
অনতিবিলম্বে বনলতা’র পাশাপাশি সকল আন্তঃনগর (ধূমকেতু, পদ্মা, সিল্কসিটি ও মধুমতি) ট্রেন সমুহ রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের পরিবর্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে চালুসহ ৮দফা দাবীতে রেলপথ অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
বুধবার সকালে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’র চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনে এই কর্মসূচী পালন করা হয়। কর্মসূচীতে জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। ৮ দফা দাবী তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন নাগরিক (সুজন) চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মনোয়ার হোসেন জুয়েল, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোখলেশুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ, জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আহব্বায়ক আব্দুর রাহিম, জামায়াত নেতা রবিউল ইসলাম রবি, আব্দুল আলীম ও গোলাম রাব্বানীসহ অন্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি খায়রুল ইসলাম,
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শাহনেওয়াজ খাঁন সিনহা, সুশানের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসিদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মুনিরুল ইসলাম মুনির, সুজনের সদর উপজেলা সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী আসাদ, সাধারণ সম্পাদক জারিফ হোসেন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন সহ জেলার সর্বস্তরের জনগণ ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকর্মীরা। কর্মসূচী চলাকালে বক্তরা বলেন, বর্তমানে ঢাকা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত চলাচলকারী পাঁচটি আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে একমাত্র বনলতা চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত চলে।
অথচ নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন মহল দীর্ঘদিন থেকে সকল ট্রেনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালানোর দাবিতে আন্দোলন করছে। অথচ দাবিটি পূরণ না হওয়ায় ২৫ লক্ষাধিক জনসংখ্যার জেলাবাসীকে বিভিন্ন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আম, সোনামসজিদ স্থলবন্দরসহ বিভিন্নদিকে সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনার জেলাবাসী নিরাপদ আধুনিক যোগাযোগ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বক্তারা জেলাবাসীর প্রাণের দাবীগুলো পুরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানান। মানববন্ধনের প্রধান আলোচনা ও ট্রেন আন্দোলনের উদ্যোক্তা মনোয়ার হোসেন জুয়েল বলেন ৮ দফা দাবীর মধ্যে নুন্যতম দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলমান থাকার কথা ব্যক্ত করেন তিনি। রেলস্টেশন মাস্টার মো. ওবায়দুল হক এর রেল কর্তৃপক্ষেরর সাথে কথা বলে আন্দোলন কারীদের আশ্বস্ত করেন। স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল হক এর আশ্বাসের ফলে ট্রেন অবরোধ কর্মসূচী তুলে নেন আন্দোলন কারীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল্লাহ বলেন, ইতোমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন মাস্টারের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেছিলেন। আমি ডাক যোগের মাধ্যমে স্মারকলিপিগুলো বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছি। দিয়েছি। আজকে সুজনের ব্যানারে মল্লিকা কমিউটার ট্রেন ঘেরাও করেছিল, তখনও আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি এবং বিষয়টি জানিয়েছি। এছাড়া, ১২৮ ডাউন মল্লিকা কমিউটার ট্রেনটি সাধারণত ১০টা ১৫ মিনিটে ছাড়ে।
কিন্তু অবরোধের কারণে প্রায় ৩৫ মিনিট লেটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এদিকে,বুধবারের কর্মসূচীর কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী ১২৮ ডাউন মল্লিকা কমিউটার ট্রেনটি সোয়া ১০টার পরিবর্তে আধাঘন্টা পর পৌনে ১১টার দিকে ষ্টেশন ছেড়ে যায়। ৮ দফার অন্য দাবিগুলো হচ্ছে-চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত নতুন ডবল লাইন নির্মাণ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনের প্লাটফর্ম আধুনিকায়ন, জেলার রহনপুর রেলওয়েশুল্ক ষ্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দর ঘোষণা, সকল আন্ত:নগর ট্রেনের জন্য রহনপুর পর্যন্ত কানেকটিং ট্রেন চালু, সদর উপজেলার আমনুরা বাইপাস ষ্টেশনে যাত্রা বিরতি রাখা, আমনুরাকে আধুনিক জংশনে রুপান্তর এবংঢাকা থেকে নাটোর, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হয়ে জেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ককে ৬ লেনে উন্নত করা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিবেদক 



















