ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo তানোর-গোদাগাড়ীতে প্রার্থী ঘোষণায় সরগরম বিএনপির তৃণমূল Logo বিএনপিতে ফেরায় সংবর্ধিত হলেন কমেট চৌধুরী Logo ঈশ্বরদীতে ক্ষুধায় বাবা মায়ের কবরের কাছে গিয়ে খাবার চাওয়া সাগরের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান Logo জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ১৮ প্রকল্প অনুমোদন Logo দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প  গ্যাস পাওয়ার অপেক্ষা ফুরাচ্ছে না দুই বছরেও Logo আটঘরিয়া জ্যামীর আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ মিছিল, প্রশাসনে স্মারকলিপি প্রদান Logo দৈনিক বার্তার অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার প্রকাশনার সফলতা কামনা করলেন রোকেয়া রাজ্জাক জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার Logo পাবনা-৩ আসনে বিএনপির জনসমুদ্রে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবী Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি

জামায়াতে ইসলামীর দিকে কেউ চক্ষু রাঙিয়ে কথা বলবেন না: রফিকুল ইসলাম খান

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, জামায়াতে ইসলাম দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায়। কিন্তু এই পরিবেশ বিঘ্নিত করতে কেউ কেউ চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ মনে করছেন আ.লীগ চলে গেছে উনারা দেশের মালিক হয়ে গেছে। এজন্য সবাইকে মনে রাখতে হবে হাসিনার মতো মানুষকে এই দেশের মানুষ বিদায় করেছেন। আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই- আমাদেরকে কেউ চক্ষু রাঙিয়ে কথা বলার চেষ্টা করবেন না, আমরা কারো চক্ষু রাঙানিকে পরোয়া করি না।

শনিবার (১৭ মে) দুপুরে সুজানগর উপজেলা ও বেড়া জামায়াতের আয়োজিত অনুষ্ঠান সুজানগর অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার ও পৌর হাট মাঠের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের দুই মন্ত্রীর এক টাকাও দুর্নীতি পায়নি। আমাদের ইতিহাস সৎ নেতাকর্মী তৈরির। নির্দোষ এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তি, দলের নিবন্ধন ও প্রতিক ফিরিয়ে দিতে হবে। আগে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে। এরপর জাতীয় নির্বাচন হবে। কোন সরকারের অধিনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। আমরা সুখী সমৃদ্ধশালী আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দুর্নীতিমুক্ত ও চাঁদাবাজমুক্ত দেশ গড়তে কাজ করছি।

এ জন্য জামায়াতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। শহীদ আমীরে জামায়াত মতিউর রহমান নিজামীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রথম শ্রেণির সব নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদিকেও কারাগারে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তিনি বলেন, আ.লীগের সব নেতাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এদের কোন ক্ষমা করা চলবে না। এরা অসংখ্য মানুষকে বছরের পর বছর আয়নাঘরে গুম করে রেখেছিল। দেশের শাসন ব্যবস্থা নির্বাচন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বললেই গুমের শিকার হতে হতো। এখনো অনেকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিগত পতিত সরকার ভারতীয় দালাল ঘসেটি বেগম হাসিনা নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। হাসিনার আমলের ভূয়া নির্বাচন কমিশনারদের গ্রেপ্তার করতে হবে। বিচারপতি খাইরুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে হবে। সব হত্যাকান্ডের দায় তাকে নিতে হবে।

উত্তরবঙ্গের বর্ষিয়ান এ নেতা সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, জুলাই বিপ্লবে নিহতের পরিবারের একজন করে যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকুরী দিতে হবে। আহতদের পুনর্বাসন করতে হবে। গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত এদের বিচার দ্রুত করতে হবে।শুধু শেখ হাসিনাকে বিচার করলে হবে না, একসঙ্গে যারা জড়িত সবাইকে বিচার করতে হবে। বিদেশে পাচারের টাকা ফেরত আনতে হবে।

সুজানগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর, পাবনা-২ (সুজানগর ও বেড়ার আংশিক) আসনের এমপি পদপ্রার্থী জননেতা অধ্যাপক কে এম হেসাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, পাবনা জেলা জামায়াতে নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মো: ইকবাল হোসাইন, জামায়াতের ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ব্যরিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, পাবনা- ৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক আলী আসগর, পাবনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার খান, সহকারী সেক্রেটারি আবু সালেহ মো: আব্দুল্লাহ, এসএম সোহেল ,পাবনা সদর জামায়াতের আমীর আব্দুর রব, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পাবনার সভাপতি অধ্যাপক রেজাউল করিম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাবনা শহর শাখার সভাপতি ফিরোজ হোসাইন, জেলা শাখার সভাপতি ইসরাইল হোসাইন শান্ত। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য শেষে পাবনার ৫টি আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন রফিকুল ইসলাম খান। পরে তাদের নিয়ে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি অনুষ্ঠানস্থল থেকে়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলার সামনে গিয়ে শেষ হয়।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, বেড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আতাউর রহমান সরকার ও সুজানগর জামায়াতের সেক্রেটারি টুটুল হোসাইন বিশ্বাস।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোর-গোদাগাড়ীতে প্রার্থী ঘোষণায় সরগরম বিএনপির তৃণমূল

