রাজশাহীতে রোববার থেকে শুরু করে বুধবার পর্যন্ত রাজশাহী জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজিবি ভারতীয় বলে অর্ধকোটি টাকার দেশী গরু আটক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গরু ব্যবসায়ীরা রাজশাহী মহানগরীর শালবাগানাস্ত বিজিবি সদর দপ্তরের সামনে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। পরে বিজিবির সদস্যরা তাদের সরিয়ে দিলে রাস্তার অপর পাশে অবস্থান নেন ব্যবসায়ীরা।
এ নিয়ে বিজিবি সদর দপ্তরে রাজশাহী সিটি হাটের ইজারাদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিজিবির সভা হয়েছে।
গরুর ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার সকালে রাজশাহীর পবা উপজেলার বাগধানী, বাগসারা ও দুয়ারী এলাকায় বিজিবি অভিযান চালিয়ে চার গাড়ি গরু জব্দ করে। এছাড়াও রোববার চারগাট এলাকা থেকেও গরু আটক করেন তারা। বিজিবি মোট ২৪টি গরু নিয়ে আটক করেন। সব গরু কাস্টমে রাখা হয়েছে বলে জানা গিছে।
এই খবর পেয়ে ব্যবসায়ীরা দুপুরের দিকে জড়ো হন বিজিবির সদর দপ্তরে। তাদের সঙ্গে হাটের বিভিন্ন পর্যায়ের ইজারাদার ও অন্যান্য গরু ব্যবসায়ীরাও জড়ো হন। তারা সেখানে নানা স্লোগান দেন। পরে বিজিবির সদস্যরা তাদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বলেন। একপর্যায়ে তারা রাস্তা ছেড়ে দেন।
তানোর এলাকার গরু ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, তার ২টি গরু, তানোরের আরেক ব্যবসায়ী সাহাবুর বলেন তার দুইটি গরু, তানোরের আরেক ব্যবসায়ী আতিক বলেন, তার আটটি গরু ও লাল মিয়া বলেন, তার চারটি গরু, পাবনার শাহাদত বলেন, তার চারটি গরু এবং মোহনপুরের শহিদুল বলেন, তার ছয়টি গরু বিজিবি জোরপুর্বক আটক করে নিয়ে এসেছেন। শুধু গরু নয় তাদের নিকট হতে মোবাইল ফোনও কেড়ে নেন বলে তারা অভিযোগ করেন।
তারা আরো বলেন, তাদের কোন গরুই ভারতীয় নয়। তাদের নিকট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বরের প্রদানকৃতদ সনদপত্র রয়েছে। এছাড়াও তারা যে হাট থেকে গরু ক্রয় করেছেন সেখানকার চাড়পত্রও রয়েচে। এরপরেও বিজিবি জোর করে তাদের নিকট হতে গরুগুলো জোর করে নিয়ে আসেন। ব্যবসায়ী রবিউল বলেন, বুধবার সকালে পবার দুয়ারী মোড় দিয়ে তানোর থেকে সিটি হাটের উদ্দেশে গরু আসছিলেন। তাদের গাড়িতে মোট আটটি গরু ছিল। গরুগুলো তারা তানোরের বিভিন্ন গ্রামের চাষীদের নিকট হতে ক্রয় করেছেন। সেগুলো নিয়ে চলে এসেছে বিজিবি। এগুলো দেশিয় গরু, ভারতের না।
এনিয়ে হাট ইজারার পার্টনার রুহুল আমিন টুনু ও খাইরুল ইসলাম এবং আরো অন্য একজন বিজিবি সদর দপ্তরে আলোচনায় বসেন। কিন্তু সেখানে কোন কিছু সুরহা হয়নি বলে জানান টুনু। তিনি বলেন, বিজিবি উপযুক্ত কাগজ দেখিয়ে কাস্টম থেকে গরু নিয়ে যেতে বলেছেন। আর এনিয়ে আর কোন বাবারাড়ি বরদাস্ত করবেন না বলে বিজিবি কর্মকর্তাগণ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানান টুনু। তবে এই বিষয়ে আইনশৃংখা বাহিনীর সদস্য, ব্যবসায়ী ও ইজাদারদের সমনন্বয়ে বুধবার বিকেলে সভা হবেয়ছে। তবে সিদান্ত জানা যায়নি।
এদিকে এই বিষয়ে বিজিবির সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কোন বক্তব্যে দিতে রাজি হননি।