ঢাকা ০৯:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা

মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ, চিকিৎসা নিচ্ছেন বারান্দাতে

৬ দিনের একটানা তাপপ্রবাহের কারণে নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুন বেড়ে গেছে। ডায়রিয়া ও গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ছয় দিনে অন্তত ২৩৫জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৮৫ জন। আর প্রচণ্ড গরমের কারণে পানি শূন্যতা, পেট ব্যথা, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও ১৫০ জন।
৫০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে গেল বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৭ জন। ফলে বেডের অভাবে অনেক রোগীকে মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এসব স্থানে বিদ্যুতের সুবিধা না থাকায় গরমে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগ বেড়েছে রোগী ও তাদের স্বজনদের।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পিরপালি বাজার থেকে পেটের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন কুরসিয়া বিবি (৬০)। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে বারান্দায় রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ নেই, ফ্যানও নেই। গরমে আর পেটব্যথায় একেবারে নাকাল অবস্থা। একটু ভালো জায়গা আর চিকিৎসার ঠিকঠাক ব্যবস্থা চাই।’                                                      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজনের দাবি, দ্রুত হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো, বিদ্যুতের ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাসনিম হুসাইন আরিফ বলেন, ‘কোরবানির দিন থেকে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে হঠাৎ করেই রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। জনবল সংকটে আমরা চিকিৎসাসেবা দিতে চরম হিমশিম অবস্থায় পড়ে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে আছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মাত্র চারজন চিকিৎসক নিয়ে ৫০ শয্যার হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও আবাসিক চিকিৎসাসেবা চালিয়ে নিতে হচ্ছে। হঠাৎ রোগীর চাপ অনেক বেড়ে যাওয়ায় বেড সংকুলান সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অনেক রোগীকে মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। রোগীর চাপ এ রকম থাকলে আমাদের আরও সমস্যায় পড়তে হতে পারে।’
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত

মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ, চিকিৎসা নিচ্ছেন বারান্দাতে

Update Time : ০৮:১৯:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
৬ দিনের একটানা তাপপ্রবাহের কারণে নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুন বেড়ে গেছে। ডায়রিয়া ও গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ছয় দিনে অন্তত ২৩৫জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৮৫ জন। আর প্রচণ্ড গরমের কারণে পানি শূন্যতা, পেট ব্যথা, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও ১৫০ জন।
৫০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে গেল বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৭ জন। ফলে বেডের অভাবে অনেক রোগীকে মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এসব স্থানে বিদ্যুতের সুবিধা না থাকায় গরমে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগ বেড়েছে রোগী ও তাদের স্বজনদের।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পিরপালি বাজার থেকে পেটের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন কুরসিয়া বিবি (৬০)। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে বারান্দায় রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ নেই, ফ্যানও নেই। গরমে আর পেটব্যথায় একেবারে নাকাল অবস্থা। একটু ভালো জায়গা আর চিকিৎসার ঠিকঠাক ব্যবস্থা চাই।’                                                      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজনের দাবি, দ্রুত হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো, বিদ্যুতের ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাসনিম হুসাইন আরিফ বলেন, ‘কোরবানির দিন থেকে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে হঠাৎ করেই রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। জনবল সংকটে আমরা চিকিৎসাসেবা দিতে চরম হিমশিম অবস্থায় পড়ে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে আছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মাত্র চারজন চিকিৎসক নিয়ে ৫০ শয্যার হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও আবাসিক চিকিৎসাসেবা চালিয়ে নিতে হচ্ছে। হঠাৎ রোগীর চাপ অনেক বেড়ে যাওয়ায় বেড সংকুলান সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অনেক রোগীকে মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। রোগীর চাপ এ রকম থাকলে আমাদের আরও সমস্যায় পড়তে হতে পারে।’