রাজশাহীর তানোরে গভীর রাতে বিলকুমারী বিলের বুরুজ ব্রিজঘাট নামক স্থানে মুরগির মল বা বিষ্ঠা ব্রিজঘাটে ফেলতে গিয়ে দুই ড্রাম ট্রাক আটকা পড়ে গ্রামবাসীর হাতে। পরে খবর দেয়া হলে তানোর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুরগির বিষ্ঠা ভর্তি দুইটি ড্রাম ট্রাকের মধ্যে একটি ড্রাম ট্রাক ঘটনাস্থল থেকে তানোর থানার গেটে নিয়ে আসা হয়। তবে, একটি বেশি দুর্গন্ধ যুক্ত হওয়ায় ঘটনাস্থলে ফেলে রাখা হয়েছে। পরে মুচলেকায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে বুধবার দিবাগত রাতে বুরুজ ব্রিজঘাট নামক স্থানে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত থানার গেটের সামনের রাস্তায় রাখাছিলো মুরগির বিষ্ঠা ভর্তি দুর্গন্ধ যুক্ত ড্রাম ট্রাকটি। এসময় পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে দূর্গন্ধ। মুরগির বিষ্ঠার দূর্গন্ধে আশপাশের দোকানীসহ চলাচলকারীরা চরম অস্বস্তি ও বিপদের মধ্যে পড়েন। তানোরে আর মুরগির বিষ্ঠা ফেলবেন না এমন মুছলেখা নিয়ে বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানা গেছে, প্রায় এক মাস থেকে রাতের আঁধারে ট্রাকে করে মুরগির বিষ্ঠা এনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ বুরুজ ব্রিজঘাটেও ফেলা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে আবারো কাঁকনহাট এলাকার নাবিল পোল্ট্রি ফার্ম থেকে দুটি ড্রাম ট্রাক ভর্তি মুরগির বিষ্ঠা এনে বুরুজ ব্রিজঘাটে ফেলার সময় গ্রামবাসী ট্রাক দুটি চালকসহ আটক করে।
এবিষয়ে তানোর পৌর এলাকার বুরুজ গ্রামের বাসিন্দা সরনজাই ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বুধবার গভীর রাতে কাকনহাট এলাকার নাবিল পোল্ট্রি ফার্ম থেকে দুটি ড্রাম ট্রাক ভর্তি মুরগির বিষ্ঠা এনে বুরুজ ব্রিজঘাটে ফেলার সময় আমরা গ্রামবাসীরা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করি। পরে মালিক পক্ষ মুছলেকা দেয়ায় ড্রাম ট্রাক ও চালককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কেউ অভিযোগ করতে রাজি না হওয়ায় মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিষ্ঠা ভর্তি ট্রাক থানার সামনে রাখার পর দূর্গন্ধ দুর করার পাউডার ছিটানো হয়েছিলো তারপরও প্রচন্ড দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন আশপাশের দোকানি ও পথচারীসহ পুলিশ সদস্যরাও। এজন্য মুসলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।