
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আলদাদপুর গ্রামের বালাপাড়ায় হিন্দুপল্লীতে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জনকে আদালতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে তোলা হয়। কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম জানান, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গঙ্গাচড়া আমলী আদালতের বিচারক কৃঞ্চ কমল রায় আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে সে বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারক। এর আগে পুলিশের প্রিজনভ্যানে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে তাদের আদালতে নেওয়া হয়। তারা ঘটনাস্থলের পাশেই নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের সিংগেরগাড়ি মাঝাপাড়ার লাভলু মিয়ার ছেলে ইয়াছিন আলী (২৫), ধনীপাড়ার নুর আলমের ছেলে স্বাধীন মিয়া (২৮), চাঁদখানা মাঝাপাড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৮), পাঠানপাড়ার মৃত বাবুল খানের ছেলে এস এম আতিকুর রহমান খান আতিক (২২) ও চওড়াপাড়ার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন সেলিম (২২)।
গঙ্গাচড়ার বেতগাড়ি ইউনয়নের আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামের এক কিশোর (১৭) ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর লেখা ও ছবি দিয়েছে-এমন অভিযোগ পায় পুলিশ। পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করে শনিবার রাতে থানায় আনা হয়। পরে সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সম্মিলিত শিশু পুনর্বাসনকেন্দ্রে পাঠানো হয় তাকে। ওই কিশোর একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তৃতীয় পর্বের শিক্ষার্থী ও আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামের সুজন চন্দ্র রায়ের ছেলে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা শনিবার রাত থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় ওই কিশোরের বিচারের দাবিতে মিছিলসহ হিন্দুপল্লীতে ঢুকে অন্তত ১৮ পরিবারের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। ঘটনার তিন দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একজন ভূক্তভোগী বাদী হয়ে ১২০০ জনকে আসামি করে গঙ্গাচড়া থানায় মামলা করেন।
রংপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান জানান, মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রংপুর প্রতিবেদক 


















