
বিশ্ব মানবপাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আয়োজনে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন স্থানে মানবপাচার প্রতিরোধে মতবিনিময় ও জনসচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলী মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, এদিন বিকাল সাড়ে ৪টা হতে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ব্যাটালিয়ন অধীনস্থ দর্শনা বিওপি'র আয়োজনে ইশ্বরচন্দ্রপুর বটতলা, মুন্সীপুর বিওপি'র আয়োজনে কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ, মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর বিওপি'র আয়োজনে দক্ষিণপাড়া সরকারী বিদ্যালয় মাঠ, একই জেলার বুড়িপোতা বিওপি'র আয়োজনে শালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ এবং ইছাখালী বিওপি'র আয়োজনে ইছাখালী সরকারী বিদ্যালয় মাঠে সভাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি অন্যান্য বিওপি'র পক্ষে নিজ নিজ এলাকায় একই বিষয়ে সভার আয়োজন করে বিজিবি।
সভায় কোম্পানী ও বিওপি কমান্ডারগণ মানবপাচারের ভয়াবহতা, কারণ ও প্রতিরোধ কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তারা বলেন, মানবপাচার একটি বৈশ্বিক সমস্যা যা বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রকট। দারিদ্র্য, সচেতনতার অভাব ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে জীবন-জীবিকা হারানো মানুষ পাচারকারীদের সহজ শিকার হয়ে পড়ছে, যার মধ্যে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিতে রয়েছে। সীমান্ত নিকটবর্তী এলাকায় পাচারের প্রবণতা তুলনামূলকভাবে বেশী। মানবপাচার প্রতিরোধে বিজিবি 'জিরো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করে এবং এ বিষয়ে বিজিবি সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সভায় অংশগ্রহণকারীদের বিজিবি'র বিভিন্ন সফল অভিযান ও সচেতনতামূলক পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করা হয়। সভায় উপস্থিত স্থানীয় জনগণ বিজিবির এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং মানব পাচার, মাদকসহ অন্যান্য চোরাচালান রোধে বিজিবির পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় জনসম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে কমান্ডারগণ বলেন, সঠিক সীমান্ত ব্যবস্থাপনার জন্য জনসাধারণের সক্রিয় সহযোগীতা ও ইতিবাচক মনোভাব অপরিহার্য।
এই জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং মানব পাচার প্রতিরোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে তিনি জানান।