ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন

পাচার হওয়া অর্থের খোঁজে অধ্যাপক ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার

যুক্তরাজ্যে সফররত দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সাড়া দেননি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বিদেশে পাচার হওয়া কোটি কোটি ডলার উদ্ধারের চেষ্টায় কিয়ার স্টারমারের সমর্থন আদায়ের জন্য এই সফর করছেন প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, বিগত শাসনামলে ‘চুরি’ হওয়া অর্থ খুঁজে বের করতে বাংলাদেশের নতুন সরকারকে সহায়তা করার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের নৈতিকভাবে বাধ্যবাধকতা উপলব্ধি করা উচিত। চুরি হওয়া ওই অর্থের একটি বড় অংশ বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এখনও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজি হননি বলে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তার সঙ্গে আমার সরাসরি কথা হয়নি।’

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘তবে কিয়ার স্টারমার বাংলাদেশের এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানাবেন, এই বিষয়ে তার কোনো সন্দেহ নেই।’ এছাড়া পাচার হওয়া অর্থ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো চুরির টাকা।’

যুক্তরাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে এখন অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কোনো পরিকল্পনা কিয়ার স্টারমারের নেই। এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তাঁরা।

যুক্তরাজ্য সরকার ইতিমধ্যে অর্থ খুঁজে পেতে সহায়তা দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা উদ্ধারে বাংলাদেশকে সহায়তার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ‘আইনি ও নৈতিকভাবে’ বাধ্যবাধকতা অনুভব করা উচিত। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তাঁর সফরের লক্ষ্য ছিল যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে এ বিষয়ে ‘আরও উদ্যমী’ সহায়তা বের করে আনা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন

পাচার হওয়া অর্থের খোঁজে অধ্যাপক ইউনূস

Update Time : ০১:৩৫:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

যুক্তরাজ্যে সফররত দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সাড়া দেননি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বিদেশে পাচার হওয়া কোটি কোটি ডলার উদ্ধারের চেষ্টায় কিয়ার স্টারমারের সমর্থন আদায়ের জন্য এই সফর করছেন প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, বিগত শাসনামলে ‘চুরি’ হওয়া অর্থ খুঁজে বের করতে বাংলাদেশের নতুন সরকারকে সহায়তা করার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের নৈতিকভাবে বাধ্যবাধকতা উপলব্ধি করা উচিত। চুরি হওয়া ওই অর্থের একটি বড় অংশ বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এখনও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজি হননি বলে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তার সঙ্গে আমার সরাসরি কথা হয়নি।’

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘তবে কিয়ার স্টারমার বাংলাদেশের এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানাবেন, এই বিষয়ে তার কোনো সন্দেহ নেই।’ এছাড়া পাচার হওয়া অর্থ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো চুরির টাকা।’

যুক্তরাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে এখন অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কোনো পরিকল্পনা কিয়ার স্টারমারের নেই। এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তাঁরা।

যুক্তরাজ্য সরকার ইতিমধ্যে অর্থ খুঁজে পেতে সহায়তা দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা উদ্ধারে বাংলাদেশকে সহায়তার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ‘আইনি ও নৈতিকভাবে’ বাধ্যবাধকতা অনুভব করা উচিত। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তাঁর সফরের লক্ষ্য ছিল যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে এ বিষয়ে ‘আরও উদ্যমী’ সহায়তা বের করে আনা।