময় সেই ১০% সিট তারা রাজনৈতিক দলগুলো এবং এক সমন্বয়কের মধ্যে বন্টন করেন। যার যারা সিট পাওয়ার যোগ্য ছিল তারা সিট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এই অবস্থায় তারা হল প্রশাসনের হাতে থাকা ১০% সিট এবং বিতর্কিত ফলাফল বাতিল করে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে সিট বন্টনের দাবিতে অনশনে বসেছেন।
‎অনশনে বসা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মিকাইল হোসেন বলেন, ‘আমরা এখানে অনশনে বসেছি মূলত আমাদের ন্যায্য দাবির জন্য। দ্বিতীয় মেধা তালিকাটি প্রকাশের পর সেখানে কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আমরা হলের ফলাফল প্রকাশের পর দেখতে পেয়েছি অনেক ভাইয়ের সিজিপিএ ভালো এবং আর্থিক অবস্থা খারাপ হলেও তারা সিট পায়নি। আবার দেখা গেছে অনেকের সিজিপিএ কম ও আর্থিক অবস্থা ভালো হলেও তারা হলে সিট পেয়েছে। এছাড়া ৫ই আগস্টের পর থেকে কোটা মুক্ত বাংলাদেশ হলেও প্রশাসনের জন্য সংরক্ষিত আসন ১০% রাখা হয়েছে। এই আসনগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিয়ে দিক, যাদের বাসা দূরে, আর্থিকভাবে অসচ্ছল, বিশেষ করে যাদের বাবা নেই এবং যারা নিজেরাই টিউশনি করে পড়াশোনা করছে, তাদের মাঝে বণ্টন করা হোক এবং দ্বিতীয় মেধা তালিকাটি বাতিল করা হোক এবং নতুন করে মেধা তালিকা দিতে হবে।’
‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াসিম বলেন,  ‘‎আমি জুলাই ৬ হলে আবেদন  করেছিলাম। আমার ব্যাচের ১১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলো।   এর মধ্যে ৮ জনকে সিট দেওয়া হয়। আমি আশাবাদী ছিলাম যে আমি হলে সিট পাবো। কারণ  দূরত্বের দিক দিয়ে এবং আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আমি আসলেই সিট পাওয়ার যোগ্য । কিন্তু যখন রেজাল্ট দেখলাম তখন ৮ জনের মধ্যে আমি আমার নাম খুঁজে পেলাম না। আমি দেখতে পেলাম এই ৮ জনের মধ্যে দলীয়করণের ভিত্তিতে চার থেকে পাঁচ জন সিট পেয়েছে । অনেকের বাবা সরকারি চাকরিতে আছে, কারও বাবা এসআই আবার কারও বাবা শিক্ষক। সিট যাদেরই দিক ন্যায্যতার ভিত্তিতে দিক এটাই আমার দাবি। আমি অনশনে বসেছি যাতে সিটগুলো ন্যায্যতার ভিত্তিতে দেওয়া হয় । তাতে আমি সিট পাই বা না পাই আমার কোনো আপসোস নেই । আমার ৬ ভাই বোন । বাবা স্বল্প আয়ে আমাদের পরিবার চালান । এজন্য আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুলাই ৬ হলের প্রভোস্ট ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা। ভিসি স্যার ঢাকায় আছেন, উনি আসলে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’
এ বিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল-আওয়ালকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।