ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দৈনিক বার্তার অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার প্রকাশনার সফলতা কামনা করলেন রোকেয়া রাজ্জাক জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার Logo পাবনা-৩ আসনে বিএনপির জনসমুদ্রে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবী Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে বেধড়ক কিলঘুষি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে নারায়নগঞ্জের একটি আদালতের এজলাস থেকে বের হওয়ার সময় কিল – ঘুষি মেরেছেন একদল আইনজীবী।

বাংলাদেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের ভিডিওতে দেখা যায়, শুনানি শেষে এজলাস থেকে আনিসুল হককে বের করছিলো পুলিশ। দরজার সামনে মাথায় হেলমেট পড়া আনিসুল হককে পেছন থেকে ও দরজার পাশ থেকে আইনজীবীরা কিল -ঘুষি দিচ্ছেন।

এ সময় বাঁচার জন্য হাতকড়া পরিহিত আনিসুল হককে দুই হাত দিয়ে হেলমেট আঁকড়ে ধরতে দেখা যায় ভিডিওতে। চারদিক থেকে পুলিশ তাকে আগলে দরজা পার হওয়ার পর পুরো বারান্দা দিয়ে দৌড়ে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় আইনজীবীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।

একপর্যায়ে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে আদালত চত্বরের সামনে থাকা প্রিজন ভ্যানে ওঠেন আনিসুল হক। এ সময় পুলিশ তাকে ঘিরে ছিল।

ভিডিওতে দেখা যায়, আনিসুল হক প্রিজন ভ্যানে ওঠার সাথে সাথে তা আদালত চত্বর ত্যাগ করে।

পাঁচই অগাস্টের পরের একটি হত্যা মামলায় আজ সোমবার হককে নারায়নগঞ্জের ওই আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এ মামলায় পুলিশ হকের সাতদিনের রিমান্ড চাইলে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

এই হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামি আনিসুল হক।

সাবেক এই আইনমন্ত্রীকে মারধরের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আইনমন্ত্রী থাকাকালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আনিসুল হকের নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিকে এক কোটি টাকার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আনিসুল হক সেই টাকা বারকে দেননি। এই কারণে আইনজীবীরা তার ওপর ক্ষুদ্ধ ছিল।”

তিনি বলেন, “গত ১৫ বছর বিচার বিভাগকে তিনি কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। তিনি দাবি করেন আইনজীবীরা তাকে কেউ মারধর করেনি, তারা তার বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়েছে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

দৈনিক বার্তার অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার প্রকাশনার সফলতা কামনা করলেন রোকেয়া রাজ্জাক জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে বেধড়ক কিলঘুষি

Update Time : ০৯:০০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে নারায়নগঞ্জের একটি আদালতের এজলাস থেকে বের হওয়ার সময় কিল – ঘুষি মেরেছেন একদল আইনজীবী।

বাংলাদেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের ভিডিওতে দেখা যায়, শুনানি শেষে এজলাস থেকে আনিসুল হককে বের করছিলো পুলিশ। দরজার সামনে মাথায় হেলমেট পড়া আনিসুল হককে পেছন থেকে ও দরজার পাশ থেকে আইনজীবীরা কিল -ঘুষি দিচ্ছেন।

এ সময় বাঁচার জন্য হাতকড়া পরিহিত আনিসুল হককে দুই হাত দিয়ে হেলমেট আঁকড়ে ধরতে দেখা যায় ভিডিওতে। চারদিক থেকে পুলিশ তাকে আগলে দরজা পার হওয়ার পর পুরো বারান্দা দিয়ে দৌড়ে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় আইনজীবীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।

একপর্যায়ে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে আদালত চত্বরের সামনে থাকা প্রিজন ভ্যানে ওঠেন আনিসুল হক। এ সময় পুলিশ তাকে ঘিরে ছিল।

ভিডিওতে দেখা যায়, আনিসুল হক প্রিজন ভ্যানে ওঠার সাথে সাথে তা আদালত চত্বর ত্যাগ করে।

পাঁচই অগাস্টের পরের একটি হত্যা মামলায় আজ সোমবার হককে নারায়নগঞ্জের ওই আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এ মামলায় পুলিশ হকের সাতদিনের রিমান্ড চাইলে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

এই হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামি আনিসুল হক।

সাবেক এই আইনমন্ত্রীকে মারধরের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আইনমন্ত্রী থাকাকালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আনিসুল হকের নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিকে এক কোটি টাকার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আনিসুল হক সেই টাকা বারকে দেননি। এই কারণে আইনজীবীরা তার ওপর ক্ষুদ্ধ ছিল।”

তিনি বলেন, “গত ১৫ বছর বিচার বিভাগকে তিনি কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। তিনি দাবি করেন আইনজীবীরা তাকে কেউ মারধর করেনি, তারা তার বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়েছে।”