ঢাকা ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দৈনিক বার্তার অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার প্রকাশনার সফলতা কামনা করলেন রোকেয়া রাজ্জাক জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার Logo পাবনা-৩ আসনে বিএনপির জনসমুদ্রে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবী Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু

ঈশ্বরদী শহরের যানজট কমাতে পুরনো সাঁকো সংস্কারের উদ্যোগ

পাবনার ঈশ্বরদী শহরের তীব্র যানজট কমানোর জন্য বহুদিনের দাবি থাকলেও এখনই ফ্লাইওভার ব্রিজ তৈরি হচ্ছে না। তবে বিকল্পভাবে শহরের রেলগেটের উত্তর পাশে বন্ধ হয়ে থাকা পুরনো রাস্তার নিচের সাঁকো সংস্কার করে খুলে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে।

সোমবার ( ২৮ এপ্রিল) সকালে পাকশী রেলওয়ে বিভাগের প্রকৌশলী (ডিইএন-২) বীরবল মন্ডল, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কাজের উদ্বোধন করেন।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ১৯১৫ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের পর দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগের জন্য ঈশ্বরদী রেলস্টেশন তৈরি হয়। শহরের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রেলগেট এবং রেললাইনের নিচ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরি করা হয়, যেটি দিয়ে মানুষ ও ছোট যানবাহন চলাচল করত কিন্তু ১৯৯৮-৯৯ সালের দিকে কিছু ব্যক্তি সাঁকোটির দুই পাশ দখল করে দোকান-পাট গড়ে তোলেন। তখন থেকে রাস্তার নিচের ওই পথটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শহরের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের যাতায়াত পুরোপুরি রেলগেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বর্তমানে প্রতিদিন ২৫ বার রেলগেট বন্ধ রাখতে হয়, যার ফলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। সিএনজি, অটোরিকশা ও রিকশাচালকরা জানান, রেলগেটের কারণে দিনরাত যাত্রী নিয়ে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয়। সাঁকোটি চালু হলে এই ভোগান্তি অনেকটাই কমবে।

মাদক বিরোধী সংগঠন মানাবের সভাপতি মাসুম পারভেজ কল্লোল বলেন, ‘ঈশ্বরদী শহরের পূর্ব পাশে হাসপাতাল, পৌরসভা, ফায়ার সার্ভিসসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পশ্চিম পাশে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়। রেলগেট বন্ধ থাকলে দুই পাশের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। নিচের সাঁকোটি চালু হলে শহর যানজটমুক্ত হবে।’

ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন বলেন, ‘নিচ দিয়ে চলাচলের পথটি সংস্কার করে চালু করার সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী। দ্রুত কাজ শেষ করা উচিত।’

পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু বলেন, ‘শহরে দিন দিন জনসংখ্যা ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। ফ্লাইওভার না থাকায় রেলগেটের যানজট শহরবাসীর জন্য বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। নিচের রাস্তা খুলে দিলে যানজট অনেকটাই কমবে।’

পাকশী রেলওয়ে বিভাগের প্রকৌশলী বীরবল মন্ডল জানান, ‘ফ্লাইওভার নির্মাণের কিছু জটিলতা রয়েছে। তাই আপাতত পুরনো সাঁকো সংস্কার করে ছোট ও মাঝারি আকারের যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এতে শহরের যানজট অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

দৈনিক বার্তার অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার প্রকাশনার সফলতা কামনা করলেন রোকেয়া রাজ্জাক জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার

ঈশ্বরদী শহরের যানজট কমাতে পুরনো সাঁকো সংস্কারের উদ্যোগ

Update Time : ০৬:০০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

পাবনার ঈশ্বরদী শহরের তীব্র যানজট কমানোর জন্য বহুদিনের দাবি থাকলেও এখনই ফ্লাইওভার ব্রিজ তৈরি হচ্ছে না। তবে বিকল্পভাবে শহরের রেলগেটের উত্তর পাশে বন্ধ হয়ে থাকা পুরনো রাস্তার নিচের সাঁকো সংস্কার করে খুলে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে।

সোমবার ( ২৮ এপ্রিল) সকালে পাকশী রেলওয়ে বিভাগের প্রকৌশলী (ডিইএন-২) বীরবল মন্ডল, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কাজের উদ্বোধন করেন।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ১৯১৫ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের পর দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগের জন্য ঈশ্বরদী রেলস্টেশন তৈরি হয়। শহরের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রেলগেট এবং রেললাইনের নিচ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরি করা হয়, যেটি দিয়ে মানুষ ও ছোট যানবাহন চলাচল করত কিন্তু ১৯৯৮-৯৯ সালের দিকে কিছু ব্যক্তি সাঁকোটির দুই পাশ দখল করে দোকান-পাট গড়ে তোলেন। তখন থেকে রাস্তার নিচের ওই পথটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শহরের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের যাতায়াত পুরোপুরি রেলগেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বর্তমানে প্রতিদিন ২৫ বার রেলগেট বন্ধ রাখতে হয়, যার ফলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। সিএনজি, অটোরিকশা ও রিকশাচালকরা জানান, রেলগেটের কারণে দিনরাত যাত্রী নিয়ে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয়। সাঁকোটি চালু হলে এই ভোগান্তি অনেকটাই কমবে।

মাদক বিরোধী সংগঠন মানাবের সভাপতি মাসুম পারভেজ কল্লোল বলেন, ‘ঈশ্বরদী শহরের পূর্ব পাশে হাসপাতাল, পৌরসভা, ফায়ার সার্ভিসসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পশ্চিম পাশে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়। রেলগেট বন্ধ থাকলে দুই পাশের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। নিচের সাঁকোটি চালু হলে শহর যানজটমুক্ত হবে।’

ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন বলেন, ‘নিচ দিয়ে চলাচলের পথটি সংস্কার করে চালু করার সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী। দ্রুত কাজ শেষ করা উচিত।’

পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু বলেন, ‘শহরে দিন দিন জনসংখ্যা ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। ফ্লাইওভার না থাকায় রেলগেটের যানজট শহরবাসীর জন্য বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। নিচের রাস্তা খুলে দিলে যানজট অনেকটাই কমবে।’

পাকশী রেলওয়ে বিভাগের প্রকৌশলী বীরবল মন্ডল জানান, ‘ফ্লাইওভার নির্মাণের কিছু জটিলতা রয়েছে। তাই আপাতত পুরনো সাঁকো সংস্কার করে ছোট ও মাঝারি আকারের যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এতে শহরের যানজট অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।’