
পাবনার সাঁথিয়ায় শিশু শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে কৃষ্ণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মওদুদ হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার দাবী করে ওই শিক্ষার্থীর বাবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ঘটনাটি ২১ এপ্রিল ঘটলেও রোববার (২৭ ্এপ্রিল) বিদ্যালয়ে তালা দেয়ায় বিষয়টি গণমাধ্যমের নজরে আসে। এ দিকে আগামী মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য শালিসে ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা হবে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবারসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল উপজেলার ভূলবাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মওদুদ হোসেন যৌনহয়রানী করে। এদিন দুপুরে বাড়িতে গিয়ে ওই শিশুটি তার মাকে বিষয়টি খুলে বলে। পরে ওর মা বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট মৌখিক অভিযোগ দিলে তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বলেন এবং শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি ঠিক করে দিবে বলে ওই মেয়ের মাকে বুঝিয়ে বিদায় দেন। এতে ওই শিশুটির মা সন্তষ্ট না হওয়ায় বিচারের দাবীতে শিশুটির বাবা রবিউল বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মওদুদ হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন না এমনকি তার বড় ভাই এর ফোন নাম্বার দিয়ে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অভিযুক্ত মওদুদ উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের হাটবাড়িয়া গ্রামের সিয়ামের ছেলে। স্থানীয়বাসিন্দাদের দাবী মওদুদ দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের সাথে ঘৃণিত কাজ করে আসছে।
এ দিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবীতে এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে তালা দেন। রোববার সকালে প্রধান শিক্ষক এসে বিচারের আশ্বাস দিলে পরে তালা খুলে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিজু তামান্না বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে বিধি মোতাবেক যেটা হয় সেটা করার চেস্টা করছি। যৌন হয়রানির বিচার এলাকায় গ্রাম্য শালিশে করা বিধিসম্মত কি না ? এমন প্রশ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, গ্রাম্য শালিশের কোনো সুযোগ নেই। গ্রাম্য শালিশ তাদের ব্যক্তিগত বিষয় ।
পাবনা প্রতিবেদক 



















