প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১১, ২০২৫, ৩:২০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১১, ২০২৫, ৬:৫৮ পি.এম
সৈয়দপুরে ১০ কেজি আলুর দামে ১ কেজি কাঁচা মরিচ
![]()
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১০ কেজি আলুর দামে ১ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে যেখানে ১ কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে, সেখানে ১ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গায় ভারি অথবা মাঝারি বৃষ্টি হওয়ায় পাইকারি বাজারে মরিচ আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়িরা। এতে করে মরিচ ক্রেতাদের মাথায় হাত পড়েছে। যে মরিচ গত ১০ দিন আগে ১০/১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে তা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া প্রায় ক্রেতারই মাথায় হাত পড়েছে। ১১ জুলাই শুক্রবার পৌর সবজি বাজার গিয়ে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে।
সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে পরিচর্যা আর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হওয়ায়, সেই মরিচ ১০/১৫ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু এসব এলাকায় দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন কমে গেছে। আর যেসব এলাকা থেকে মরিচ আমদানি হতো,সেসব এলাকায় ভারি অথবা মাঝারি বৃষ্টি হওয়ায় মরিচ আমদানি বন্ধ। যার ফলে মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান অনেকেই।
উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের মরিচ চাষি জয়নাল আবেদিন জানান, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের বর্তমান পাইকারি বাজার দর ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা। তিনি বলেন, যখন মরিচের ফলন বেশি হযেছিল,তখন ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়েছে কিন্তু যখন দাম বেশি তখন ফলন নেই বললেই চলে।
এদিকে কাঁচা মরিচের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে আমদানি কম কিন্তু চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে আবার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের মাথায় ঘাম ছুটলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস কাঁচা মরিচ চাষিদের। সৈয়দপুরের আধুনিক সবজি বাজারে প্রতিকেজি মরিচ ২০০ টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে তুলনামূলকভাবে তরিতরকারি অনেকটা কম দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে মরিচ চাষিদের খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফলন ভালো হলে বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৫০ মণ মরিচ পান তাঁরা কিন্ত এবারে যখন মরিচের ফলন বেশি হয়েছিল তখন বাজার মুল্য ছিল অনেক কম। আর যখন ফলন কম তখন বাজার চড়া। আসলে বৃষ্টি না হওয়ার কারনেই বর্তমানে মরিচের ফলন কমে গেছে বলে চাষিরা তাঁদের ন্যায্য মুল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
Copyright © 2025 দৈনিক বার্তা. All rights reserved.