পাবনার ঈশ্বরদীতে চেতনানাশক স্প্রে করে চালককে অচেতন করে চুরি করা অটোরিকশা উদ্ধার এবং চুরির সঙ্গে জড়িত তিন নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের বিলকেদা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন- লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কৈকুন্ডা গ্রামের মৃত আজাহার সরদারের ছেলে সুমন সরদার (২৬), কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের আদাবাড়িয়া এলাকার সুখি খাতুন (১৮), একই এলাকার তনিমা আক্তার তমা (২১) এবং নাটোরের লালপুরের বালিতিতা গ্রামের আখি খাতুন (২০)। তাদের পাবনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দাশুড়িয়ার নাজমুল হুসাইন রনির অটোরিকশা চালান হাসান আলী। প্রতিদিনের মতো গত সোমবার (১৬ জুন) সকালে রনির গ্যারেজ থেকে রিকশা নিয়ে বের হন তিনি। রাত ৮টার দিকে ঈশ্বরদী বাজার থেকে উপজেলার বাবুলচারা যাওয়ার কথা বলে নারী ও পুরুষ দুজন হাসান আলীর রিকশায় ওঠেন। রেলগেট কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে এলে সেখান থেকে তাদের আরও দুই সহযোগী মেয়ে রিকশায় ওঠেন। ওই রিকশায় করে তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের বিলকেদার ঘোড়ামারা গ্রামের ফাঁকা মাঠের কাছে পৌঁছলে পেছন থেকে কৌশলে রিকশাচালক হাসান আলীকে একজন চেতনানাশক স্প্রে করে। এর কিছু সময় পর অটোরিকশা চালক অচেতন হয়ে পড়লে যাত্রীরা রিকশা থামিয়ে এক নারী যাত্রী তার ওড়না দিয়ে হাত-পা, মুখ বেঁধে পাকা রাস্তার পাশে তাকে ফেলে রেখে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অটোরিকশার মালিক নাজমুল হুসাইন রনি বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে থানায় মামলা করেন।
মামলার পর মঙ্গলবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অটোরিকশা সহ কৌশলে অটোরিকশা চুরির ঘটনায় জড়িত ৩ নারী, এক পুরুষসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশা চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে পাবনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।