ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা Logo দুর্গাপুরে ‎রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  Logo শীতের গন্ধ, তাপমাত্রা কমছে প্রতিদিন দুই ডিগ্রি ঈশ্বরদীতে দোকানে উঠছে শীতের সোয়েটার-জ্যাকেট, কম্বল Logo পদ্মার চরজুড়ে চলছে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ Logo নীলফামারীতে চার দফা দাবী বাস্তবায়নে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানবন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন
নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন

ফেনীতে পানিবন্দি ২০ গ্রামের মানুষ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৪৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • ২৩ Time View

ফেনীতে অতিবৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর ১১টি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন কবলিত স্থানগুলোর মধ্যে মুহুরী নদীতে ১১টি, সিলোনিয়া নদীতে চারটি ও কহুয়া নদীতে একটি রয়েছে। মোট ১৬টি স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙেছে। নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টায় আবহাওয়া অফিস ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সোমবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর ৪টি ও পরশুরামে সিলোনিয়া নদীর ৭টা স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধনীকুন্ডা, নোয়াপুর, শালধর এলাকায় তিনটি, ফুলগাজী উপজেলার দেড়পাড়ায় দুইটি, নাপিত কোনায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া সিলোনিয়া নদীর মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম গদানগর, জঙ্গলঘোনা, উত্তর মনিপুর দাসপাড়া ও মেলাঘর কবরস্থানের পাশে চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্তত ২০ গ্রামের হাজারো মানুষ।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ১১টি স্থানে ভাঙনের তথ্য পেয়েছি। আরও খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাবো। মাঠপর্যায়ে আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে।’

এদিকে টানা বর্ষণে ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়া, শহীদ শহিদুল্লা কায়সার সড়ক, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস, শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠানবাড়ি, নাজির রোড, মিজান রোড, একাডেমি, সদর হাসপাতাল মোড় ও পেট্রোবাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার নিচু সড়কগুলো। দোকানপাটে পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালপত্র। তবে বিকেল থেকে এ পানি ধীরগতিতে নামতে শুরু করেছে।

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘জেলায় টানা দুই দিন ধরে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরে সর্বোচ্চ। আগামী ২-৩ দিন জেলাজুড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’

দৈনিক বার্তা/ এআই

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা

নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন

ফেনীতে পানিবন্দি ২০ গ্রামের মানুষ

Update Time : ০৯:৪৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

ফেনীতে অতিবৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর ১১টি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন কবলিত স্থানগুলোর মধ্যে মুহুরী নদীতে ১১টি, সিলোনিয়া নদীতে চারটি ও কহুয়া নদীতে একটি রয়েছে। মোট ১৬টি স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙেছে। নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টায় আবহাওয়া অফিস ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সোমবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর ৪টি ও পরশুরামে সিলোনিয়া নদীর ৭টা স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধনীকুন্ডা, নোয়াপুর, শালধর এলাকায় তিনটি, ফুলগাজী উপজেলার দেড়পাড়ায় দুইটি, নাপিত কোনায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া সিলোনিয়া নদীর মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম গদানগর, জঙ্গলঘোনা, উত্তর মনিপুর দাসপাড়া ও মেলাঘর কবরস্থানের পাশে চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্তত ২০ গ্রামের হাজারো মানুষ।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ১১টি স্থানে ভাঙনের তথ্য পেয়েছি। আরও খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাবো। মাঠপর্যায়ে আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে।’

এদিকে টানা বর্ষণে ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়া, শহীদ শহিদুল্লা কায়সার সড়ক, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস, শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠানবাড়ি, নাজির রোড, মিজান রোড, একাডেমি, সদর হাসপাতাল মোড় ও পেট্রোবাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার নিচু সড়কগুলো। দোকানপাটে পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালপত্র। তবে বিকেল থেকে এ পানি ধীরগতিতে নামতে শুরু করেছে।

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘জেলায় টানা দুই দিন ধরে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরে সর্বোচ্চ। আগামী ২-৩ দিন জেলাজুড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’

দৈনিক বার্তা/ এআই