পাবনার সাঁথিয়ায় বৃদ্ধা মাকে মারধোর করে ফের স্বামীর বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তার একমাত্র সন্তান শাহ আলম। সারা শরীরে ফোলা জখম নিয়ে বৃদ্ধা মা হাসপাতালে শুধু চোখের পানি ঝড়াচ্ছে। পরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে ভ্যান যোগে থানায় এসে ওই বৃদ্ধা নিজে বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানা পুলিশ ও সেনা ক্যাম্পে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
এর আগে বুধবার (২৫ জুন ) উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের চকমধুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শাহ আলম উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের চকমধুপুর গ্রামের মৃত মোকছেদ আলমের ছেলে।
অভিযোগে জানা বৃদ্ধা সাহিদা খাতুনের স্বামীর ভিটায় একটি ঘর আছে। অথচ ছেলে ও নাতিরা ওই বৃদ্ধাকে বাড়িতে থাকতে দিবে না। ২৫ জুন বুধবার ছেলে, ছেলের বউ, নাতী মিলে মারপিট করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। কৌশলে বেঁচে গেলেও তারা আমাকে লাথি, কিল ঘুষি মেরে সারা শরীর ফোলা ,বিষ বেদনা করেছে।
এর আগে গেল বছর (১৫ অক্টোবর) একইভাবে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তার ছেলে নাতী ও ছেলের বউ। পরে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে প্রচার হলে প্রশাসনের নজরে আসে। পরে পুলিশ, সাংবাদিক, স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গের সহায়তায় বৃদ্ধা মা শাহিদা বেগমকে তাঁর ঘরে তুলে দেন। বৃদ্ধা শাহিদা বেগম জানান, এর কিছুদিন পর থেকে আবার সেই আগের মত ব্যবহার শুরু করে আমারে রান্না ঘরে থাকতে দিয়েছিল্। দীর্ঘ ৪মাস রান্না ঘরে থেকেছি। তারপরও ‘ছেলে বেটার বউ আর নাতি আমাকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দিছে। আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিছে। তিনি বলেন, আমার স্বামীর পেনশানের টাকা দিয়ে ওই ঘর করা। সে ঘরে আমার জায়গা নেই। এ বয়সে কি কেউ স্বামীর ভিটা ছাড়তে চায়।’
অভিযুক্ত ছেলে শাহ আলম জানান, ‘মা জমি মেয়েদের লিখে দিয়েছেন। তিনি তার মেয়ের বাড়িতে থাকবে। আমার বাড়িতে ওর কোনো জায়গা নেই।’
সাঁথিয়া থানার ওসি আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষনিক পুলিশ দিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছি চিকিৎসার জন্য। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।