ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা

মাইলস্টোনে দগ্ধ শিশুদের চিকিৎসার সবকিছু বহন করবে সরকার : পরিচালক বার্ন ইনস্টিটিউট

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেছেন, মাইলস্টোনে দুর্ঘটনায় দগ্ধ শিশুদের অনেকেই ব্লাড ডোনেশন করতে চাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ স্কিন ডোনেশন করতে আগ্রহী। তবে হাসপাতালের সংরক্ষণে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্কিন রয়েছে, তাই স্কিন ডোনেশন আমরা নিচ্ছি না। আমাদের পর্যাপ্ত স্কিন মজুত আছে। যদি কারো প্রয়োজন হয়, আমরা সেখান থেকেই ব্যবহার করতে পারব। অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য টাকা পাঠাতে চাচ্ছেন। এসবেরও কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের দগ্ধ শিশুদের চিকিৎসার জন্য যা যা লাগবে, সবকিছু সরকার বহন করবে।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।

এ সময় অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, আজ ক্রিটিক্যাল অবস্থায় থাকা দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে এবং অন্যজন বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে মারা যান।

বর্তমানে ছয়জন রোগী ক্রিটিক্যাল অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এছাড়া ১৩ জন রোগী সিরিয়াস অবস্থায় আছে এবং তারা এখনো সেই অবস্থাতেই রয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী দিনগুলোতে তাদের মধ্যে কয়েকজন ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরিতে চলে আসতে পারে। বাকি ২৩ জন ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরির রোগীর মধ্যে ১৩ জনকে আমরা কেবিনে স্থানান্তর করতে পেরেছি।

ডা. নাসির আরও বলেন, একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বোর্ডের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ আসছেন। বাচ্চাদের চিকিৎসায় আমরা কোনো দেশ বা সীমান্ত ভেদে পার্থক্য করছি না। যে সিদ্ধান্ত ও মতামত আমাদের বাচ্চাদের জন্য উপকার হবে, আমরা সেটাই গ্রহণ করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত

মাইলস্টোনে দগ্ধ শিশুদের চিকিৎসার সবকিছু বহন করবে সরকার : পরিচালক বার্ন ইনস্টিটিউট

Update Time : ০৯:৪১:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেছেন, মাইলস্টোনে দুর্ঘটনায় দগ্ধ শিশুদের অনেকেই ব্লাড ডোনেশন করতে চাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ স্কিন ডোনেশন করতে আগ্রহী। তবে হাসপাতালের সংরক্ষণে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্কিন রয়েছে, তাই স্কিন ডোনেশন আমরা নিচ্ছি না। আমাদের পর্যাপ্ত স্কিন মজুত আছে। যদি কারো প্রয়োজন হয়, আমরা সেখান থেকেই ব্যবহার করতে পারব। অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য টাকা পাঠাতে চাচ্ছেন। এসবেরও কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের দগ্ধ শিশুদের চিকিৎসার জন্য যা যা লাগবে, সবকিছু সরকার বহন করবে।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।

এ সময় অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, আজ ক্রিটিক্যাল অবস্থায় থাকা দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে এবং অন্যজন বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে মারা যান।

বর্তমানে ছয়জন রোগী ক্রিটিক্যাল অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এছাড়া ১৩ জন রোগী সিরিয়াস অবস্থায় আছে এবং তারা এখনো সেই অবস্থাতেই রয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী দিনগুলোতে তাদের মধ্যে কয়েকজন ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরিতে চলে আসতে পারে। বাকি ২৩ জন ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরির রোগীর মধ্যে ১৩ জনকে আমরা কেবিনে স্থানান্তর করতে পেরেছি।

ডা. নাসির আরও বলেন, একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বোর্ডের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ আসছেন। বাচ্চাদের চিকিৎসায় আমরা কোনো দেশ বা সীমান্ত ভেদে পার্থক্য করছি না। যে সিদ্ধান্ত ও মতামত আমাদের বাচ্চাদের জন্য উপকার হবে, আমরা সেটাই গ্রহণ করছি।