প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১১, ২০২৫, ২:২১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১৩, ২০২৫, ১১:৪০ পি.এম
এনসিপির সাথে সম্পর্ক থাকায় সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে – হায়দার পাটোয়ারী

জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, এনসিপির সাথে এই সরকারের ওতোপ্রতো সম্পর্ক আছে। এটি সার্বজনিন স্বীকৃত। এখনও দিচ্ছে। যার কারনে এই সরকার প্রাথমিকভাবে নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলছে।
গতকাল রোববার বিকেলে তিন দিনের সফরে রংপুরে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এনসিপির সভাপতি এই সরকারের মন্ত্রী ছিলেন, তার সহকর্মী এখনো মন্ত্রী। তাছাড়া এনসিপির সাজানো প্রশাসনের ছকে দেশ গোছানো হয়েছে। সেটি মন্দ হউক আর ভালো হউক। সেখানে ভোট হলে বর্তমান সরকার এনসিপি ও বা কিংস পার্টিকে একাধিক সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। সে ক্ষেত্রে এই সরকারের নিরপেক্ষ ভোট দেওয়ার যোগ্যতা আছে বলে মনে করি না। তাছাড়া ১৮ লক্ষ সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাকে উদ্বুদ্ধ করে ডিসিপ্লিন করে ভোট করতে যে সক্ষমতা লাগে, এই সরকার সেই সক্ষমতা অর্জন করেননি। করতেও চাননি। সরকারের এই সক্ষমতা অর্জনে সদিচ্ছা নেই। সরকার ভোটের রাস্তায় হাটেননি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচন মুখি পদক্ষেপ না থাকার কারনে রাজনৈতিক দলের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। পলিটিক্যাল ফ্রাস্টেশন বাড়ছে। বাংলাদেশে শীর্ষ থেকে তৃনমুল পর্যন্ত কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। পাশাপাশি বাংলাদেশ একটি মব রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিহিংসা পরায়ন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এখন দেশে একটি রাজনৈতিক সমাধান দরকার। যেটা আগামী দিনে জিএম কাদেরের মাধ্যমে এই রাজনৈতি সমাধান সম্ভব
জাতীয় পার্টি ভাঙনের মুখে এমন প্রশ্নে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, জাতীয় পার্টি ৭ বার ভাঙলেও যারা মুল শ্রোত থেকে ছিটকে গেছে, তারা কেউ প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন নি। আগামীতে এরকম কেউ করলে তারাও প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না। গত ২৮ জুনের প্রেসিডিয়াম মিটিংয়ে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের বহিস্কার করা হয়েছে। সবাই জিএম কাদেরের পক্ষে ছিলেন এবং আছেন। তৃণমুল জিএম কাদেরের নেতৃত্বে সংগঠিত আছেন। এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। বরং জাতীয় পার্টি খোলস বদলে নতুন ভাবে নতুন রাজনৈতিক ফর্মে নব জন্মে আবর্তিত হচ্ছে দেশের মানুষের সেবা করার জন্য।
তাছাড়া জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি, জমি দখল এবং সন্ত্রাসীর মধ্যে নেই। এজন্য জনগন আমাদের সুযোগ দিবে। কেননা জাতীয় পার্টির সময় মানুষ নিরাপদ ছিলো। জিএম কাদের সরকার গঠন করলে মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারবে।
জুলাই আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে জিএম কাদের সংসদে বিস্তর আলোচনা করেছেন। ছাত্রদের পক্ষে কথা বলেছেন। তার নেতৃত্বে জুলাই আন্দোলনে জাতীয় পার্টি মাঠে ছিলেন। রংপুরের জাতীয় পার্টির দুই জন মারা গেছেন। কয়েকজন জেল খেটেছেন। শহিদ আবু সাঈদের প্রথম কবর জিয়ারত জিএম কাদের করেছেন। তারপরও যদি কেউ ট্যাগ দিতে চায়, তাহলে সেটি অন্যায়। একটি দল এমন ট্যাগ দিতে চান। তারা অবশ্য অনেক সুবিধা নেওয়ার পরও জাতীয় পার্টির সমকক্ষ হিসেবে গড়ে উঠতে না পেরে এই ট্যাগ দিতে চান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, কো চেয়ারম্যান ও রসিকের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় নেতা আজমল হোসেন লেবু, আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
#
Copyright © 2025 দৈনিক বার্তা. All rights reserved.