ঢাকা ১০:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo তানোর-গোদাগাড়ীতে প্রার্থী ঘোষণায় সরগরম বিএনপির তৃণমূল Logo বিএনপিতে ফেরায় সংবর্ধিত হলেন কমেট চৌধুরী Logo ঈশ্বরদীতে ক্ষুধায় বাবা মায়ের কবরের কাছে গিয়ে খাবার চাওয়া সাগরের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান Logo জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ১৮ প্রকল্প অনুমোদন Logo দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প  গ্যাস পাওয়ার অপেক্ষা ফুরাচ্ছে না দুই বছরেও Logo আটঘরিয়া জ্যামীর আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ মিছিল, প্রশাসনে স্মারকলিপি প্রদান Logo দৈনিক বার্তার অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার প্রকাশনার সফলতা কামনা করলেন রোকেয়া রাজ্জাক জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার Logo পাবনা-৩ আসনে বিএনপির জনসমুদ্রে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবী Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি

স্বপ্ন ভেঙে দেশে ফিরলো লাশ হয়ে

ধার দেনা পরিশোধ করে নতুন স্বপ্নে বিয়ে করে ঘর বাঁধার ইচ্ছা ছিল প্রবাসীর । তার আগেই দুর্ঘটনায় স্বপ্ন ভেঙে দেশে ফিরলো লাশ হয়ে । মালোশিয়ায় নিহতের বিশ দিন পর শাহ আলম চঞ্চল(২৫) এর মরদেহ দেশের নিজ গ্রামে এনে দাফন করা হয়েছে।
বুধবার(২১-০৫-২০২৫) সকাল ১০টায় জানাযার নামাজ শেষে দাফন করা হয়।

শাহ আলম চঞ্চল রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামের জফির উদ্দীন মৃধার ছেলে। গত ৩০ এপ্রিল’২৫ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮ টায় ভেকু (এক্সকাভেটর) মেশিনের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে নিহত হন শাহ আলম চঞ্চল ।
সরেজমিন বুধবার (২১-০৫-২০২৫)তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,মরদেহের অপেক্ষায় থাকা স্বজনদের আহাজারি। দাফন শেষেও চলছিল কান্নার রোল। বাক রুদ্ধ মা-বাবা। বুক চাপড়িয়ে কাঁদছিল একমাত্র ছোট বোন সুমি খাতুনও।

জানা যায়,দুই বছর আগে শ্রমিকের ভিসা নিয়ে মালোশিয়া গিয়েছিলেন শাহ আলম চঞ্চল।সেখানকার একটি কোম্পানিতে কাজ করছিলেন ভেকু (এক্সকাভেটর) মেশিন চালকের সহকারি (হেল্পার) হিসেবে। সবে মাত্র সেই ধারদেনা পরিশোধ করে নতুন করে স্বপ্ন দেখছিলেন পরিবার। কিন্তু ওই ভেকু মেশিনেই প্রাণ গেছে তার। স্বপ্ন ভেঙে চুরমার পরিবারের।

নিহতের পিতা জফির উদ্দীন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,কোরবানীর ঈদের পরে ছুটিতে বাড়িতে এসে বিয়ে করার কথা ছিল ছেলের। মৃত্যুর আগের দিন রাতেও ছেলের সাথে কথা হয়েছে তাদের। তার সাথে কথা বলে জানা গেল,মালোয়েশিয়ায় যে কোম্পানীতে কাজ করছিলেন,সেই কোম্পানীর খরচেই মরদেহ ঢাকার বিমান বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন। সেখান থেকে মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ১৭ হাজার টাকা।

মা সাথী বেগম বলছিলেন,ছেলেকে বিয়ে দিয়ে বউ ঘরে এনে সংসার করাবেন। ছেলের বউ রান্না করে আমাদের খাওয়াবেন,দেখ ভাল করবেন। সেই আশা আর পূর্ণ হলোনা। ছেলে লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরবেন ভাবতেও পারিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোর-গোদাগাড়ীতে প্রার্থী ঘোষণায় সরগরম বিএনপির তৃণমূল

স্বপ্ন ভেঙে দেশে ফিরলো লাশ হয়ে

Update Time : ০৬:৪৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

ধার দেনা পরিশোধ করে নতুন স্বপ্নে বিয়ে করে ঘর বাঁধার ইচ্ছা ছিল প্রবাসীর । তার আগেই দুর্ঘটনায় স্বপ্ন ভেঙে দেশে ফিরলো লাশ হয়ে । মালোশিয়ায় নিহতের বিশ দিন পর শাহ আলম চঞ্চল(২৫) এর মরদেহ দেশের নিজ গ্রামে এনে দাফন করা হয়েছে।
বুধবার(২১-০৫-২০২৫) সকাল ১০টায় জানাযার নামাজ শেষে দাফন করা হয়।

শাহ আলম চঞ্চল রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামের জফির উদ্দীন মৃধার ছেলে। গত ৩০ এপ্রিল’২৫ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮ টায় ভেকু (এক্সকাভেটর) মেশিনের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে নিহত হন শাহ আলম চঞ্চল ।
সরেজমিন বুধবার (২১-০৫-২০২৫)তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,মরদেহের অপেক্ষায় থাকা স্বজনদের আহাজারি। দাফন শেষেও চলছিল কান্নার রোল। বাক রুদ্ধ মা-বাবা। বুক চাপড়িয়ে কাঁদছিল একমাত্র ছোট বোন সুমি খাতুনও।

জানা যায়,দুই বছর আগে শ্রমিকের ভিসা নিয়ে মালোশিয়া গিয়েছিলেন শাহ আলম চঞ্চল।সেখানকার একটি কোম্পানিতে কাজ করছিলেন ভেকু (এক্সকাভেটর) মেশিন চালকের সহকারি (হেল্পার) হিসেবে। সবে মাত্র সেই ধারদেনা পরিশোধ করে নতুন করে স্বপ্ন দেখছিলেন পরিবার। কিন্তু ওই ভেকু মেশিনেই প্রাণ গেছে তার। স্বপ্ন ভেঙে চুরমার পরিবারের।

নিহতের পিতা জফির উদ্দীন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,কোরবানীর ঈদের পরে ছুটিতে বাড়িতে এসে বিয়ে করার কথা ছিল ছেলের। মৃত্যুর আগের দিন রাতেও ছেলের সাথে কথা হয়েছে তাদের। তার সাথে কথা বলে জানা গেল,মালোয়েশিয়ায় যে কোম্পানীতে কাজ করছিলেন,সেই কোম্পানীর খরচেই মরদেহ ঢাকার বিমান বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন। সেখান থেকে মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ১৭ হাজার টাকা।

মা সাথী বেগম বলছিলেন,ছেলেকে বিয়ে দিয়ে বউ ঘরে এনে সংসার করাবেন। ছেলের বউ রান্না করে আমাদের খাওয়াবেন,দেখ ভাল করবেন। সেই আশা আর পূর্ণ হলোনা। ছেলে লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরবেন ভাবতেও পারিনি।