
আরও ৩৬ দেশের জন্য দরজা বন্ধ করতে পারে আমেরিকা। সেই নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এমনটাই বলছে সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। আমেরিকার বিদেশ দফতরের একটি মেমো উদ্ধৃত করে এই কথা জানিয়েছে তারা। চলতি মাসের শুরুতে ১২টি দেশের নাগরিকের আমেরিকায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে আরও সাত দেশের উপর। এ বার সেই তালিকা দীর্ঘ হতে পারে। যদিও এই নিয়ে হোয়াইট হাউস কোনও মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
নতুন যে দেশগুলির নাগরিকের আমেরিকায় আসার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন, তার মধ্যে ২৫টি আফ্রিকা মহাদেশের। আমেরিকার সঙ্গী বলে পরিচিত মিশর, জিবুতিও রয়েছে তালিকায়। মধ্য এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্রের উপরেও এই নিষেধাজ্ঞা চাপতে চলেছে। এই দেশগুলি আদতে গরিব রাষ্ট্র। অভিযোগ, সেখান থেকে প্রায়ই নাগরিকেরা আমেরিকায় প্রবেশ করে অবৈধ ভাবে সেখানে থেকে যান। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন বলছে, ওই মেমোয় সই রয়েছে আমেরিকার বিদেশ দফতরের সচিব মার্কো রুবিয়োর। যে দেশগুলির উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চলেছে আমেরিকা, সেখানকার রাষ্ট্রদূতের কাছে শনিবার মেমোটি পাঠানো হয়েছে বলেও খবর। তালিকায় থাকায় দেশগুলিকে ৬০ দিন সময় দিয়েছে আমেরিকা। তার মধ্যে তাদের জানাতে হবে যে, আমেরিকার দেওয়া ‘মানদণ্ড এবং শর্ত’ তারা গ্রহণ করবে কি না। আগামী বুধবার সকালের মধ্যে জানাতে হবে, এই বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে তারা কী পদক্ষেপ করতে চলেছে।
আমেরিকার প্রশাসন সূত্রে খবর, সে দেশে প্রবেশের জন্য বেশ কিছু ‘মানদণ্ড’ স্থির করা হয়েছে। যাদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কথা ভাবা হচ্ছে, তাদের অনেকেই সেই ‘মানদণ্ড’ মানতে ব্যর্থ। এই দেশগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটিতে নাগরিকদের বৈধ পরিচয়পত্র দেওয়ার মতো কোনও কেন্দ্রীয় সরকারই নেই। কিছু দেশে আবার পরিচয়পত্র দেওয়া নিয়ে জালিয়াতি হয়, বলছে ট্রাম্প প্রশাসনের একটি সূত্র। আরও অভিযোগ, ওই দেশগুলির কিছু নাগরিক আমেরিকায় বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে নাগরিকত্ব কেনেন। তার পরে অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। ওই ৩৬টি দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের এই সব ‘শর্ত’ যদি না মানে, তবে তাদের উপর কবে থেকে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে, তা স্পষ্ট নয়।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 




















