কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আকাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
শনিবার ভোরে মামলাটি এফআইআরভুক্ত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান।
তিনি জানান, নিহত রোকসানা বেগম রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় উপজেলার আকাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এতে উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- কড়ইবাড়ী গ্রামের বাছির মিয়া, বাচ্চু মিয়া, ইউপি সদস্য আবু বক্কর, রবিউল আউয়াল, শরীফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, এরশাদ হোসেন, বাবুলের বাবা রবিউলসহ ৩৮ জন। মামলায় ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
[caption id="attachment_5213" align="alignnone" width="300"]
রোকসানা বেগম ওরফে রুবি ,মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ও ছেলে রাসেল মিয়া[/caption]
রিক্তা আক্তার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল এবং ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়ার নির্দেশে হামলা শুরু হয়। এর আগে বাছির মিয়ার নেতৃত্বে একাধিক বৈঠক করা হয়। আমার মা, ভাই ও বোনকে হত্যার ঘটনায় যারা জড়িত আমি তাদের আসামি করেছি। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, শনিবার ভোরে মামলাটি এফআইআর ভুক্ত করা হয়েছে। এতে এজহার নামীয় ৩৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত এবং জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।
গ্রেফতার ২
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ী গ্রামে মা, মেয়ে ও ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। শনিবার ভোরে উপজেলার আকবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আদিল শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. সবির আহমেদ (৪৮), মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬)।
স্থানীয়দের বরাতে ক্যাপ্টেন আদিল শাহরিয়ার বলেন, পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল। এর জেরে এলাকাবাসী পিটিয়ে ও কুপিয়ে তাদের হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকা দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।