
নওগাঁয় নেশাগ্রস্থ স্বামীর হাসুয়ার কোপে স্ত্রী গুরুত্বর আহত ও গণপিটুনীতে স্বামী নিহত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে নওগাঁ সদর উপজেলার আনন্দনগর বাবু বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নওগাঁ সদর উপজেলার আনন্দনগর বাবু বাজার এলাকায় নেশাগ্রস্থ স্বামী সুমন (৩২) এর হাসুয়ার এলোপাতাড়ি কোপে স্ত্রী ময়ূরী (২৪) গুরুত্বর আহত হন। এসময় স্ত্রীর একটি হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া একাধিক স্থানে গভীর জখমের সৃষ্টি হয়। স্ত্রী ময়ুরীকে রাজশাহী মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুদ্ধ হয়ে সুমনকে গণপিটুনি দিলে তার মৃত্যু ঘটে। নিহত সুমন নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের দুবলহাটি গ্রামের বাবু সরদারের ছেলে।
জানা যায়, গত প্রায় ৪ বছর আগে শহরের আনন্দনগর এলাকার আবদুস সামাদের মেয়ে ময়ূরীর সাথে সুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সুমন তার স্ত্রীর সাথে আনন্দনগর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। সুমন বিভিন্ন সময় নেশাগ্রস্ত হয়ে স্ত্রীর সাথে ঝগড়াঝাটি করতেন এবং স্ত্রীকে সাংসারিক কোন খরচ দিতেন না। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদকাসক্ত হয়ে স্ত্রীর সাথে ঝগড়াঝাটি করেন। তার এক পর্যায়ে হাসুয়া দিয়ে স্ত্রীর গলা এবং হাতে কোপ দেন। এতে স্ত্রীর বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমন নির্মম ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে স্থানীয়রা সুমনকে গণপিটুনী দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বামী ও স্ত্রীকে উদ্ধার করেন নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নিলে ময়ূরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় এবং সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। স্থানীয়দের গণপিটুনীতে স্বামী সুমন মারা গেছেন। সুমনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়ূরীর হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। লাশ এখন নওগাঁ হাসপাতালে রয়েছে। পরিবারের বরাতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নওগাঁ প্রতিবেদক 


















