অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে সেলিম হোসেন মানিক বাদী হয়ে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড.অধ্যাপক আবু সাইয়িদসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে গত শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ত্রাস বিরোধী আইনে বেড়া মডেল থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় আরো ২০০/৩০০ জন অজ্ঞাত নামাকে আসামী করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৫ জন সাংবাদিক রয়েছেন এ মামলায়।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলিউর রহমান জানান, গত শনিবার মামলাটি রেকর্ড হয়। তবে রোববার রাতে এর কথা জানাজানি হয়। এ মামলায় ৪জন সাংবাদিকও রয়েছেন
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামী অধ্যাপক আবু সাঈদ এর বসতবাড়ীতে গত ১লা এপ্রিল বিকেলে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালে নিজামী আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন এমন মন্তব্যর ভিডিও আওয়ামলীগের সদস্য অত্র মামলার ১৮ নং আসামী আশিক খান (৩০) পিতাঃ দুলু, গ্রামঃ হাপানিয়া, সাঁথিয়া, পাবনা তার নিজ মোবাইলে ধারন করিয়া ফেসবুকে ও বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার করে।
সমাবেশে আওয়ামীলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত থেকে সহায়তা ও সমর্থন করে।
ওই সমাবেশে আওমালীগের বিভিন্ন অঞ্চলের সদস্য ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সহায়তায় দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে আসামীগণ উক্ত সমাবেশে অংশ নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করা ও ফ্যাসিবাদীকে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করে।
এ ছাড়াও অভিযোগে আরও বলেন, উক্ত সমাবেশে প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল ও বন্দুকসহ বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র সজ্জে-সজ্জিত হইয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একত্রিত হইয়া বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের জন্য বিভিন্ন আন্তঘাতমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হইয়া দেশবিরোধী স্লোগান দেয়।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলিউর রহমান জানান, সাঁথিয়া উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের আফতাবের ছেলে সেলিম হোসেন মানিক বাদী হয়ে ৬(২)এর স্টেট/৮৮৯/১০/১১/১২ সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী) ২০১৩ ধারায় মামলা করেন। মামলা নং- ২, তারিখ ১২/০৪/২৫ইং।
এদিকে মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, সাজানো গল্পের এই মামলা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। আমি আমার নেতাকর্মীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছি। সেখানে গোপন কোনো বৈঠক হয়নি।