ডাল গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে ঈশ্বরদীতে তিলের উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন প্রযুক্তি শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে ) ঈশ্বরদী পৌর এলাকার ইসলামপুরে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিলের মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ঈশ্বরদীর পরিচালক ড. মো. মাজহারুল আনোয়ার।
কৃষক ও শিক্ষক মো. গোলাম আযমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. মহিউদ্দিন আহমেদ
প্রাক্তন পরিচালক ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ঈশ্বরদী, ড. মো.রবিউল ইসলাম, ড. মো.কামাল উদ্দিন আহমেদ, ড. আকতারুজ্জামান ও ড. তাইমুল ইসলাম গাজীপুর।
প্রধান অতিথি বলেন, তিল হচ্ছে একটি দানাদার ফসল। একটু উঁচু জমিতে তিল চাষ করতে হবে তাহলে ফলন বৃদ্ধি পাবে। সোয়াবিন তেল হচ্ছে এক ধরনের বিষ। নিয়মিত সোয়াবিন তেল খেলে ধীরে ধীরে মানুষকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ভেজাল তেল খাওয়ার কারণে মানুষের জীবনী শক্তি কমে যায়। প্রতি বছর বিদেশ থেকে যে তেল আমদানী করা হয় সেই টাকা দিয়ে একটি করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। ভুট্টার সাথে সাথী ফসল হিসেবে জমিতে তিল দেয়া যায়।
বক্তারা বলেন, আমাদের শরীরের জন্য যে সকল পুষ্টি জাতীয় জিনিষের প্রয়োজন হয় তিলের তেলের মধ্যে সেই সকল গুনাগুন আছে। আমাদের দেশের মানুষেরা প্রথম দিকে তিলের তেল ও সরিষার তেল খেতো। কিন্তু বাজারে নানা ধরনের অনিরাপদ তেল পাওয়া যাচ্ছে। তেলের কারণে মানুষের শরীরে নানা ধরণের রোগবালাই হয়ে থাকে।
বক্তারা আরও বলেন, আপনাদের নিজেদের প্রয়োজনে তিল চাষ করে রান্নার কাজে ব্যবহার করবেন। রমজান এলেই তেলের দাম বেড়ে যায়। আপনার ঘরে তেল থাকলে মরিচ দিয়েও ভাত খেতে পারবেন। তিলের সাথে বাদাম মিশিয়ে ভাঙ্গিয়ে ভোজ্য তেল হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা যাবে।
সরিষার তেল খেলে কিছুটা সমস্যা হলেও তিলের তলে কোন প্রকার সমস্যা হয়না। একই সাথে তিলের মূল্য বৃদ্ধি করা হলে চাষিরা আরও বেশি চাষাবাদে আগ্রহী হবে।
কৃষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, লিটন বিশ্বাস, শামসুদ্দোহা, আনোয়ার হোসেন ও ইসরাইল উদ্দিন প্রমুখ।