
সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে দ্য গ্রেট কপিল শর্মা শো এর তৃতীয় সিজন। গেলো শনিবার প্রচারিত হওয়া সিজনের প্রথম পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ভক্তদের চমকে দেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান।
শোতে রসিকতা ও নানা গল্পের মাঝেই সালমান জানান, কিভাবে একাধিক রোগের সাথে লড়াই করে নিজের কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি বিয়ে, সম্পদ ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক নিয়েও মন খুলে কথা বলেন ৫৯ বছর বয়সী এ অভিনেতা।
কপিল শর্মার রসিকতার মধ্যেই এক পর্যায়ে উঠে আসে সালমানের বিয়ের প্রসঙ্গ। এসময় সালমান খানের স্পষ্ট জবাব, এ বয়সে নতুন করে জীবন শুরু করা কঠিন।
সালমানের মতে, বিয়ের পর বনিবনা না হলে স্ত্রী ছেড়ে চলে যাবে, সঙ্গে তার উপার্জিত সম্পত্তির অর্ধেকও নিয়ে চলে যাবে। সালমান বলেন, ‘এটা যদি কম বয়সে হতো, তাহলে মেনে নিতে পারতাম। আবার নতুন করে উপার্জন করতে পারতাম। কিন্তু এখন সেটা সম্ভব নয়।’
কপিল শর্মা শোতে নিজের জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন বলিউড ভাইজান। সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে তার শারীরিক সমস্যার প্রসঙ্গ। সালমান খান অকপটে জানান, নানা জটিল রোগের সঙ্গে লড়াই করেও প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছেন। ‘
তিনি বলেন, প্রতিদিন আমার হাড় ভাঙছে—পাঁজর ভেঙে গেছে, তবু কাজ করছি। আমার ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া আছে, ব্রেনে অ্যানিউরিজম রয়েছে, আবার আছে এভি ম্যালফরমেশন। সবকিছু সত্ত্বেও আমি কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী স্নায়বিক রোগ, এ রোগে আক্রান্তদের মুখে তীব্র ব্যথা হয়। সালমান ২০১৭ সালে প্রথম এই রোগের কথা জানান। তিনি বলেন, এ ব্যথা এতটাই অসহনীয় যে অনেকেই একে ‘সুইসাইড ডিজিজ’ বলে থাকেন।
সালমানের শরীরে বাসা বাঁধা এসব রোগ কী ধরনের সমস্যা তৈরি করে তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয় ট্রাইজেমিনাল নিউরোলজিয়া মূলত স্নায়ুর অসুখ। যার ফলে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি মুখমণ্ডলে ভয়ংকর যন্ত্রণা হয়।
এভি ম্যালফরমেশনও কম জটিল রোগ নয়। শরীরে স্বাভাবিকভাবে রক্ত চলাচলে সমস্যা তৈরি করে। অনেক সময় রক্ত জমাট বেঁধে যায়। অন্যদিকে অ্যানিউরিজমে মস্তিষ্কে অস্বাভাবিকভাবে রক্ত জমাট বেঁধে রক্তনালি ফুলে যায়। যার ফলে মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রাণহানিও ঘটতে পারে।
আনন্দলোক ডেস্ক 


















