
পাবনার ঈশ্বরদীসহ দেশের বেশিরভাগ এলাকাতেই বৃদ্ধি পেয়েছে তাপমাত্রা। আর গরমের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে তরমুজের চাহিদাও বেড়েছে দ্বিগুণ। পবিত্র মাহে রমজানে ইফতারে তরমুজের চাহিদা যতটা ছিল, রমজানের পরে মে মাসে এসে গরম বেড়ে যাওয়ায় তরমুজের এই চাহিদা এখন তুংগে। ঈশ্বরদী উপজেলা জুড়েও বেড়েছে তরমুজের চাহিদা।
ঈশ্বরদীতে এখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুই ছুই। গতকাল শুক্রবার (৯ মে) ঈশ্বরদীতে বিকেল ৩ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার ( ৮ মে ) ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে।
শনিবার (১০ মে ) ঈশ্বরদী উপজেলার পৌরশহরের বাজার, আরামবাড়িয়া বাজার, গোকুলনগর,দাশুরিয়া বাজার, মুলাডুলি বাজার, রুপপুর, জয়নগর,আওতা পাড়া, ও বাঁশেরবাদাসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে বিকেল গড়াতেই বাজারে তরমুজ কিনতে ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। বাজারজুড়ে এখন তরমুজের বেচাকেনা চলছে জমজমাটভাবে। প্রতিটি বাজারের বেশ কিছু স্থানে বসেছে তরমুজ বিক্রির দোকান।
তরমুজ ভালো কিংবা মন্দ, এটা বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় না থাকায় দামাদামি করে ক্রেতাকে তরমুজ কেটে ভেতরের অবস্থা দেখিয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতা। মান ভেদে তরমুজ কেজিতে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার আড়মবাড়িয়া এলাকার তরমুজ বিক্রেতা মো. মেশনা বলেন, তীব্র গরমের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে তরমুজ বিক্রি। আগে যেখানে দিনে ২০-২৫টি তরমুজ বিক্রি হতো, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০-৫০ টিতে।
দাশুড়িয়া বাজারের তরমুজ বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, মানুষ আর কিছু কিনুক বা না কিনুক, ছোট কিংবা বড় একটা তরমুজ কিনে নিয়েই যাচ্ছে। বেচা-বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
উপজেলার আওতাপাড়া বাজারে নজরুল ইসলাম নামের এক বিক্রেতা বলেন, এবার গরম শুরু হতেই চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। দাম কিছুটা বেশি হলেও মানুষ কিনছে নিয়মিত।
এদিকে আড়মবাড়িয়া বাজারে অনিল পাল নামের এক ক্রেতা জানান, গরমে ঠান্ডা খাবারের বিকল্প নেই, আর তরমুজ হচ্ছে সবচেয়ে সহজলভ্য ও উপকারী ফল। শ্বশুরবাড়িতে মিষ্টির বদলে এবার তরমুজ নিয়ে যাচ্ছি।
বাজার গুলির স্থানীয় তরমুজ ব্যবসায়ীদের ধারণা, তরমুজের এ বাজার পরিস্থিতি আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে।
আলমাস আলী, ঈশ্বরদী (পাবনা ) প্রতিবেদক 



















