ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপিতে ফেরায় সংবর্ধিত হলেন কমেট চৌধুরী Logo ঈশ্বরদীতে ক্ষুধায় বাবা মায়ের কবরের কাছে গিয়ে খাবার চাওয়া সাগরের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান Logo জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ১৮ প্রকল্প অনুমোদন Logo দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প  গ্যাস পাওয়ার অপেক্ষা ফুরাচ্ছে না দুই বছরেও Logo আটঘরিয়া জ্যামীর আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ মিছিল, প্রশাসনে স্মারকলিপি প্রদান Logo দৈনিক বার্তার অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার প্রকাশনার সফলতা কামনা করলেন রোকেয়া রাজ্জাক জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার Logo পাবনা-৩ আসনে বিএনপির জনসমুদ্রে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবী Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত

র‍্যাব কার্যালয় থেকে এএসপির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

চট্টগ্রামের চাঁন্দগাও র‍্যাব কার্যালয় থেকে এএসপি পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মৃত পলাশ সাহা র‍্যাব-৭ এ কর্মরত ছিলেন। তার মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

সিএমপির উত্তর বিভাগের কমিশনার আমিরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুপুরে র‌্যাব কার্যালয়ের নিজ কক্ষ থেকে পলাশ সাহার লাশ উদ্ধার করা হয়।’

পলাশ সাহার কক্ষে পাওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং স্ত্রী কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব সোনা নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।’

নিজের মাথায় গুলি করেন পলাশ

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার র‍্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে কর্মরত স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহা অফিস কক্ষে নিজের ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তার কক্ষ থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়েছে।

চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, পলাশ সাহা ৩৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি আগে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) ছিলেন। সর্বশেষ র‍্যাব-৭-এ এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশি গ্রামে।

ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, র‌্যাব চান্দগাঁও কার্যালয়ের নিজ কক্ষ থেকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।

র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ তার নিজের ব্যবহৃত অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন বলে জানান ওসি।

পলাশ সাহা ৩৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি আগে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) ছিলেন। সর্বশেষ র‍্যাব-৭-এ এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশি গ্রামে।

‘বউ যেন সব সোনা নিয়ে যায়’—এএসপির লাশের পাশে চিরকুট

পলাশ সাহার কক্ষে পাওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং স্ত্রী কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব সোনা নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপিতে ফেরায় সংবর্ধিত হলেন কমেট চৌধুরী

র‍্যাব কার্যালয় থেকে এএসপির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

Update Time : ০৬:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

চট্টগ্রামের চাঁন্দগাও র‍্যাব কার্যালয় থেকে এএসপি পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মৃত পলাশ সাহা র‍্যাব-৭ এ কর্মরত ছিলেন। তার মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

সিএমপির উত্তর বিভাগের কমিশনার আমিরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুপুরে র‌্যাব কার্যালয়ের নিজ কক্ষ থেকে পলাশ সাহার লাশ উদ্ধার করা হয়।’

পলাশ সাহার কক্ষে পাওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং স্ত্রী কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব সোনা নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।’

নিজের মাথায় গুলি করেন পলাশ

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার র‍্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে কর্মরত স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহা অফিস কক্ষে নিজের ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তার কক্ষ থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়েছে।

চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, পলাশ সাহা ৩৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি আগে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) ছিলেন। সর্বশেষ র‍্যাব-৭-এ এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশি গ্রামে।

ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, র‌্যাব চান্দগাঁও কার্যালয়ের নিজ কক্ষ থেকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।

র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ তার নিজের ব্যবহৃত অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন বলে জানান ওসি।

পলাশ সাহা ৩৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি আগে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) ছিলেন। সর্বশেষ র‍্যাব-৭-এ এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশি গ্রামে।

‘বউ যেন সব সোনা নিয়ে যায়’—এএসপির লাশের পাশে চিরকুট

পলাশ সাহার কক্ষে পাওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং স্ত্রী কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব সোনা নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।’