ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সাঁথিয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন Logo নানা আয়োজনে নীলফামারীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন Logo আত্রাইয়ে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo রোবটের সাথে নাচলেন ইলন মাস্ক Logo চারঘাটে মোটরসাইকেল -এ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে প্রাণ গেল তিন বন্ধুর Logo জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে  ঈশ্বরদীতে আলোচনা সভা ও কর্মী সমাবেশ Logo জাতির প্রকৃত শক্তি কেবল তার প্রাকৃতিক সম্পদে নয়: প্রধান উপদেষ্টা Logo তিস্তা নদী রক্ষায় তরুণ-তরুণীদের ফ্ল্যাশমব Logo ইসি শতভাগ প্রস্তুত: ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগেই সংসদ নির্বাচন সম্ভব Logo চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে  ১২ কোটি টাকার স্বর্ণ আত্মসাতের ঘটনায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন সম্মেলন

সূর্যমুখী চাষে লাভের স্বপ্ন কৃষকের

সূর্যমুখী ফুল চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কৃষকরা। স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ বেড়েছে এ উপজেলায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সূর্যমুখী চাষ করা ক্ষেতে এখন ফুলের সমারোহ। সহস্রাধিক সূর্যমুখী ফুল পূর্ণতা নিয়ে বাতাসে দোলা খাচ্ছে। সবুজ পাতার আড়ালে মুখ উচুঁ করে আছে সূর্যমুখী। সূর্যমুখীর হাঁসিতে হাসছে পুরো মাঠ। চারিদিকে সবুজের মাঝে হলুদের সমারোহ। আর এই হলুদ প্রকৃতিকে করেছে আরোও লাবন্যময়। সূর্য যেদিকে ফুলের মুখও সেদিকে। তাই এটাকে সূর্যমুখী বলে। নয়নজুড়ানো এ দৃশ্য মোহিত করছে সবাইকে। প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকে সৌন্দর্য উপভোগ করতে সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে আসছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার দেওপাড়া গ্রামে মোঃ হাবিবুর রহমান ৫০ শতক জমিতে এবার সূর্যমুখী চাষ করছেন। তিনি বলেন, গত ২ বছর ধরে আমি সূর্যমুখী চাষ করছি, কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার, কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছে ভালো একটা লাভের আশা করছি। গত বছরে আমি ভালো লাভবান হয়েছি এবার নাচোল উপজেলার মধ্যে প্রথম চাষি আমি সহ আরো অনেকই আছে আমি প্রথম হলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পুরস্কৃত করবে এইজন্য ভালোভাবে চাষ করছি আগামীতেও চাষ করবো।
এদিকে সূর্যমুখী চাষিরা জানান, সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তেল ও খৈল হয়। ফুলের ক্ষেতে মৌচাক বসিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মধুও সংগ্রহ করা যায়। এছাড়া শুকিয়ে যাওয়া গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। সূর্যমুখী বীজ বপনের ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যেই ফুল থেকে বীজ ঘরে তুলতে পারেন। চাষিদের মতে কম খরচে ও অতি অল্প সময়ে সূর্যমুখী ফুল চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। এ ফসল চাষে কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ায় অন্যান্য চাষিরাও সূর্যমুখী চাষে আগ্রীহ হয়েছেন আগামীতে নাচোল উপজেলায় সূর্যমুখী চাষ আরও বাড়বে।
নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসার সালেহ আকরাম জানান, আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ, কীটনাশক সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছি। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে এই বরেন্দ্র অঞ্চলে সূর্যমুখী চাষ আরও বাড়বে।সরকারি সহায়তা ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারে সূর্যমুখী চাষ বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। সৌন্দর্য ও অর্থনৈতিক লাভ একসঙ্গে এনে কৃষকদের জীবনে নতুন আশার আলো যোগ করছে এই সোনালি ফুল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সাঁথিয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন

সূর্যমুখী চাষে লাভের স্বপ্ন কৃষকের

Update Time : ০৪:১১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

সূর্যমুখী ফুল চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কৃষকরা। স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ বেড়েছে এ উপজেলায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সূর্যমুখী চাষ করা ক্ষেতে এখন ফুলের সমারোহ। সহস্রাধিক সূর্যমুখী ফুল পূর্ণতা নিয়ে বাতাসে দোলা খাচ্ছে। সবুজ পাতার আড়ালে মুখ উচুঁ করে আছে সূর্যমুখী। সূর্যমুখীর হাঁসিতে হাসছে পুরো মাঠ। চারিদিকে সবুজের মাঝে হলুদের সমারোহ। আর এই হলুদ প্রকৃতিকে করেছে আরোও লাবন্যময়। সূর্য যেদিকে ফুলের মুখও সেদিকে। তাই এটাকে সূর্যমুখী বলে। নয়নজুড়ানো এ দৃশ্য মোহিত করছে সবাইকে। প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকে সৌন্দর্য উপভোগ করতে সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে আসছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার দেওপাড়া গ্রামে মোঃ হাবিবুর রহমান ৫০ শতক জমিতে এবার সূর্যমুখী চাষ করছেন। তিনি বলেন, গত ২ বছর ধরে আমি সূর্যমুখী চাষ করছি, কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার, কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছে ভালো একটা লাভের আশা করছি। গত বছরে আমি ভালো লাভবান হয়েছি এবার নাচোল উপজেলার মধ্যে প্রথম চাষি আমি সহ আরো অনেকই আছে আমি প্রথম হলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পুরস্কৃত করবে এইজন্য ভালোভাবে চাষ করছি আগামীতেও চাষ করবো।
এদিকে সূর্যমুখী চাষিরা জানান, সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তেল ও খৈল হয়। ফুলের ক্ষেতে মৌচাক বসিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মধুও সংগ্রহ করা যায়। এছাড়া শুকিয়ে যাওয়া গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। সূর্যমুখী বীজ বপনের ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যেই ফুল থেকে বীজ ঘরে তুলতে পারেন। চাষিদের মতে কম খরচে ও অতি অল্প সময়ে সূর্যমুখী ফুল চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। এ ফসল চাষে কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ায় অন্যান্য চাষিরাও সূর্যমুখী চাষে আগ্রীহ হয়েছেন আগামীতে নাচোল উপজেলায় সূর্যমুখী চাষ আরও বাড়বে।
নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসার সালেহ আকরাম জানান, আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ, কীটনাশক সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছি। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে এই বরেন্দ্র অঞ্চলে সূর্যমুখী চাষ আরও বাড়বে।সরকারি সহায়তা ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারে সূর্যমুখী চাষ বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। সৌন্দর্য ও অর্থনৈতিক লাভ একসঙ্গে এনে কৃষকদের জীবনে নতুন আশার আলো যোগ করছে এই সোনালি ফুল।