ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা Logo দুর্গাপুরে ‎রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  Logo শীতের গন্ধ, তাপমাত্রা কমছে প্রতিদিন দুই ডিগ্রি ঈশ্বরদীতে দোকানে উঠছে শীতের সোয়েটার-জ্যাকেট, কম্বল Logo পদ্মার চরজুড়ে চলছে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ Logo নীলফামারীতে চার দফা দাবী বাস্তবায়নে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানবন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

বিদায়ী সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আংটি বদল হয়েছিল মেঘনার !

মডেল মেঘনা আলমকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঘটনায় মুখ খুলেছেন তার বাবা বদরুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের প্রতারণার শিকার আমার মেয়ে মেঘনা। ছয় মাস ধরে তার সঙ্গে মেয়ের ঘনিষ্ঠতা। তার দুই থেকে তিন মাস আগ থেকেই তাদের মধ্যে পরিচয়।’
এদিকে প্রতারণা মামলায় মেঘনা আলমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. দেওয়ান সামিরকে পাঁচ দিন রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। নারীদের ব্যবহার করে বিদেশি কূটনীতিকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে সামিরের বিরুদ্ধে। একই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একটি গণমাধ্যমকে বদরুল আলম বলেন, মেঘনা ‘মিস বাংলাদেশ’ নামে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করেছিল। তার মাধ্যমে দেশে–বিদেশে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে অনেক বিশিষ্টজন, গুণী লোকজন আসতেন। ঢাকায় সেই ধরনের একটি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়।

বদরুল আলম বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সব জানেন। তিনি দু’জনকে সহযোগিতা করেন। এরপর মেঘনার সঙ্গে বিদায়ী দূতের মধ্যে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। একপর্যায়ে সৌদির রাষ্ট্রদূত প্রেমের সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এরপর বিয়ে করতে চান। গত ৪ ডিসেম্বর মেঘনা ও দুহাইলানের আংটি বদল হয়েছিল বলে দাবি করেন বদরুল।

মেঘনার বাবা বলেন, মেঘনার বসুন্ধরার বাসায় আসা–যাওয়া ছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের। সম্পর্কের একপর্যায়ে মেঘনা জানতে পারে তার স্ত্রী ও ছেলে–মেয়ে রয়েছে। তখন সে আংটি ফেরত দেয়। সে কারো দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি। সৌদি দূতের স্ত্রীকে ঘটনাটি জানায়। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত। হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মেঘনা ফেসবুকে এ সম্পর্কে কিছু লেখা পোস্ট করেন। এরপরই মেঘনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন দুহাইলান। 

মেঘনার বাবা আরও বলেন, প্রতারণার শিকার হয়েছে এটা জেনেও মেঘনা চেয়েছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূত তার কাছে এসে দুঃখ প্রকাশ করুক। কিন্তু সেটা করেননি তিনি। উল্টো বিনা অপরাধে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে। বিষয়টির সমঝোতার চেষ্টা করা হলে শেষ পর্যন্ত হয়নি।এক প্রশ্নের জবাবে বদরুল বলেন, কেন আমার মেয়ে তাকে ফাঁসাবে। যদি সে অন্যায় করত তাহলে তার বিরুদ্ধে তো সুনির্দিষ্ট মামলা হত। আইন সবার জন্য সমান। আমরা এখন ন্যায় বিচার চাই। সরকার আমার মেয়ের নিরাপত্তা দেবে এটা আমার দাবি।

বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ডিবি পুলিশের একটি দল গত ১০ এপ্রিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে কাওয়াই গ্রুপ ইনফরমেশন টেকনোলজির প্রধান নির্বাহী দেওয়ান সামিরকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়।

প্রসঙ্গত, নর্থ–সাউথে পড়াশোনার সময় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতেন মেঘনা আলম। তার পরিবারের অন্যরা বেইলী রোডে থাকেন। কদিন আগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করে বলেন তাকে অন্যায়ভাবে বাসা থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা

বিদায়ী সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আংটি বদল হয়েছিল মেঘনার !

Update Time : ০৮:০৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
মডেল মেঘনা আলমকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঘটনায় মুখ খুলেছেন তার বাবা বদরুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের প্রতারণার শিকার আমার মেয়ে মেঘনা। ছয় মাস ধরে তার সঙ্গে মেয়ের ঘনিষ্ঠতা। তার দুই থেকে তিন মাস আগ থেকেই তাদের মধ্যে পরিচয়।’
এদিকে প্রতারণা মামলায় মেঘনা আলমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. দেওয়ান সামিরকে পাঁচ দিন রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। নারীদের ব্যবহার করে বিদেশি কূটনীতিকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে সামিরের বিরুদ্ধে। একই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একটি গণমাধ্যমকে বদরুল আলম বলেন, মেঘনা ‘মিস বাংলাদেশ’ নামে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করেছিল। তার মাধ্যমে দেশে–বিদেশে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে অনেক বিশিষ্টজন, গুণী লোকজন আসতেন। ঢাকায় সেই ধরনের একটি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়।

বদরুল আলম বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সব জানেন। তিনি দু’জনকে সহযোগিতা করেন। এরপর মেঘনার সঙ্গে বিদায়ী দূতের মধ্যে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। একপর্যায়ে সৌদির রাষ্ট্রদূত প্রেমের সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এরপর বিয়ে করতে চান। গত ৪ ডিসেম্বর মেঘনা ও দুহাইলানের আংটি বদল হয়েছিল বলে দাবি করেন বদরুল।

মেঘনার বাবা বলেন, মেঘনার বসুন্ধরার বাসায় আসা–যাওয়া ছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের। সম্পর্কের একপর্যায়ে মেঘনা জানতে পারে তার স্ত্রী ও ছেলে–মেয়ে রয়েছে। তখন সে আংটি ফেরত দেয়। সে কারো দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি। সৌদি দূতের স্ত্রীকে ঘটনাটি জানায়। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত। হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মেঘনা ফেসবুকে এ সম্পর্কে কিছু লেখা পোস্ট করেন। এরপরই মেঘনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন দুহাইলান। 

মেঘনার বাবা আরও বলেন, প্রতারণার শিকার হয়েছে এটা জেনেও মেঘনা চেয়েছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূত তার কাছে এসে দুঃখ প্রকাশ করুক। কিন্তু সেটা করেননি তিনি। উল্টো বিনা অপরাধে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে। বিষয়টির সমঝোতার চেষ্টা করা হলে শেষ পর্যন্ত হয়নি।এক প্রশ্নের জবাবে বদরুল বলেন, কেন আমার মেয়ে তাকে ফাঁসাবে। যদি সে অন্যায় করত তাহলে তার বিরুদ্ধে তো সুনির্দিষ্ট মামলা হত। আইন সবার জন্য সমান। আমরা এখন ন্যায় বিচার চাই। সরকার আমার মেয়ের নিরাপত্তা দেবে এটা আমার দাবি।

বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ডিবি পুলিশের একটি দল গত ১০ এপ্রিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে কাওয়াই গ্রুপ ইনফরমেশন টেকনোলজির প্রধান নির্বাহী দেওয়ান সামিরকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়।

প্রসঙ্গত, নর্থ–সাউথে পড়াশোনার সময় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতেন মেঘনা আলম। তার পরিবারের অন্যরা বেইলী রোডে থাকেন। কদিন আগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করে বলেন তাকে অন্যায়ভাবে বাসা থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।