জামায়াতে ইসলামীর দিকে কেউ চক্ষু রাঙিয়ে কথা বলবেন না: রফিকুল ইসলাম খান

Update Time : ০৮:২০:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, জামায়াতে ইসলাম দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায়। কিন্তু এই পরিবেশ বিঘ্নিত করতে কেউ কেউ চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ মনে করছেন আ.লীগ চলে গেছে উনারা দেশের মালিক হয়ে গেছে। এজন্য সবাইকে মনে রাখতে হবে হাসিনার মতো মানুষকে এই দেশের মানুষ বিদায় করেছেন। আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই- আমাদেরকে কেউ চক্ষু রাঙিয়ে কথা বলার চেষ্টা করবেন না, আমরা কারো চক্ষু রাঙানিকে পরোয়া করি না।

শনিবার (১৭ মে) দুপুরে সুজানগর উপজেলা ও বেড়া জামায়াতের আয়োজিত অনুষ্ঠান সুজানগর অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার ও পৌর হাট মাঠের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের দুই মন্ত্রীর এক টাকাও দুর্নীতি পায়নি। আমাদের ইতিহাস সৎ নেতাকর্মী তৈরির। নির্দোষ এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তি, দলের নিবন্ধন ও প্রতিক ফিরিয়ে দিতে হবে। আগে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে। এরপর জাতীয় নির্বাচন হবে। কোন সরকারের অধিনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। আমরা সুখী সমৃদ্ধশালী আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দুর্নীতিমুক্ত ও চাঁদাবাজমুক্ত দেশ গড়তে কাজ করছি।

এ জন্য জামায়াতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। শহীদ আমীরে জামায়াত মতিউর রহমান নিজামীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রথম শ্রেণির সব নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদিকেও কারাগারে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তিনি বলেন, আ.লীগের সব নেতাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এদের কোন ক্ষমা করা চলবে না। এরা অসংখ্য মানুষকে বছরের পর বছর আয়নাঘরে গুম করে রেখেছিল। দেশের শাসন ব্যবস্থা নির্বাচন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বললেই গুমের শিকার হতে হতো। এখনো অনেকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিগত পতিত সরকার ভারতীয় দালাল ঘসেটি বেগম হাসিনা নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। হাসিনার আমলের ভূয়া নির্বাচন কমিশনারদের গ্রেপ্তার করতে হবে। বিচারপতি খাইরুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে হবে। সব হত্যাকান্ডের দায় তাকে নিতে হবে।

উত্তরবঙ্গের বর্ষিয়ান এ নেতা সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, জুলাই বিপ্লবে নিহতের পরিবারের একজন করে যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকুরী দিতে হবে। আহতদের পুনর্বাসন করতে হবে। গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত এদের বিচার দ্রুত করতে হবে।শুধু শেখ হাসিনাকে বিচার করলে হবে না, একসঙ্গে যারা জড়িত সবাইকে বিচার করতে হবে। বিদেশে পাচারের টাকা ফেরত আনতে হবে।

সুজানগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর, পাবনা-২ (সুজানগর ও বেড়ার আংশিক) আসনের এমপি পদপ্রার্থী জননেতা অধ্যাপক কে এম হেসাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, পাবনা জেলা জামায়াতে নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মো: ইকবাল হোসাইন, জামায়াতের ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ব্যরিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, পাবনা- ৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক আলী আসগর, পাবনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার খান, সহকারী সেক্রেটারি আবু সালেহ মো: আব্দুল্লাহ, এসএম সোহেল ,পাবনা সদর জামায়াতের আমীর আব্দুর রব, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পাবনার সভাপতি অধ্যাপক রেজাউল করিম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাবনা শহর শাখার সভাপতি ফিরোজ হোসাইন, জেলা শাখার সভাপতি ইসরাইল হোসাইন শান্ত। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য শেষে পাবনার ৫টি আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন রফিকুল ইসলাম খান। পরে তাদের নিয়ে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি অনুষ্ঠানস্থল থেকে়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলার সামনে গিয়ে শেষ হয়।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, বেড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আতাউর রহমান সরকার ও সুজানগর জামায়াতের সেক্রেটারি টুটুল হোসাইন বিশ্বাস।