ঢাকা ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo তানোর-গোদাগাড়ীতে প্রার্থী ঘোষণায় সরগরম বিএনপির তৃণমূল Logo বিএনপিতে ফেরায় সংবর্ধিত হলেন কমেট চৌধুরী Logo ঈশ্বরদীতে ক্ষুধায় বাবা মায়ের কবরের কাছে গিয়ে খাবার চাওয়া সাগরের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান Logo জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ১৮ প্রকল্প অনুমোদন Logo দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প  গ্যাস পাওয়ার অপেক্ষা ফুরাচ্ছে না দুই বছরেও Logo আটঘরিয়া জ্যামীর আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ মিছিল, প্রশাসনে স্মারকলিপি প্রদান Logo দৈনিক বার্তার অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার প্রকাশনার সফলতা কামনা করলেন রোকেয়া রাজ্জাক জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার Logo পাবনা-৩ আসনে বিএনপির জনসমুদ্রে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবী Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি

মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভোটাধিকার হরণে আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ: শফিকুল আলম

 ঢাকা: আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

সোমবার (১২ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো হরণ করেছিল। এ কারণে, গণঅভ্যুত্থনের নেতৃত্বদানকারী বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজারে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত গোষ্ঠীকে সরিয়ে দিয়ে যেন আরেকটি অসাধু গোষ্ঠী ঢুকতে না পারে, সেজন্য অর্থনৈতিক খাতে গভীর সংস্কারের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসব সংস্কার বাস্তবায়িত হলে সরকারের অগ্রগতি বহুগুণে বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার অফিস সংবাদমাধ্যমের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে এবং সব তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের সরকারি অফিসে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

প্রেস সচিব আরও দাবি করেন, “আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বড় ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না থাকা এমন কেউ নেই। গুমের রাজনীতি এ দেশে শুরু করেছে তারাই। জনগণ শেষ কবে ভোট দিয়েছে তা মনে করতে পারে না।”

সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে পূর্বাচলের প্লট নিয়ে ব্যস্ত না থেকে সাংবাদিকদের অধিকার, কপিরাইট আইন এবং ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা বেতন নিশ্চিতে সোচ্চার হওয়া উচিত। যারা এই বেতন দিতে অক্ষম, তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

তিনি জানান, বর্তমান সরকার বাকস্বাধীনতার পক্ষে এবং ‘ফ্রিডম অব স্পিচ’ বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চায়। তবে অতীতে এ অধিকার বারবার খর্ব হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।

গণমাধ্যম প্রসঙ্গে শফিকুল বলেন, এই সরকার কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করেনি, যদিও অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। কিছু সাংবাদিক কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। সাংবাদিকতার নামে চামচামি বরদাস্ত করা হবে না।

তিনি জানান, সাংবাদিকতার দুরবস্থা মূল্যায়নে একটি কমিশন গঠিত হয়েছে এবং জাতিসংঘকে অনুরোধ করা হবে, যেন একটি নিরপেক্ষ তদন্ত দল শেখ হাসিনার শাসনামলে সাংবাদিকতার ওপর কী প্রভাব পড়েছে তা মূল্যায়ন করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোর-গোদাগাড়ীতে প্রার্থী ঘোষণায় সরগরম বিএনপির তৃণমূল

মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভোটাধিকার হরণে আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ: শফিকুল আলম

Update Time : ০২:৫৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
 ঢাকা: আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

সোমবার (১২ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো হরণ করেছিল। এ কারণে, গণঅভ্যুত্থনের নেতৃত্বদানকারী বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজারে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত গোষ্ঠীকে সরিয়ে দিয়ে যেন আরেকটি অসাধু গোষ্ঠী ঢুকতে না পারে, সেজন্য অর্থনৈতিক খাতে গভীর সংস্কারের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসব সংস্কার বাস্তবায়িত হলে সরকারের অগ্রগতি বহুগুণে বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার অফিস সংবাদমাধ্যমের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে এবং সব তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের সরকারি অফিসে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

প্রেস সচিব আরও দাবি করেন, “আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বড় ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না থাকা এমন কেউ নেই। গুমের রাজনীতি এ দেশে শুরু করেছে তারাই। জনগণ শেষ কবে ভোট দিয়েছে তা মনে করতে পারে না।”

সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে পূর্বাচলের প্লট নিয়ে ব্যস্ত না থেকে সাংবাদিকদের অধিকার, কপিরাইট আইন এবং ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা বেতন নিশ্চিতে সোচ্চার হওয়া উচিত। যারা এই বেতন দিতে অক্ষম, তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

তিনি জানান, বর্তমান সরকার বাকস্বাধীনতার পক্ষে এবং ‘ফ্রিডম অব স্পিচ’ বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চায়। তবে অতীতে এ অধিকার বারবার খর্ব হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।

গণমাধ্যম প্রসঙ্গে শফিকুল বলেন, এই সরকার কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করেনি, যদিও অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। কিছু সাংবাদিক কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। সাংবাদিকতার নামে চামচামি বরদাস্ত করা হবে না।

তিনি জানান, সাংবাদিকতার দুরবস্থা মূল্যায়নে একটি কমিশন গঠিত হয়েছে এবং জাতিসংঘকে অনুরোধ করা হবে, যেন একটি নিরপেক্ষ তদন্ত দল শেখ হাসিনার শাসনামলে সাংবাদিকতার ওপর কী প্রভাব পড়েছে তা মূল্যায়ন করে।