
ভারতের হিমাচল প্রদেশে আগাম ও প্রবল বর্ষণে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যজুড়ে এমন বন্যার কবলে পড়ে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এসময় পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে অনেক ঘরবাড়ি। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি রুপি। কুলু ও ধর্মশালা অঞ্চলে পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
রাজ্যটির রাজস্ব, বাগান ও ত্রৈবাল উন্নয়নমন্ত্রী জগত সিং নেগি বলেন, ‘এবার বর্ষা স্বাভাবিক সময়ের আগেই শুরু হয়েছে এবং শুরু থেকেই অতিবৃষ্টি হচ্ছে। আকস্মিক বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
শনিবার (২৮ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭টি সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে এবং অন্তত ৪৭টি বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো জাতীয় সড়ক এখনও পর্যন্ত বন্ধ হয়নি। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো।
তিনি বলেন, ‘কিছু এলাকায় ছোট ছোট সেতু ভেঙে গেছে। পানির তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে স্থানীয় অবকাঠামো। মাত্র এক সপ্তাহের টানা বর্ষণে প্রাথমিকভাবে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ ৩০০ কোটি রুপির বেশি।’
এদিকে সরকারি সব দপ্তরকে জরুরি ভিত্তিতে পুনঃস্থাপন কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পিডব্লিউডি, বিদ্যুৎ দপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী জগত সিং নেগি বলেন, ‘একজন ব্যক্তি কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে গেছেন, কিন্তু আরও কয়েকজন স্রোতে ভেসে গেছেন। উদ্ধার ও অনুসন্ধান কাজ অব্যাহত রয়েছে।’
পর্যটকদের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্ষাকালে যারা হিমাচল প্রদেশ ভ্রমণে আসছেন, তাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা মানা এবং দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত থাকা জরুরি।’
রাজ্যজুড়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। সব জেলা প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা পর্যায়ে মহড়া ও দুর্যোগ প্রশমনের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলেও জানান জগত সিং নেগি।
বার্তা/এআই
Reporter Name 





















