গায়ে নোংরা পোশাক আর কাঁধে বড় বড় গাট্টি (বস্তা) নিয়ে চলাফেরা করা গনি মিয়া কে তার পরিবার নিতে আসলেও যাননি তিনি। উদ্ধারকৃত ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫২ টাকা নীলফামারীর সৈয়দপুর সমাজসেবা কার্যালয়ে জমা রয়েছে।
ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা একটি সামাজিক সংগঠন গত ১৪ জুন গনি সহ একাধিক জনকে গোসল করাতে উদ্যোগ নেন। গনিকে গোসল করাতে গিয়ে তার গায়ের পোশাক খুলে গোসল করার সময় তার শার্টের হাতা, কলার ও পোশাকের বিভিন্ন জায়গায় মোড়ানো অবস্থায় অনেক টাকা পাওয়া যায়। আবার বড় বড় বস্তা থেকে বিপুল পরিমাণ এক হাজার, পাঁচশত ও একশত টাকার নোট পাওয়া যায়।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই লোকটি মূলত শহরের জিআরপি এলাকায় বেশিরভাগ সময় থাকেন। তিনি জানিয়েছেন তাঁর বাড়ি রংপুরের আলমনগরের রবার্টসনগঞ্জ এলাকায়। খবর পেয়ে পরিবার তাঁকে নিতে ওইদিন এসেছিলো কিন্ত তিনি যাননি।
শহরে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ান এই লোক। তাকে অনেকেই টাকা দিয়ে সহায়তা করেন। সেই টাকাই খরচ না করে তিনি বস্তা বা শার্টের বিভিন্ন জায়গায় গুঁজে রাখেন।
সোমবার বিকেলে (১৬ জুন) কথা হয় গনির সাথে, তিনি বলেন, আমার ভাতিজা আমাকে নিতে এসেছিলো কিন্ত আমি যায়নি। আমার টাকা সমাজসেবা অফিসে জমা আছে। আর কোনো কথা না বলে তিনি জিআরপি ক্যান্টিন এলাকা ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে সমাজসেবা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, ওই মানষিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির টাকা আমাদের কাছে জমা আছে। তাঁর আইডি কার্ড হওয়ার পর সেই টাকায় সঞ্চয়পত্র কিনে হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে কেউ ওই টাকা আত্মসাত না করতে পারেন।