ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা Logo দুর্গাপুরে ‎রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  Logo শীতের গন্ধ, তাপমাত্রা কমছে প্রতিদিন দুই ডিগ্রি ঈশ্বরদীতে দোকানে উঠছে শীতের সোয়েটার-জ্যাকেট, কম্বল Logo পদ্মার চরজুড়ে চলছে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ Logo নীলফামারীতে চার দফা দাবী বাস্তবায়নে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানবন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

শহীদ জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলায় আওয়ামীপন্থি মুক্তিযোদ্ধারা অনুষ্ঠানে হট্টগোল

ছবি সংগৃহিত

পাবনায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বলায় ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়েছেন আওয়ামীপন্থি মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে চরম হট্টগোল দেখা দেয়।

পাবনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকারের বক্তব্যের সময় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য শুরু করেন অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার। শুরুতেই তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বলেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ আওয়ামীপন্থি মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবাদ করেন এবং ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে বক্তব্য শেষ না করেই চলে আসেন। এ সময় অনুষ্ঠানে চরম হট্টগোল দেখা দেয়। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খানসহ‌ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার বলেন, ওখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার একটি অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় পতিত সরকারের কিছু দোসর ও অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছিল। ঢুকে তারা প্রোগ্রামটা নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছিল। পরে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তক্ষেপে তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যায় এবং প্রোগ্রাম সুন্দরভাবে শেষ হয়।

বিতর্কের বিষয়ে মুখ না খুললেও পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে ক্লিয়ারভাবে বলতে পারছি না। তবে বিএনপির কোনো একজন নেতা বক্তব্য দিচ্ছিলেন, এ সময় তার বক্তব্যের একটা অংশে কয়েকজন লোক তাকে বলেন যে আপনি এই বক্তব্য দিতে পারেন না। পরে অনুষ্ঠান স্বাভাবিকভাবে শেষ হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা

শহীদ জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলায় আওয়ামীপন্থি মুক্তিযোদ্ধারা অনুষ্ঠানে হট্টগোল

Update Time : ১২:৫৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

পাবনায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বলায় ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়েছেন আওয়ামীপন্থি মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে চরম হট্টগোল দেখা দেয়।

পাবনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকারের বক্তব্যের সময় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য শুরু করেন অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার। শুরুতেই তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বলেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ আওয়ামীপন্থি মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবাদ করেন এবং ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে বক্তব্য শেষ না করেই চলে আসেন। এ সময় অনুষ্ঠানে চরম হট্টগোল দেখা দেয়। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খানসহ‌ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার বলেন, ওখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার একটি অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় পতিত সরকারের কিছু দোসর ও অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছিল। ঢুকে তারা প্রোগ্রামটা নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছিল। পরে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তক্ষেপে তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যায় এবং প্রোগ্রাম সুন্দরভাবে শেষ হয়।

বিতর্কের বিষয়ে মুখ না খুললেও পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে ক্লিয়ারভাবে বলতে পারছি না। তবে বিএনপির কোনো একজন নেতা বক্তব্য দিচ্ছিলেন, এ সময় তার বক্তব্যের একটা অংশে কয়েকজন লোক তাকে বলেন যে আপনি এই বক্তব্য দিতে পারেন না। পরে অনুষ্ঠান স্বাভাবিকভাবে শেষ হয়েছে।