
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কৃষকদের কৃষি কাজে সেচ, মৎস্য চাষ বৃূ্দ্ধি ও এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় ভৈরব নদীতে একটি বাঁধ নির্মাণের কাজই যেন কৃষকের কাল হলো। অতি বর্ষায় ও ভৈরবের উজান স্রোতের পানিতে কৃষকদের হাজার হাজার বিঘা ধান,পাটসহ নানা ফসল পানিতে ডুবে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে বলে, কৃষকরা জানিয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভৈরব নদী এলাকার হাতিভাঙা গ্রামের কাঙলার বিল,কয়মারির বিল,চাঁদমারির বিল,কাজলা ও ভেদাগাড়ির বিলের ধান, পাটসহ নানা ধরনের ফসল ডুবে গেছে।
সরজমিনকালে কথা হয় দামুড়হুদা উপকেলার হাতিভাঙা গ্রামের কৃষক জালাল, ও মুক্তারপুর গ্রামের কৃষক ইলাহিসহ আরো অনেকের সাথে তারা জানান, তাদের হাজার হাজার বিঘা ধানসহ অন্যান্য ফসল ডুবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারী অনুদানের দাবী জানান।
২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গত ২০২২ সাল থেকে দামুড়হুদার সুভলপুরে ভৈরব নদীতে অস্থায়ী মাটির বাঁধ দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় এই ভরা বর্ষায় ভৈরবের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফসল ডুবে যাচ্ছে।
কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ডুবে যাওয়া এলাকার মাঠের ফসলের ক্ষয়- ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণে কাজ করছে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক দেবাসিস কুমার দাস জানান,
ভৈরব নদীতে বাঁধ নির্মাণে দীর্ঘসুত্রীতায় ভৈরবের পানিতে ও বর্ষায় ভৈরব নদী এলাকার নিচু জমির প্রায় সাড়ে সাত হেক্টর ধান পাটসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে।
তবে, এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডেের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজিম উদ্দিন জানান,
গত ২০২২ সালের জুলাই থেকে সুভলপুর বাঁদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে কাজটি অবর্ধিত সময় আগামী ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তমা কনাশট্রাকশন লিঃ কে জোর তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কৃষকের ফসল যেন আর না ডোবে সে বিষয়ে তারা সতর্ক রয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ভুক্তভোগী কৃষকদের দাবী ভৈরবের পানিতে যেন আর ফসল না ডোবে সে জন্য যত দ্রুতসম্ভব বাঁধটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হোক।
Reporter Name 


















